6:14 AM, July 24, 2022
"Wings of Fire" এমন একজন মানুষের জীবন কাহিনী যার নামের সঙ্গে আজ সারা পৃথিবী পরিচিত, এই গ্রন্থ হয়তাে মানুষটির বর্ণময় জীবনের রূপরেখা মাত্র। তবু এই জীবন কথা এক তীর্থ যাত্রা৷ সেই মানুষটির অন্তঃস্থিত "ঐশ্বরিক অগ্নির "ডানা মেলে আকাশের বুকে উড়ে যাওয়ার আশ্চর্য বৃত্তান্ত। আবার এই শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য ও দুঃখ দুর্দশার কাহিনী
ন্য। যে আধুনিক ভারত এখন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সামনের সারিতে স্থান লাভের জন্য সংগ্রাম করেছে তার নানা সফলতা ও অসফলতার দলিল এই বই।
| ১৯৩১ সালে মাদ্রাজ রাজ্যের রামেশ্বরম দ্বীপ শহরের এক মধ্যবিত্ত তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম। তাঁর পিতা ছিলেন জয়নুল, যাঁর বিশেষ প্রথাগত শিক্ষা ও ধনসম্পদ না থাকলেও ছিল সহজাত প্রজ্ঞা ও হৃদযের প্রকৃত মহানুভবতা এবং মাতা ছিলেন আশিআম্মা যিনি ছিলেন এক আদর্শ ব্যক্তিত্বের
অধিকারিণী। পিতার কাছ থেকে তিনি পেয়েছিলেন সাধুতা ও আত্ম সংযম এবং মায়ের কাছ থেকে পেয়েছিলেন বিশ্বাস ও গভীর সংবেদনশীলতা। ওনার পিতা ছিলেন একজন অত্যন্ত আভিজাত্যের নৌকার মাঝি। ওনার পিতা নৌকার ব্যবসা ভালােই করেছিলেন কিন্তু একদিন ঘন্টায় একশাে কিলােমিটার বেগে এক সাইক্লোন এসে নৌকা উড়িয়ে নিয়ে যায়। ততদিনে ওনার দৃষ্টিতে সমুদ্রের সৌন্দর্যতার পাশাপাশি তার এক দূর্দমনীয় শক্তি উন্মােচিত হয়েছিল। সেই সময় কালামের সঙ্গে পরিচয় হয় জালালুদ্দিনের। বয়সের অনেক তফাৎ থাকা সত্ত্বেও তারা হয়ে উঠেছিলেন একে অপরের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পরবর্তীকালে জালালুদ্দিন তার বােন জোহরাকে বিবাহ করেন। জালালুদ্দিন তাঁকে আজাদ বলে ডাকতেন। আর্থিক অনটনের কারণে পুঁথিগত শিক্ষা বেশিদূর না এগােতে পারলেও জালালুদ্দিন ছিলেন প্রবল জ্ঞানের অধিকারী। বাল্যকালেই আব্দুল কালাম আজাদ তার কাছ থেকে সাহিত্য, শিক্ষাবিজ্ঞান, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং পরিচিত জগতের সংকীর্ণ পরিধির বাইরে এক সাহসী, চমকপ্রদ নতুন পৃথিবী সম্পর্কে অবহিত হয়েছিলেন। বাল্যকালে তাঁর জীবনে আরেকজনের প্রভাব ছিল অপরিসীম। তিনি হলেন তাঁর ভাই সামসুদ্দিন। শৈশব থেকেই আব্দুল কালাম ছিলেন কঠোর পরিশ্রমী। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি তেঁতুল বিচি জোগাড় করে মক স্ট্রিট -এর একটা দোকানে বিক্রি করতেন। পরবর্তীকালে সামসুদ্দিনের সহযােগিতায় তিনি সংবাদ পত্র বিক্রি করতেন। সামসুদ্দিনের কল্যানেই তিনি প্রথম নিজের টাকা রােজগার করার অনুভুতি অনুভব করেন। সামগ্রিকভাবে রামেশ্বরমের ছােট সমাজটি বিভিন্ন সামাজিক গােষ্ঠীর বিচ্ছিন্ন তার পরিপ্রেক্ষিতে অত্যন্ত স্তরীভূত এবং কঠোর ছিল।
এলিমেন্টারি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় একদিন একজন নতুন শিক্ষক ওনাদের ক্লাসে এসে আব্দুল কালাম কে এক হিন্দু শিক্ষার্থীর পাশে বসতে দেখেন। শিক্ষক কিছুতেই তা মেনে নিতে পারেন না। পরে কালামকে পেছনের বেঞ্চে বসতে বলেন। পরবর্তীকালে লক্ষণ শাস্ত্রী দৃঢ়ভাবে শিশুদের মধ্যে সামাজিক বৈষম্যের বীজ রােপন করতে নিষেধ করে। লক্ষণ শাস্ত্রীর দৃঢ়তার প্রভাব তরুণ শিক্ষকের মনেও প্রভাব এনেছিল।
