3:30 AM, October 24, 2022
THINK AND GROW RICH
নেপোলিয়ন হিল
:: পরিচয় ::
বিচার করাতে থাকে অসীম শক্তি | আর যদি এই বিচারে উদ্দেশ্য, দৃঢ় নিশ্চয় আর মজবুত ভাবনা চিন্তার সমাবেশ থাকে তাহলে আপনি সব কিছুই পেতে পারেন | একটা ছোটো হার এর উপর প্রয়াস করা ছেড়ে দেওয়া হল অসফলতার প্রধান কারণ প্রত্যেক মানুষই কমবেশি তাঁর জীবনে এই ভুল করেছে | আপনি হচ্ছেন আপনার ভাগ্যের বিধাতা আর মনের রাজা কারণ আমরা নিজেরাই নিজের বিচারের উপর কাবু করতে পারি | নিজের মনকে সঞ্চালন করতে পারি এবং আমাদের নিজেদের মধ্যেই এমন অসীম ক্ষমতা আছে যার দ্বারা আমরা নিজেদের চালনা করতে পারি ও সফলতা আনতে পারি ||
:: ইচ্ছাশক্তি ::
সফলতার দিকে প্রথম পদক্ষেপ হলো অর্থাৎ ধনী হওয়ার দিকে প্রথম পদক্ষেপ হলো ইচ্ছেশক্তি। একটা শক্তিশালী ইচ্ছেশক্তি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ২ রকমের প্রেরণার দিকে লক্ষ্য রাখেন একটা হলো - পুল মোটিভেশন যা আপনাকে নিজের লক্ষ্যের দিকে আকর্ষণ করবে আর| পুশ মোটিভেশন হল যদি আপনি পদক্ষেপ না নেন তাহলে তার ঋণাত্মক দিক আপনাকে ঠেলবে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য | ইচ্ছেশক্তির দমে ধন্যবান হওয়ার জন্য ৬ টি পদক্ষেপ আছে ---
১) আপনি কতটা পরিমান টাকা উপার্জন করতে চান সেটাকে নিশ্চিত করুন আর মনে করুন এটা পর্যাপ্ত নয় আমাকে আরো উপার্জন করতে হবে |
২)আপনাকে নির্ধারিত করতে হবে যে এতটা ধনদৌলত করতে হলে আপনি অনেক কঠোর পরিশ্রমের জন্য ও তৈরী কিনা কারণ কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয় |
৩) একটা তারিখ ঠিক করে নিন যে কত দিন পর্যন্ত আপনি কামাতে চান |
৪) একটা পরিকল্পনা করুন এবং এখন থেকেই তৈরী হয়ে যান তার জন্য এবং এর জন্য যায় আসেনা যে আপনি এখন প্রস্তুত আছেন কী নেই|
৫) একটা কাগজে নোট করে লিখে রাখুন কতটা টাকা কামাতে চান, তারিখ লিখুন এবং তার জন্য আপনি কতদূর যেতে পারবেন এবং পরিকল্পনা লিখে রাখুন যার ভরসায় আপনি ধনদৌলত কামাতে চাইছেন |
৬) আপনার এই লিখে রাখা নোট টাকে দিনে ২ বার পড়ুন সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং ঘুমোতে যাওয়ার আগে আর যখনই পড়বেন সেটা যেন চোখের সামনে ভাসে, অনুভব করুন আর বিশ্বাস করুন যে ওই ধনদৌলত আপনি কামিয়েই নিয়েছেন এছাড়াও নিজেকে সফল ব্যাক্তি হিসেবে দেখুন, আগের সফলতাগুলোকে মনে করুন আগের সফলতা সেটা বড়ো হোক বা ছোটো | লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং লক্ষ্য থেকে কখনো কোনো কারণে সরবেন না নিজের জীবন কার্য ও নিজের সিদ্ধান্তের ওপর বিশ্বাস রাখুন ও এগিয়ে যান ||
:: বিশ্বাস ::
