সাধারণ নীতি এবং নমনীয়তার চেয়ে অনেক বেশি, বইটি পাঠকদের তাদের সত্য এবং গভীরতম আত্ম খুঁজে পেতে এবং ব্যক্তিগত বিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য একটি অনুপ্রেরণাদায়ক আধ্যাত্মিক যাত্রায় নিয়ে যায়, বইটি পাঠকদের একটি অনুপ্রেরণাদায়ক আধ্যাত্মিক, আধ্যাত্মিকতার সন্ধানের যাত্রায় নিয়ে যায়: সত্যের আবিষ্কার এবং আলো ।

এই বইটির সারাংশ বোঝার জন্য, আমরা এটি অধ্যায় অনুসারে বুঝব।

> অধ্যায়-১

*তুমি তোমার মন না*

জ্ঞান - এটা কি?

একবার এক ভিক্ষুক একটি বাক্সে বসে খাবার ও টাকা ভিক্ষা করছিল। একজন ব্যক্তি তার কাছে এসে কিছু খুচরো পয়সার জন্য জিজ্ঞাসা করলেন। ভিক্ষুক বলল, তার কিছু দেওয়ার নেই। লোকটি তাকে জিজ্ঞেস করল, ওই বাক্সে কী আছে? ভিক্ষুক উত্তর দিল, কিছু না, শুধু একটা অকেজো বাক্স। সে প্রায় ৩৬ বছর ধরে এটি বসে আছে । কিন্তু লোকটি পীড়াপীড়ি করে এবং ভিক্ষুককে তা খুলতে হয়েছিল। বাক্সের ভিতর দেখে তারা হতবাক। এটি সোনায় ভরা ছিল।

এই গল্পের মাধ্যমে লেখক একটি বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন যে শান্তি ভিতরে থেকে আসে। অধিকাংশ মানুষ, বাইরের আনন্দ বা পরিপূর্ণতার বর্জিত অংশ, বৈধতা, নিরাপত্তার জন্য খুঁজছেন। যদিও তাদের মধ্যে এমন একটি ধন রয়েছে যেটিতে কেবল সেই সমস্ত জিনিসই অন্তর্ভুক্ত নয় তবে বিশ্বের যে কোনও কিছুর চেয়েও এটি সর্বোত্তম। ভাবনা একটা রোগ হয়ে গেছে। ভারসাম্যের বাইরে চলে গেলে রোগ হয়। উদাহরণস্বরূপ, দেহে কোষ বিভাজন এবং সংখ্যাবৃদ্ধিতে কোনও ভুল নেই। কিন্তু যখন এই প্রক্রিয়াটি ব্যাহত হয়, জিনিসগুলি অনুপাতের বাইরে চলে যায়। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মন একটি দুর্দান্ত যন্ত্র। ভুলভাবে ব্যবহার করা হলে, এটি খুব ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। এটাকে আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, এটা এতটা নয় যে আপনি আপনার মনকে ভুলভাবে ব্যবহার করেন, আপনি সাধারণত এটি একেবারেই ব্যবহার করেন না। এটি আপনাকে ব্যবহার করে। এই যে অসুখ, আপনি বিশ্বাস করেন আপনার মনের, এই হলো ভ্রম। আপনার মন একটি যন্ত্র, একটি হাতিয়ার। একটি টুলের মতো এটি একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়, এবং যখন কাজটি সম্পন্ন হয়, আপনি এটিকে শুইয়ে দেন। এটি যেমন, প্রায় ৮০% মানুষের চিন্তাভাবনা কেবল পুনরাবৃত্তিমূলক এবং অকেজো নয়, এটি নেতিবাচক এবং ক্ষতিকারকও। নিজের দিকে তাকান এবং আপনি এটি সত্য বলে দেখতে পাবেন। এটি আপনার অত্যাবশ্যক শক্তি বের করে দেয়। আলোকিত হওয়া মানে চিন্তার ঊর্ধ্বে উঠে যাওয়া, চিন্তার নিচের স্তরে, প্রাণী বা উদ্ভিদের স্তরে ফিরে যাওয়া নয়। প্রয়োজনের সময় আপনি এখনও আপনার চিন্তাভাবনাকে ব্যবহার করেন, তবে আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী এবং কার্যকর উপায়ে। মন মূলত একটি বেঁচে থাকার যন্ত্র। অন্যান্য মনের বিরুদ্ধে আক্রমণ এবং প্রতিরক্ষা, তথ্য সংগ্রহ করা, সংরক্ষণ করা এবং বিশ্লেষণ করা। এটা কি ভালো, কিন্তু এটা মোটেও সৃজনশীল নয়। সমস্ত সত্যিকারের শিল্পী, তারা জানুক বা না জানুক, অ-মনের জায়গা থেকে, অভ্যন্তরীণ নিস্তব্ধতা থেকে সৃষ্টি করে।