পরবর্তীকালে, আব্দুল কালাম তার পিতার কাছে রামেশ্বরম ছেড়ে জেলা সদরে রামনাথপুরমে গিয়ে পড়াশুনা করার। অনুমতি চাইলেন। ওনার পিতা চাইতেন উনি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে কালেক্টর হােক। রামনাথ পুরমে থাকাকালীন সময়ে যখনই বাড়ির জন্য মন খারাপ হতাে তখন জালালুদ্দিনের ইতিবাচক চিন্তন ক্ষমতার কথা স্মরণ করে তিনি তার মনকে ও নিজের ভাবনা চিন্তাকে বশে রাখার চেষ্টা করতেন। তিনি রামনাথ পুরমের শােয়ার্জ হাই স্কুলে ভর্তি হন। স্কুলের একজন শিক্ষক ইদুরাই সলােমন এর তার ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্ক ছাড়িয়ে গিয়েছিল। উনার কাছ থেকে তিনি শিখেছিলেন একজন যা চায় সেটা তখনই সম্ভব যখন সে সেটা তীব্রভাবে চাইবে। ইযাদুরাই সলােমন একজন মস্ত বড় শিক্ষক ছিলেন কারণ তিনি ছেলেমেয়েদের মধ্যে তাদের মূল্য সম্পর্কে ধারণার জন্ম দিতেন।
শােয়ার্জ-এর শিক্ষা সমাপ্ত হবার পর ১৯৫০ সালে তিনি ত্রিচিনাপল্লীর সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হন। সেন্ট জোসেফ। এর ছাত্রাবাসে তিনি চার বছর ছিলেন। সেন্ট জোসেফ এর শেষ বছরে তিনি ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি রুচি বােধ করেন বড় বড় লেখকদের সর্ব শ্রেষ্ঠ সাহিত্য পড়তে আরম্ভ করলেন। জোসেফ এ পদার্থবিদ্যার দুই শিক্ষক অধ্যাপক চিননাদুরাই এবং
অধ্যাপক কৃষ্ণমূর্তি অপারমানবিক পদার্থবিদ্যা বিষযে, পদার্থের তেজস্ক্রিয়তা জনিত হ্য সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। সেন্ট জোসেফে পদার্থবিজ্ঞানে বিএসসি ডিগ্রী পাওয়ার পর তিনি উপলব্ধি করেন নিজের স্বপ্নকে সত্য করবার জন্য তাকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে হবে। তাই তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনােলজি (MIT)-তে ভর্তির জন্য দরখাস্ত করেন। তখনকার দিনে তা ছিল খুবই ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। ১০০০ টাকার মতাে লাগতাে এবং অত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা ওনার বাবার ছিল না। তখন তার পাশে এসে দাঁড়ান তার বােন জোহরা, যিনি নিজের সােনার চুরি এবং গলার হার বাধা দিয়ে টাকার যােগাড় করে দিয়েছিলেন। আব্দুল কালাম প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নিজের রােজগারের টাকায় তিনি তার গয়না। ছাড়িয়ে দেবেন এবং তার জন্য তিনি জোর কদমে পড়াশােনা করতে শুরু করলেন।
| এম আই টি তে পরাকালীন তার সবচেয়ে আকর্ষণের বস্তু ছিল দুটি অকেজ বিমান যেগুলি ছাত্রদের দেখিয়ে শিক্ষা দেবার জন্য রাখা ছিল। অন্য ছাত্ররা ছাত্রাবাসী ফিরে যাবার পর তিনি ওই বিমান গুলির কাছে বসে থাকতেন। বিমান গুলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রথম বর্ষ পূরণ হবার পর যখন বিশেষ শাখা বেছে নেওয়ার সময় এলাে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অ্যারােনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বেছে নিলেন। ততদিনে তিনি তাঁর লক্ষ্য স্থির করে নিয়েছেন তিনি বিমান চালাবেন।