ইচ্ছা প্রাপ্তির জন্য কল্পনা করা আর ওতে বিশ্বাস করা, ধন্যবান হওয়ার দ্বিতীয় পদক্ষেপ হল বিশ্বাস, মনের মুখ্য রসায়ন হল বিশ্বাস যখন বিচারের সঙ্গে বিশ্বাসের সংযোগ হয় তখনি একটা অসীম শক্তির পাশে তা পৌঁছে যায় যা তাকে বাস্তবিক রূপের আকার দেয় | বিশ্বাস হল এমন জিনিস যা একবার ভেঙে গেলে সহজে তা ফিরে পাওয়া যায়না কিন্ত বিশ্বাসকে কীভাবে বিকশিত করা যায়, যদি কোনো ব্যাক্তির কাছে বিশ্বাস এর নাম নিশানা না থাকে তাহলে এটা খুবই মুশকিল সাধ্য কাজ হবে যে এই বিশ্বাস ব্যাপারটা তাকে বোঝানো | আত্মবিশ্বাস এর ফর্মুলাগুলি হলো --
১) আমি জানি যে আমার মধ্যে জীবনের নিশ্চিত লক্ষ্যকে পাওয়ার যোগ্যতা আছে এবং আমি তার জন্য লড়াই করেই যাব এবং আমি তার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ |
২)আমি নিজের মনের একটি প্রতিচ্ছবি তৈরী করবো যে ধরণের মানুষ আমি হতে চাই এবং দিনের ৩০ মিনিট আমি এই কথাটার ওপর একাগ্রো দৃষ্টি রাখবো |
৩) নিজেকে অন্তত ১০ মিনিট দেবেন প্রত্যেক দিন এটা ভাবার জন্য যে আমি নিজের আত্মবিশ্বাসকে বিকশিত করবো |
৪) আমি নিজের জীবনে যা নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সেখান থেকে সরবো না যতক্ষণ না আমার মধ্যে সেই কাজ করার পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস না আসে |
৫) এমন কোনো কাজ করবো না যাতে মানুষের লাভ না হয় এবং এমনি কোনো শক্তিকে আকর্ষিত করবো যা দিয়ে আপনি জীবনে সফলতা পেতে পারেন ||
:: আত্মপরামর্শ ::
অন্তর্মন প্রভাবিত করার একটি মাধ্যম ও ধনবান হওয়ার তৃতীয় পদক্ষেপ | আমাদের জ্ঞানেন্দ্রিয়ের দ্বারা আমরা নিজেকে প্রশমিত করি একেই আত্মপরামর্শ বলে | অপরের পরামর্শ শোনা ভালো তবে সেই পরামর্শকে জীবনের লক্ষ্য করা উচিত নয় নিজের পরামর্শে জীবনের সফলতা তাড়াতাড়ি আসে ||
:: বিশিষ্ট জ্ঞান ::
নিজের অনুভূতিকে অবলোকন করা অর্থাৎ জানা বা চিনতে পারা ও ধনবান হওয়ার চতুর্থ পদক্ষেপ | জ্ঞান ২ প্রকারের হয় এক হলো সামান্য জ্ঞান আর অপরটি হলো বিশিষ্ট জ্ঞান | সামান্য জ্ঞান যতই অধিক হোক না কেন তার প্রয়োগ এবং বিশিষ্ট জ্ঞানের প্রয়োগের মধ্যে অনেক তফাৎ থাকে | অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অধ্যাপকের ধনদৌলত কম থাকে এবং জ্ঞান দেওয়া হলো ওনাদের বিশিষ্টতা কিন্তু তারা এই জ্ঞানের সংগঠন আর ব্যবহারের বিশেষজ্ঞ নন | জ্ঞান ধন্যসম্পত্তিকে আকর্ষণ করে না বরংচ উপযুক্ত জ্ঞানকে ব্যবহার না করলে তার প্রয়োগ না জানলে শুধুমাত্র উপার্জন কেন এই দুনিয়ায় এক পাও চলা অসম্ভব হয়ে পড়ে | জ্ঞানকে কীভাবে কেনা যায় এটা জানা জরুরি - সবথেকে প্রথম কথা হলো আপনি আগে জেনে নিন কোন বিশিষ্ট জ্ঞান আপনার দরকার ?? সঙ্গে এটাও জানা দরকার ওই জ্ঞানের কোন লক্ষ্যকে আপনি আয়ত্ত করতে চান | আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য হলো যার জন্য আপনি কাজ করছেন ভাবতে হবে যে তার জন্য কোন জ্ঞানের আবশ্যকতা আছে | এই জবাব পেয়ে যাওয়ার পরের ধাপ হবে আপনি সেই সঠিক তথ্য জানুন যা আপনাকে মূল স্রোতে নিয়ে যাবে এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো ---
১) আপনার অনুভূতি ও শিক্ষা |