> অধ্যায়-২

*চেতনা: ব্যথা থেকে মুক্তির উপায়*

কারো জীবনই সম্পূর্ণ যন্ত্রণা ও দুঃখমুক্ত নয়। আপনি এখন যে বেদনা তৈরি করেন তা সর্বদা অগ্রহণযোগ্যতার একটি রূপ যা মন সর্বদা এখনকে অস্বীকার করতে এবং এটি থেকে বাঁচতে চায়। আপনি যত বেশি আপনার মনের সাথে পরিচিত হবেন, আপনি তত বেশি কষ্ট পাবেন। অথবা আপনি এটিকে এভাবে বলতে পারেন: আপনি এখন যত বেশি গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন, তত বেশি আপনি ব্যথা, যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হবেন। আপনি যদি আর নিজের এবং অন্যদের জন্য ব্যথা তৈরি করতে না চান তবে এখনই আপনার জীবনের প্রাথমিক একাগ্রতা তৈরী করুন। মন কীভাবে এটিকে সুনির্দিষ্ট করে এবং কীভাবে এই সুনির্দিষ্টিকরণ প্রক্রিয়া, বিচারে বসে চলতে থাকে, ব্যথা এবং অসুখের সৃষ্টি করে তা লক্ষ্য করুন। মনের যান্ত্রিকতা দেখে, আপনি এর প্রতিরোধের ধরণ থেকে বেরিয়ে আসবেন। আপনি অনুভব করেন এমন প্রতিটি মানসিক ব্যথা ,ব্যথার অবশিষ্টাংশ রেখে যায়, যা আপনার মধ্যে বেঁচে থাকে। এটি অতীতের যন্ত্রণার সাথে মিশে যায়, যা আগে থেকেই ছিল, এবং আপনার মনে এবং শরীরে জমা হয়ে যায়। এটি অবশ্যই, শিশু হিসাবে আপনি যে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন তা অচেতনভাবে সৃষ্ট এবং অন্তর্ভুক্ত। এই জমে থাকা ব্যথা একটি নেতিবাচক শক্তি ক্ষেত্র যা আপনার শরীর এবং মন দখল করে। আর এভাবেই আমরা নিজের থেকে শরীরে ব্যথা তৈরি করি। যন্ত্রণা-শরীর বেঁচে থাকতে চায়, অস্তিত্বের প্রতিটি সত্তার মতোই। এবং এটি কেবল তখনই বেঁচে থাকতে পারে যদি এটি আপনাকে অজ্ঞানভাবে এটির সাথে সনাক্ত করতে পারে। এটি তখন উঠে দাঁড়াতে পারে, যখন আপনাকে দখল করতে পারে, এবং আপনার মধ্য দিয়ে বাঁচতে পারে। আপনার মাধ্যমে তার "খাদ্য" পেতে হবে। এটি তার নিজস্ব ধরণের শক্তির সাথে প্রতিধ্বনিত যে কোনও অভিজ্ঞতাকে খাওয়াবে। যেকোন কিছু যা যে কোন আকারে আরও ব্যথা সৃষ্টি করে: রাগ, ঘৃণা, শোক, মানসিক নাটক, সহিংসতা, এমনকি অসুস্থতা। সুতরাং, ব্যথা-শরীর, যখন এটি আপনাকে দখল করবে, তখন আপনার জীবনে এমন পরিস্থিতি তৈরি করবে যা তার নিজস্ব শক্তিকে প্রতিফলিত করে। যন্ত্রণা-শরীরের সঙ্গে অহং-পরিচয়। এর অর্থ হ'ল আপনি আপনার ব্যথা-শরীর থেকে একটি অসুখী নিজেকে তৈরি করেছেন। আর বুঝতে চেষ্টা করুন এই মন-গল্পে আপনি কে। সেক্ষেত্রে, আপনার পরিচয় হারানোর অচেতন ভয় যেকোন বিচ্ছিন্নতার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ তৈরি করবে। যদি এটি আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় তবে নিজের মধ্যে প্রতিরোধটি লক্ষ্য করুন। আপনার ব্যথার সংযুক্তি পর্যবেক্ষণ করুন। খুব সতর্ক থাকুন, অসুখী থেকে আপনি যে অদ্ভুত আনন্দ পান তা পর্যবেক্ষণ করুন। এটা একটা ভৌতিক ছায়াছবির মত, আমরা এগুলো দেখে ভয় পাই, তারপরও আমরা করি, কেন? কারণ এটি আমাদের নাড়িয়ে দেয় এবং আমরা এতে আসক্ত হয়ে পড়ি। অসুখী হওয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা, এটা ভৌতিক ছায়াছবির মত আসক্তি।