এমআইটিতে শিক্ষাকালে উনার চিন্তা ভাবনাকে আকার দান করেন তিনজন শিক্ষক অধ্যাপক স্পনডার ,অধ্যাপক কে এ ভি পান্ডালাই এবং অধ্যাপক নরসিংহ রাও। অধ্যাপক স্পন্ডারের কাছ থেকে তিনি ক্রায়ােকিক বায়ু গতিবিদ্যার শিক্ষা পেয়েছিলেন। অধ্যাপক কে এ ভি পান্ডালাই শিখিয়েছিলেন কিভাবে বাযুজান সংক্রান্ত নকশা ও বিশ্লেষণ রচনা করতে হয়। অধ্যাপক নরসিংহরাও ছিলেন গণিতজ্ঞ। তিনি তাত্বিক বায়ু গতিবিদ্যার শিক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের সযত্ন শিক্ষার দ্বারা কালামের মনে বাযু যান সংক্রান্ত বিদ্যা বা অ্যারােনটিকস সম্পর্কে এক প্রবল আগ্রহের সৃষ্টি করেছিলেন।
এমআইটিতে উনার তৃতীয় অর্থাৎ অন্তিম বর্ষ ছিল পরিবর্তনের বছর এবং পরবর্তী জীবনে তার প্রভাব ছিল। অপরিসীম। সেই সময়ে রাজনৈতিক নবজাগরণ শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে উদ্যমের এক আবহাওয়া সারাদেশে দেখা দিয়েছিল। ইতিমধ্যে তার শিক্ষাক্রম এর কাজ যখন শেষ হল উনাকে চারজন সহকর্মীর সহযােগে একটি স্বল্প উচ্চতার ওডার আক্রমণ বিমানের নকশা তৈরীর দায়িত্ব দেওয়া হল এবং অঙ্কন করার দায়িত্ব নিলেন তিনি। কিন্তু ডিজাইন শিক্ষক অধ্যাপক শ্রীনিবাস তখন ছিলেন এমআইটি ডিরেক্টর উনি কাজের অগ্রগতি দেখে বড় অসন্তোষজনক ছিলেন। বিলম্বের নানা অজুহাত তিনি কর্ণপাত করলেন না। অনেক প্রার্থনা করার পর তিনি তিনদিন সময় দিয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে তিনি ওনার কাজ দেখে কালামকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। ওই প্রকল্পের কাজের অবশিষ্ট সময়ে তিনি এম আই টির তামিল সঙ্গম প্রতিযােগিতায় যােগদান করেন এবং জয় লাভ করেন।
| এমআইটি থেকে তিনি গেলেন ব্যাঙ্গালাের হিন্দুস্থান অ্যারােনটিকস লিমিটেড(HAL)-এ শিক্ষানবীশ হিসেবে। সেখানে একটা টিমের সঙ্গে ইঞ্জিন মেরামতের কাজে নিযুক্ত হলেন। ক্লাসে শেখানাে তত্ব ব্যবহারিক কাজে প্রযােগের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। কাজে নিযুক্ত থাকাকালীন তিনি আরও অন্যান্য বিষয় শিক্ষা পান।
অ্যারােনটিকাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে গ্রাজুয়েট হবার পর তাঁর কাছে দুটি চাকরির প্রস্তাব আসে এবং যেকোনাে একটিকে বেছে নেবার সুযােগ পান। একটি ছিল বিমানবাহিনীর ও অন্যটি ছিল প্রতিরক্ষা দপ্তরে Dictorate of technical development and production DTD&P(Air)-এ। দুটো ইন্টারভিউতেই তিনি অংশ নেন। বিমান বাহিনীতে