২) আপনার সাহায্যের দ্বারা উপলব্ধ অনুভূত শিক্ষা | ৩)মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়|
৪) সার্বজনীন পুস্তকালয় (অধিক জ্ঞানই এই পুস্তক দ্বারাই অর্জন করা যায় )
:: কল্পনা ::
এটি হলো মনের কার্যশালা ও ধনবান হওয়ার পঞ্চম পদক্ষেপ | কল্পনা হলো বাস্তবের সেই কার্যশালা যেখানে মানুষ আর একবার বানানো পরিকল্পনাকে সঠিক আকারে রূপ দেয় | কল্পনার ২ টো রূপ অর্থাৎ কল্পনা দুভাবে কাজ করে একটা হলো সংশ্লিষ্ট কল্পনা ও অপরটি হলো রচণাত্মক কল্পনা | সংশ্লিষ্ট কল্পনাশক্তি দিয়ে কিছুই রচনা করা যায়না বরংচ অনুভব শিক্ষা আর অবলোকন এর বস্তু হিসেবে কাজ করে যাঁরা আবিষ্কার করেন তাদের বেশিরভাগই এই শক্তির প্রয়োগ করেন | কেউ যদি কোনো কিছু সংশ্লিষ্ট কল্পনার দ্বারা সমাধান করতে না পারেন তো তিনি রচণাত্মক কল্পনার সাহায্য নেবেন | রচণাত্মক কল্পনাশক্তির দ্বারা মানুষ তার সীমাবদ্ধ মনকে অসীম শক্তির দ্বারা সরাসরি সম্পর্ক করেন | এটা হলো সেই শক্তি যার দ্বারা আভাস প্রাপ্ত করা যায় | এই শক্তির দ্বারা সমস্ত নতুন বিচার প্রদান করা হয় মানুষকে | এই শক্তির দ্বারা একজন মানুষ অপর মানুষের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন |
:: সুব্যবস্থিত পরিকল্পনা ::
ইচ্ছাকে কাজের মধ্যে প্রধান করে তোলা ধনবান হওয়ার ষষ্ঠ পদক্ষেপ | আমরা সবাই জানি যে মানুষ যা কিছু সৃজন করেন বা যা আয়ত্ত করেন সেটা ইচ্ছের রূপে শুরু হয় | সফলতা সুনিশ্চিত করার জন্য আপনার কাছে ত্রুটিহীন পরিকল্পনা থাকা চাই | আপনাকে অপরের অনুভূতি, শিক্ষা, প্রাকৃতিক পরিকল্পনা আর কল্পনার লাভ প্রাপ্তি করা উচিৎ | এটা সেইসব উপায় এর সঙ্গে মিল খায় যার অনুসরণ করে প্রত্যেক ধনবান লোক সম্মৃদ্ধশালী হয়েছেন ||
:: নির্ণয় ::
ধনবান হওয়ার সপ্তম পদক্ষেপ | ২৫০০০ অসফল নারী এবং পুরুষের বিশ্লেষণের দ্বারা এই তথ্য সামনে এসেছে যে নির্ণয়তার অভাব অসফলতার ৩১ মুখ্য কারণের শীর্ষে রয়েছে | নির্ণয় হলো জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় | নির্ণয়ের একটা পদক্ষেপ ভুল হলে তা জীবনে বড়ো বিপত্তি ডেকে আনবে | নিশ্চিত নির্ণয় নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সাহসের প্রয়োজন হয় | যতক্ষণ না নির্ণয় সঠিক হয় ততক্ষন পর্যন্ত আপনি কোনো পরিকল্পনা সঠিকভাবে করতে পারবেননা ||
:: নিষ্ঠা ::
বিশ্বাস তৈরী করার সবথেকে জরুরি প্রয়াস ও ধনবান হওয়ার অষ্টম পদক্ষেপ | ইচ্ছাশক্তি আর প্রবল ইচ্ছা যখন সঠিকভাবে মিলে যায় তখন এমন এক জোড় তৈরী হয় যাকে ভাঙতে পারা অসম্ভব | যদি আপনার মনে হয় আপনার নিষ্ঠাতে দুর্বলতা আছে তাহলে নিজের মনকে মাস্টার মাইন্ড এর শক্তিশালী অধ্যায়ে দেওয়া নির্দেশে একাগ্র অর্থাৎ মনস্থির করে নিন | নিজের চারিদিকে মাস্টার মাইন্ডের একটা বেড়ি বানিয়ে নিন ও এর দ্বারা নিজের নিষ্ঠাকে বিকশিত করুন।।
:: মাস্টার মাইন্ড এর শক্তি প্রেরক বল ::
ধনবান হওয়ার নবম পদক্ষেপ | দৌলত কমানোর জন্য ও সফলতা আয়ত্ত করার জন্য শক্তি অনিবার্য এবং সম্পদ আয়ত্ত করার পর তার সংরক্ষণ করার জন্য ও শক্তি অনিবার্য |
১) অসীম শক্তি :- জ্ঞান এর এই স্তোত্র থেকে ওপর কোনো অধ্যায়ে বলা উপায় থেকে সম্পর্ক করা যেতে পারে আর এতে রচণাত্মক কল্পনার সাহায্য নেওয়া যায়।
২)সংগৃহিত অনুভব :- মানুষের সংগৃহীত অনুভূতি কোনো ভালো সর্বজনীন গ্রন্থগারে পাওয়া যায়। এই সংগৃহীত অনুভূতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ সর্বজনীক স্থল কলেজে পড়ানো হয়।
মাস্টার মাইন্ড সিদ্ধান্তের আধ্যাত্মিক রূপ বোঝা একটু বেশি কঠিন।
:: যৌন পরিবর্তনের মুখ্য রহস্য ::
ধনবান হওয়ার দশম পদক্ষেপ। রূপান্তরণ শব্দের সহজ ভাষায় অর্থ হলো কোনো তত্ত্ব যা শক্তি আকারে দ্বিতীয় রূপে পরিবর্তন করা। যৌন ভাবনার পেছনে তিনটি রচণাত্মক সম্ভাবনা আছে -
১) মানব জাতির স্থায়িকরণ।
২) স্বাস্থ্যের সংরক্ষণ।
৩)রূপান্তরের দ্বারা সাধারণ ধাঁচের ব্যাক্তি থেকে জিনিয়াস ব্যাক্তিতে পরিবর্তন।
মানবসমাজে সবচেয়ে শক্তিশালী চাওয়া হলো যৌনতা ও এই চাওয়া এতটাই শক্তিশালী যে ওর জন্য মানুষ তার জীবন, জ্ঞান সবেই ঝুকিপূর্ন পদক্ষেপ নিতে রাজি।
মনের মুখ্য ১০ টি আবেগ হলো -
১) যৌনতার আকাঙ্খা।
২) প্রেম।
৩) খ্যাতি, শক্তি অর্থাৎ আর্থিক লোভ ও ধন-সম্পত্তির প্রবল ইচ্ছা।
৪) সংগীত।
৫) বন্ধুত্ব যা সমলিঙ্গ বা বিপরীত লিঙ্গের মধ্যেও হতে পারে।
৬)দুই অথবা দুইয়ের অধিক লোকেদের মধ্যে সদভাব এর একটি অনন্য সংগঠন যা আধ্যাত্মিক বা পার্থিব উন্নতির জন্য এক হয়ে কাজ করে।
৭) যারা প্রতাড়িত হয়েছে তাদের একসঙ্গে সহ্য করা দুঃখ।
৮) আত্ম-পরামর্শ।
৯) ভয়।
১০) মাদক দ্রব্য অর্থাৎ মদ বা সূরা।
:: অন্তর্মন ::
ধনবান হওয়ার একাদশতমো পদক্ষেপ। মানুষের আচরণ ও কখনো শেষ না হওয়া বুদ্ধির সংযোগ হলো অন্তর্মন। এটি একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। যদি ইচ্ছেকে সঠিকভাবে পুঁতে দিতে না পারো তাহলে আপনি হেরে যাবেন। অন্তর্মনকে মুঠোয় পেতে হলে ৭ টি বড়ো ধণাত্মক আবেগকে প্রয়োগ করা ও নিজের ভালোর জন্য ব্যবহার করা শুরু করুন -- ইচ্ছা, বিশ্বাস, ভালোবাসা, উদ্দম, প্রেম, যৌনতা,আশা ও ৭ টি নেতিবাচক দিককে ত্যাগ করুন যেমন - ভয়, ঘৃণা, ঈর্ষা, প্রতিশোধ, লোভ, রাগ অন্ধবিশ্বাস। ইতিবাচক ও নেতিবাচক ভাবনা ২টো একসাথে মনের মধ্যে থাকতেপারেনা আপনি নিজেই ভাবুন নিজের জীবনে কোনটাকে বেশি প্রভাবিত হতে দেবেন।।শেষে আপনার পুরো মন ইতিবাচক ভাবনায় ভরে উঠবে যার দ্বারা নেতিবাচক কোনো কিছুই আপনার মনে প্রবেশ করতে পারবেনা।।
:: মন ::