আটজন অফিসার কে নিয়ােগ করার জন্য ২৫ জনকে পরীক্ষা করা হলাে এবং তার মধ্যে কালামের স্থান ছিল নবম। বিমান বাহিনীতে যােগ দেওয়ার সুযােগ হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়ায় প্রচন্ড হতাশ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে তিনি ঋষিকেশ যান এবং সেখানে আশ্রমে স্বামী শিবানন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং সব কথা ওনাকে বললেন। | এ.ডি.ই -তেযােগদানের প্রথম বছর কাজের চাপ বিশেষ না থাকলেও আস্তে আস্তে কাজের গতি বাড়তে থাকে। Ground handling equipment -ভিত্তিতে একটি কর্মগােষ্ঠী তৈরি করা হলাে এবং একটি হােভারক্রাফটের নকশা ও পরিণত রূপদানের দায়িত্ব দেওয়া হল। টিমের নেতৃত্বের দায়িত্ব ছিলেন আব্দুল কালাম নিজেই। ইঞ্জিনিয়ারিং মডেলটি কে তৈরি করে আকাশে ওড়ানাের জন্য প্রস্তুত করতে সময় দেওয়া হল তিন বছর। প্রকল্পটি কালামের কাছে অভিজ্ঞতার তুলনায় বেশ বড়ই ছিল। প্রকল্পের কাজ চলাকালীন নানান সমালােচনার মুখােমুখি হতে হয় এবং সেই সময় তার পাশে দাঁড়ান সেই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি.কে. কৃষ্ণ মেনন। শিবের বাহন অনুসারে হােভারক্রাফটের নাম রাখা হ্য "নন্দী"। সম্য এর আগে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ হয়। ওভারক্রাপটি ৫৫০ কিলােগ্রাম ওজোন সহ প্রায় 40 কিলােমিটার হাওয়ার গদির ওপর চলতে পারে। কাছে তা ছিল এক নতুন অভিজ্ঞতা। কিছুদিন পর হােভারক্রাফটি প্রদর্শন করতে এক গণ্যমান্য অতিথি আসেন এবং তার প্রদর্শনের ব্যবস্থার দায়িত্ব পড়ে কালামের ওপর৷ অতিথি ব্যক্তি ওভারক্রাফট-এ চলার আগ্রহ দেখান। প্রায় দশ মিনিট চড়ানাের পর অতিথি তাকে ধন্যবাদ জানান এবং নিজের পরিচয় জানিয়ে বিদায় নেন। তিনি ছিলেন এম.জি. কে মেনান টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ এর ডিরেক্টর। এক সপ্তাহ পর আবদুল কালাম INCOSPAR-এর কাছ থেকে ইন্টারভিউ এর ডাক পান। সেই সম্য INCOSPAR -এর সম্পর্কে বেশি জ্ঞান তাঁর ছিল না। ইন্টারভিউ এর জন্য তিনি
মুম্বাই যান। উনার ইন্টারভিউ নিলেন ডক্টর বিক্রম সারাভাই , ভারতীয় মহাকাশ কর্মসূচির জনক এবং তাঁর সঙ্গে অধ্যাপক এমজি কে মেনন ও এটমিক এনার্জি কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি মি. সরাফ। INCOSPAR -এ রকেট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে তিনি নিযুক্ত হন, যা ছিল তাঁর মধ্যে একজন তরুণের পক্ষে এক স্বপ্ন পূরণ। TIFR-এর কম্পিউটার সেন্টারে একটি অবহিত করণ শিক্ষাক্রম এর কাজ দিয়ে তিনি INCOSPAR-এর যাত্রা আরম্ভ করেন।
খুব অল্পদিন পর এই ছয় মাসের জন্য ওনাকে আমেরিকা যেতে বলা হয় NASA-তে সাউন্ডিং রকেট উৎক্ষেপণ স্টেশনের মানের একটি শিক্ষাক্রমের জন্য। বিদেশ যাত্রার আগে তিনি ছুটি নিয়ে চলে গেলেন রামেশ্বরম। ওনার পিতা
উনার সাফল্যে খুব খুশি হন এবং মসজিদে ধন্যবাদ জ্ঞাপক এক বিশেষ নামাজ "শুকরানা নামাজ" এর ব্যবস্থা করেন। জালালুদ্দিন ও সামসুদ্দীন ওনাকে বিদায় জানাতে মুম্বাই বিমানবন্দরে আসেন। জালালুদ্দিন ও সামসুদ্দিন ছিলেন। আত্মনির্ভরশীল ও আশাবাদী। উনাদের বিশ্বাসের গভীরতা ও বিশুদ্ধতা কালামের সংযমের শেষ বাঁধটিকে ভেঙে দিয়ে দু চোখ জলে ভরিয়ে তুলেছিল।