ধনবান হওয়ার দ্বাদশ তম পদক্ষেপ ও ইচ্ছে মন্দিরের দরজা। ডাঃ আলেকজেন্ডার গ্রাহাম বেল ডাঃ আল্মর আর গেটস এর সাথে কাজ করতেন ওই সময় লেখক একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন যে প্রত্যেক মানবীয় মন যেকোনো চিন্তার কম্পনকে গ্রহণ করতে পারে আবার অপসারণ ও করতে পারে। এটা তার কর্মকেন্দ্র। সৃষ্টিশীল কল্পনাশক্তি হলো বেতারের গ্রাগযন্ত্র (রিসিভিং সেট ) যার দ্বারা চিন্তার কম্পনকে বায়ুমন্ডল থেকে নেওয়া হয়। যখন কম্পন উচ্চতর হয় তখন চিন্তার কম্পনকে মন আরো গ্রহণ করে। জোর কম্পন হলো এমন একটা কম্পন যাকে বায়ুমন্ডল থেকে নেওয়া হয় আর তা চলে যায় একটা মস্তিষ্ক থেকে আর একটা মস্তিষ্কে।।
:: ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় ::
ধনবান হওয়ার ত্রয়দশ পদক্ষেপ। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে বোঝার জন্য ধ্যান ও নিজের মনের বিকাশের দরকার হয়। একবার যদি আপনি ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়কে আয়ত্তে আনতে পারেন তাহলে আপনার কাছে আগত বিপদ এর আভাস ঠিক সময়ে পাবেন ও তাকে আটকাতে, তার সম্মুখীন হতে পারবেন। যখন আপনার মনে সন্দেহ ও ভয় থাকবে তখন ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় কখনোই কাজ করবেনা। ৬ টা সাধারণ ভয় দারিদ্র, সমালোচনা, অসুস্থতা, ভালোবার অভাব, বার্ধক্য, মৃত্যু। সপ্তম হলো শত্রু যার হাত থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে এমন মানুষ খুঁজতে হবে যে ইতিবাচক ভাবনা ভাবে ও কাজে সাহায্য করে। নিজের চিন্তাভাবনার উপর আয়ত্ত আনতে গেলে ইচ্ছাশক্তির ব্যবহার করুন ও অবচেতন মনে ক্ষমতা আনুন। একে নিজের লাভের জন্য ব্যবহার করুন।
:: ভয় এর ছয় ভুতকে কীভাবে বের করা যায় ::
ধনবান হওয়ার জন্য মস্তিস্ককে খালি রাখতে হবে।এই দর্শনের কোনো অংশকে আপনি সফলতাপূর্বক কাজে লাগাতে পারেন তার আগে আপনার মনকে এটা প্রাপ্ত করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে সেটা অবশ্য খুবই কঠিন নয়।
৬ টা মৌলিক ভয় হলো -
১)গরিবত্বের ভয় :- গরিব ও বড়োলোক বলে কিছু হয়না। এটা সম্পূর্ণ নিজের কাছে। কোনো জিনিস যদি গরিবত্বের দিকে নিয়ে যায় তাহলে তাকে অস্বীকার করতে হবে যদি বড়ো হতে চান তো।
২)আলোচনার ভয় :- উদাসীনতা, অনিবার্য চিন্তা, অতি সাবধানতা, এইসব অতি আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসে যা আপনাকে নেতিবাচক চিন্তার দিকে নিয়ে যায়।
৩) খারাপ স্বাস্থ্যের ভয় :- খারাপ স্বাস্থ্যের ভাবনা সকলেরই থাকে চিন্তা, ভয় ও হতাশা এইগুলো মানুষকে শেষ করে দেয়।
৪) বিচ্ছেদের ভয় :- এই ভয় মহিলাদের অধিক হয় এবং এই ভয় পুরুষদের বহুবিবাহের জন্য বিকশিত হয় ও বিশ্বাসও করা যায়না তাদের মতে।
৫)বার্ধক্যের ভয় :- বৃদ্ধ হলে তার কামনা বাসনা কেউ পূর্ণ করবে কিনা সেই চিন্তা ভাবনা থাকে ও এই সময় নিজের ওপর বিশ্বাসও হারিয়ে যায়।৬)মৃত্যু ভয় :- এই ভয় সবথেকে ভয়াবহ কারণ আমরা জানিনা মৃত্যুর আগে কী হয়। শেক্সপিয়ার মৃত্যুর সম্বন্ধে খুব ভালো কথা বলেছেন " এটা সেই জায়গা যেখানে যাওয়ার পর কেউ ফিরে আসেনা "।।
4:00 AM, September 01, 2022