| NASA-তে ভার্জিনিয়ার হ্যামপটন-এ অবস্থিত ল্যাংলে গবেষণা কেন্দ্রে(LRC) তিনি কাজ শুরু করলেন। LRC থেকে তিনি গিয়েছিলেন মেরিল্যান্ড গ্রিনবেল্ট এ গােদার মহাকাশযাত্রা কেন্দ্রে। নাসা থেকে ফিরে আসার ঠিক পরেই একুশে নভেম্বর 1963 তে ভারতের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষিপ্ত হ্য, সাউল্ডিং রকেট, রকেট টির নাম দেওয়া হয় NIKE-APACHE. রকেটটিকে নিয়ে যাওয়ার বাহন বলতে ছিল একটি ট্রাক এবং হস্ত চালিত এক হাইড্রোলিক ক্রেন। রকেট উৎক্ষেপণে তাঁর দায়িত্ব ছিল রকেটটি সম্পূর্ণতা দান করা ও তার নিরাপত্তা। দুজন সহকর্মীর সহায়তায় রকেট উৎক্ষেপণ মসৃণ ভাবে সম্পন্ন হয়। অধ্যাপক সারাভাই-এর আশাবাদ ছিল অতিশয় সংক্রামক।NIKE -APACHE-র। সফল উৎক্ষেপণের পর একটি ভারতীয় উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বাহন সম্পর্কে তাঁর স্বপ্নের কথা তিনি সবাইকে জানালেন। কোন কাজ নতুন ভাবে করার ব্যাপারে অধ্যাপক সারাভাই সর্বদা আগ্রহী ছিলেন এবং তিনি সর্বদা তরুণদের উৎসাহিত করতেন। টিপু সুলতানের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় রকেট বিদ্যার যে অবসান ঘটেছিল তারা আবার পুনর্জন্ম হ্য প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর সাহায্যে। তাঁর স্বপ্নকে বাস্তব আকার দানের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেন অধ্যাপক সারাভাই। তাঁদের দৃষ্টি ছিল অতি পরিষ্কার৷ তাঁদের মতে ভারতকে জগত সভায় মূল্যবান ভূমিকা নিতে হলে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে তার কারাে থেকে পিছিয়ে থাকলে চলবে না।
| প্রথম কয়েক বছরের সক্রিয় আন্তর্জাতিক সহযােগিতায় ধীরে ধীরে প্রায় অবসান ঘটিয়ে জোর দেওয়া হল আত্মনির্ভরতা ও দেশীয় প্রযুক্তির ওপর। টকলটি ছিল পৃথিবীর আদরের কক্ষপথে স্বল্প ওজনের উপগ্রহ প্রবেশ করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি SLV নির্মাণ। ১৯৬৯ সালে অধ্যাপক সারাভাই সিদ্ধান্ত নিলেন উপগ্রহ নির্মাণ ও উৎক্ষেপনের জন্য দেশীয় সামর্থ্য প্রতিষ্ঠার কাজ চালিয়ে যেতে হবে। | ১৯৬৪ সালে ইন্ডিয়ান রকেট সােসাইটি স্থাপিত হয়। অল্পদিনের মধ্যেই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সাইন্স একাডেমির (INSA)অধীনে একটি উপদেষ্টা সমিতি হিসাবে INCOSPAR পুনর্গঠিত হ্য এবং পরমাণু শক্তি বিভাগের অধীনে প্রবর্তিত হল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র(ISRO)। | সারাভাই বাছাই করা বিজ্ঞানীদের নিয়ে আসলেন SLVক সফল করার জন্য। অধ্যাপক সারাভাই SLV-র চতুর্থ পর্যায়ের নকশা তৈরির দায়িত্ব দিলেন আব্দুল কালামের ওপর। মিসাইল প্যানেলের প্রত্যেক বৈঠকের পর তিনি বৈঠকের বিবিধ সিদ্ধান্তের কথা অধ্যাপক সারাভাইকে জানাতেন। ১৯৭১ এর ৩০ শে ডিসেম্বর অধ্যাপক সারাভাই থুম্বা আসছিলেন SLV-র নকশা দেখবার জন্য। কিন্তু হঠাৎই হৃদ্য যন্ত্রের কাজ বন্ধ হওয়ায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে। অধ্যাপক সারাভাই শুধু বিজ্ঞানী ছিলেন না তিনি ছিলেন বড় নেতাও। পরবর্তীকালে ISRO-র নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেন অধ্যাপক সতীশ ধাওযান এবং ধুম্বার সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে একত্র করে একটি সংযুক্ত মহাকাশ কেন্দ্র গড়ে তােলা হয়। অধ্যাপক সারা ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার নাম দেওয়া ও হ্য বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার(VSSC)। বিক্রম সারাভাই ফেস সেন্টারে SLV-র কাজ পুরােদমে শুরু হল। এসএলভির প্রথম লক্ষ্য ছিল এমন একটি SLV,সিস্টেম SLV-3 প্রস্তুত করা যার দ্বারা পৃথিবী বেষ্টনকারী ৪০০ কিলােমিটার উর্ধ্বে অবস্থিত কক্ষপথে একটি ৪০ কেজি উপগ্রহ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে স্থাপিত করা যায়। SLV-র প্রত্যেক সদস্য তার নিজের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন। টিমটি ছিল অসাধারণ প্রতিভা সম্পন্ন টিম। SLV-3-রনেতৃত্বে ছিলেন আব্দুল কালাম। SLV-তে কাজের পাশাপাশি DRDO প্রস্তুত করা হয় একটি স্বদেশী ভূমি- থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার জন্য।
SLV-র কাজ করার সময় যে সমস্ত সমস্যার উদ্ভব হচ্ছিল সেগুলি সুনির্দিষ্ট আকারে বিবৃত করার জন্য এবং তার সমাধানের জন্য তিনি তাঁর সহকর্মীদের সঙ্গে মতৈক্য স্থাপন করার উদ্দেশ্যে তাদের মধ্যে পারস্পরিক চিন্তা ও তথ্য বিনিময় করতেন। SLV প্রকল্পের প্রথম তিন বছর ছিল বিজ্ঞানের অনেক চমকপ্রদ রহস্যের উন্মােচনের কাল।। | SLV-3-র কাজ চলাকালীন হঠাৎ একদিন তিনি খবর পেলেন তাঁর গুরু ,মিত্র ,জনাব জালালুদ্দিন আর ইহজগতে নেই। তিনি উপলব্ধি করলেন জালালুদ্দিনের সঙ্গে তিনিও তার নিজের খানিকটা অংশ হারিয়ে ফেলেছেন। এরপর সময়ের সাথে সাথে তাঁর পিতামাতা ও ইহলােক ত্যাগ করলেন। পরিবারের তিনজন সদস্যের পরপর মৃত্যু হওয়ায় তিনি তাঁর মন সম্পূর্ণ কাজের মধ্যে ঢেলে দেন। SLV নির্মাণের কাজে নিজেকে সর্বদা ডুবিয়ে রাখলেন। আব্দুল কালাম ও তাঁর টিমের সদস্যরা SLV-র প্রবাহের স্রোতের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। কঠোর পরিশ্রম করতে লাগলেন। SLV-র জন্য প্রযােজনীয় ভারী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা আরম্ভ হওয়ায় ওনাদের নিজেদের মধ্যে একাগ্র মনােঃ সংযােগের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। এক প্রবল
আত্মবিশ্বাস অনুভব করেন সবাই। সুনিয়ন্ত্রিত কর্মধারার একটি ফল হল প্রবাহ। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর, কর্মসূচি অনুযায়ী 1979 সালের 10ই আগস্ট ২৫ মিটার দীর্ঘ ৪ পর্যায়ের ১৭ টন ওজনের SLV রকেটটি সকাল সাতটা ৫৮ মিনিটে সুন্দরভাবে ভূমি ত্যাগ করে নির্দিষ্ট পথ ধরে যাত্রা শুরু করে।
পর্যায়-১ নিখুঁতভাবে কাজ করলেও দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং তার সমুদ্রে গিয়ে আছড়ে পড়ে। এই ঘটনায় আব্দুল কালাম গভীরভাবে ভেঙে পড়লেন। ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা ওনাকে গভীরভাবে গ্রাস করে। এই কঠিন সময়ে। ডঃ ব্রহ্মপ্রকাশ ওনাকে সাহায্য করেন ,ওনার পাশে এসে দাঁড়ান, ওনাকে উৎসাহিত করেন। | প্রথম SLV-3-এর ব্যর্থতার সমস্ত কারণ বিশ্লেষণ করে পুনরায় কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা ১৮ই জুলাই ১৯৮০ সালে সকাল 8:30 মিনিটে ভারতের প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান (SLV)সফলভাবে ভূপৃষ্ঠ ত্যাগ করে। সমগ্র জাতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে, পুরাে দেশে সফলতা উদ্যাপন করা হয়। SLV-3 সফল কোরানে আব্দুল কালামের অনুভূতি ছিল মিশ্র। বিগত দুটি। দশক ধরে পরিশ্রমের পরিণাম সফল হওয়ায় তিনি যেমন খুশি ছিলেন তেমন বিষন্ন বােধও করছিলেন। কারণ উনার পিতা মাতা ও গুরু জালালুদ্দিন যারা তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন তারা কেউ তাঁর সাথে ছিলেন না। SLV সাফল্যের এক
মাসের মধ্যে তাকে নিমন্ত্রণ করা হয় মুম্বাই নেহেরু বিজ্ঞান কেন্দ্রে এই SLV সংক্রান্ত নিজের অভিজ্ঞতা শােনানাের জন্য। এরই মধ্যে তাঁকে "পদ্মভূষণ" সম্মানে সম্মানিত করা হ্য। রকেট বিদ্যার ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টার জন্য মাদ্রাজের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টর অফ সায়েন্স উপাধিতে সম্মানিত করে। ইতিমধ্যে তিনি।SRO ত্যাগ করেন এবং DRDL- এর ডিরেক্টর পদে নিযুক্ত হন। সেখানে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন DRDL-এর আগের ক্ষেপণাস্ত্র বাতিল হওয়ায় সকলের মানসিক অবস্থা ও কাজের গতি পঙ্গু হয়ে রয়েছে। DRDL-এর কর্মীদের ও সংকল্প অত্যন্ত দৃঢ় আগের প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া সত্বেও তারা কাজের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী। তিনি একটি নিচুস্তরের তড়িৎ প্রতিক্রিয়ার ট্যাকটিক্যাল কোর ভেহিকেলস, একটি মাঝারি সাইজের ভূমি থেকে আকাশ অস্ত্র ব্যবস্থা এবং একটি ট্যাংক প্রতিরােধী দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের প্রস্তাব রাখেন। সরকারি মজুরী পত্র DRDL-এ ক্ষেপনাস্ত্র প্রযুক্তি কমিটিতে পেশ করার পর তারা উদ্দীপিত হযে উঠলেন এবং কাজে নামবার জন্য অধীর হয়ে উঠলেন। প্রস্তাবিত প্রকল্পসমূহের নামকরণ হলাে ভারতের আত্মনির্ভরতার সংকল্প অনুযায়ী। ভূমি থেকে ভূমি অস্ত্র ব্যবস্থার নাম হল"PRITHBI" ,ট্যাকটিক্যাল কোর ভেহিকেলসটির নাম হল "ত্রিশূল", ভূমি থেকে আকাশ অঞ্চল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির নাম দেওয়া হল "আকাশ" এবং ট্যাংকপ্রতিরােধী ক্ষেপণাস্ত্র কে। বলা হলাে "নাগ"। আব্দুল কালামের নিজের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন Re-entry experiment launch vehicle (REX)-এর নাম দিলেন" অগ্নি"। পাঁচটি প্রকল্পের দায়িত্ব পাঁচজন যথােপযুক্ত সদস্যকে দেওয়া হল। 12 টি প্রতিষ্ঠান এবং DRDO, কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ(CSIR),ISRO এবং শিল্প সংস্থার ৩০ টি ল্যাবরেটরিতে যুগপৎ ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের কাজ শুরু হ্য। বয়স্ক বিজ্ঞানীদের অভিজ্ঞতা আর তাদের তরুণতর সহকর্মীদের কর্ম কুশলতার মিশ্রণ ঘটিয়ে তিনি কাজের আবহাওযাটিকে সজীব করে রাখতেন। বয়স্ক এবং তরুণদের এই পারস্পরিক নির্ভরতা DRDL-এ একটি উৎপাদনশীল ও সদর্থক কর্মসংস্কৃতি সৃষ্টি করেছিল।
ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমে প্রথম উৎক্ষেপণটি সম্পন্ন হয় ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ ,শ্রীহরিকোটার পরীক্ষার স্থল থেকে "ত্রিশূল "ভূমি ত্যাগ করে এবং প্রকল্পটি সফল হয়। "PRITHBI" উত্থাপিত হল ২৫ শে জানুয়ারি ১৯৮৮ সালে। "PRITHBI" শুধু ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল না, সে ছিল দেশের ভবিষ্যতের সমস্ত দূর নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য একটি আকার নমুনা মডেল। রকেট বিদ্যায় ভারতের মৌলিক সক্ষমতা, নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হয়েছিল।
প্রায় এক দশক আগে ISRO- তে REX নিয়ে আলােচনাকালিন সময়ে তিনি যথেষ্ট নিশ্চিত ছিলেন যে ভারতীয় বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা একযােগে কাজ করলে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। ৫০০রও বেশি বৈজ্ঞানিকের সমন্বযে ঘটেছিল "অগ্নি"টিমে। বহু সংস্থা "অগ্নি "উৎক্ষেপণের বিশাল প্রচেষ্টাকে রূপায়নের কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
নানা সমালােচনা ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ১৯৮৯ সালের ২২ শে মে সকাল সাতটা ১০ মিনিটে অগ্নি সফলভাবে ভূমিত্যাগ করে। পাঁচ বছরের দীর্ঘ পরিশ্রমের পর তাঁরা উৎক্ষেপণ মঞ্চে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিলেন
১৯৯০ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে দেশ তার ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রমের সাফল্য সহষে উদ্যাপন করে। তাঁকে "পদ্মভূষণ "সম্মানে সম্মানিত করা হয়। দেশের ৪৪ তম স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করা হয় "আকাশ "উৎক্ষেপণ দ্বারা।
| ১৯৯০ এর শেষ ভাগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উনাকে ডঃ অফ সায়েন্স উপাধিতে সম্মান দান করা হ্য। IIT মুম্বাই থেকেও তাকে ডক্টর অফ সায়েন্স উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
এপিজে আবদুল কালাম কোন দার্শনিক ছিলেন না, তিনি ছিলেন প্রযুক্তিবিদ মাত্র। সারা জীবন তিনি রকেটবিজ্ঞানের চর্চা করেই কাটিয়েছেন। "অগ্নি"-র প্রথম উৎক্ষেপণে এসে ওনার কাহিনীর সমাপ্তি ঘটে।
এই কাহিনী, জয়নুল আবেদিন, যিনি রামেশ্বরম দ্বীপের মকস স্ট্রিটে একশরও বেশি জীবন ধারণ করে সেখানেই মারা যান, তাঁর পুত্রের কাহিনী, যে ছাত্রকে Shib subramanian আমার এবং ইয়াদুরাই সলােমন বড় করে তুলেছিলেন, তাঁর কাহিনী, একজন ইঞ্জিন্যিার ,যাকে এমজিকে মেনান বেছে নিয়েছিলেন ,প্রবাদ প্রতীক অধ্যাপক সারাভাই তৈরি করেছিলেন, তাঁর পরীক্ষা করবার জন্য জীবনে ব্যর্থতা এসেছে ,পিছিয়ে পড়া এসেছে ,তাঁর কাহিনী, একজন নেতা যাকে সহায়তা দিয়েছিলেন একদল অতি উজ্জল নিজের নিজের পেশায় আত্মনিয়ােজিত একদল মানুষ তাঁর কাহিনী। ওনার বৃদ্ধ পিতামহ আবুল ,পিতামহ পাকির ,পিতা জয়নুল আবেদিন হযে বংশের যে ধারা চলে আসছিল হতাে আব্দুল কালামে এসে সে ধারা লুপ্ত হবে কিন্তু তাঁর করুণা কোনদিনও লুপ্ত হবে না কারণ তা চিরন্তন।
সমাপ্ত
4:00 AM, September 01, 2022