ভয়ের উৎপত্তি - আগুনে হাত না দেওয়ার কারণ ভয়ের কারণে নয়, কারণ আপনি জানেন যে আপনি পুড়ে যাবেন। অপ্রয়োজনীয় বিপদ এড়াতে আপনার ভয়ের দরকার নেই শুধুমাত্র ন্যূনতম বুদ্ধি এবং সাধারণ জ্ঞান দরকার। আপনি এখানে এবং এখন আছেন যখন আপনার মন ভবিষ্যতে থাকবে। এটি একটি উদ্বেগের ফাঁক তৈরি করে। এবং যদি আপনি আপনার মনের সাথে পরিচিত হন এবং এখনকার ক্ষমতার সরলতার সাথে স্পর্শ হারিয়ে ফেলেন তবে সেই উদ্বেগ ব্যবধানটি আপনার সর্বদা সঙ্গী হবে। কিন্তু বইটি আপনাকে সরলতার শক্তি নিয়ে বাঁচতে আমন্ত্রণ জানায়, এবং উদ্বেগের ব্যবধান দূর করতে সাহায্য করে। বইটি আপনাকে 'বর্তমানের ক্ষমতা'-এর প্রকৃত অর্থও বলে।

যতক্ষণ আপনি আপনার মনের সাথে পরিচিত হন, অহং আপনার জীবন চালায়। এর প্রকৃতির কারণে, এবং বিস্তৃত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও, অহং খুবই দুর্বল এবং নিরাপত্তাহীন, এবং এটি নিজেকে ক্রমাগত হুমকির মধ্যে দেখে। ভয়ের অনেক কারণ আছে বলে মনে হয়। ক্ষতির ভয়, ব্যর্থতার ভয়, আঘাত পাওয়ার ভয় এবং আরও অনেক কিছু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমস্ত ভয় অহংকার মৃত্যু, বিনাশের ভয় দ্বারা উত্পন্ন হয়। উদাহরণস্বরূপ, এমন একটি আপাতদৃষ্টিতে তুচ্ছ এবং স্বাভাবিক জিনিসও লোকেরা তর্ক করে এবং অন্য ব্যক্তিকে ভুল প্রমাণিত করে, আপনি যে মানসিক অবস্থানটি সনাক্ত করেছেন তা রক্ষা করে। যদি আপনি একটি মানসিক অবস্থানের সাথে সনাক্ত করেন, তাহলে আপনি যদি ভুল হন, তাহলে আপনার মনের ভিত্তিক আত্মবোধ মারাত্মকভাবে ধ্বংসের হুমকির সম্মুখীন হয়। সুতরাং, আপনি অহং হিসাবে ভুল হতে পারে না । ভুল হওয়া মানেই মৃত্যু। এই নিয়ে যুদ্ধ হয়েছে, এবং অসংখ্য সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে। মনে রাখবেন, অহংকারের কারণে, একবার আপনি আপনার মন থেকে আলাদা হয়ে গেলে, আপনি সঠিক বা ভুল কিনা, আপনার আত্মবোধে কোনও পার্থক্য করে না।

> অধ্যায়- ৩

*বিস্তারিত ভাবে জানা যাক*

আপনি ইতিমধ্যেই অচেতন অবস্থার প্রাথমিক যান্ত্রিকতা বুঝতে পেরেছেন: মনের সাথে সনাক্তকরণ, যা একটি মিথ্যা আত্ম, অহং তৈরি করে, আপনার সত্তার মূলে থাকা সত্যের বিকল্প হিসাবে। মন নিজেই অকার্যকর নয়। এটি একটি চমৎকার হাতিয়ার। যখন আপনি এটিতে নিজেকে খুঁজছেন এবং আপনি কে তা ভুল করে ফেলেন তখন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এটি তখন অহংবোধে পরিণত হয় এবং আপনার পুরো জীবনকে দখল করে নেয়। আপনার মনের সাথে পরিচিত হতে হলে সময়ের ফাঁদে পড়তে হয়: স্মৃতি এবং প্রত্যাশার মাধ্যমে প্রায় একচেটিয়াভাবে বেঁচে থাকার বাধ্যবাধকতা। বর্তমান মুহূর্তটিকে সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে অনিচ্ছুক এবং এটি হতে দেওয়া। বাধ্যবাধকতা দেখা দেয় কারণ অতীত আপনাকে একটি পরিচয় দেয় এবং ভবিষ্যত পরিত্রাণের প্রতিশ্রুতি রাখে, যেভাবেই হোক না কেন পূরণের জন্য। দুটোই মায়া।

আধ্যাত্মিক মাত্রার চাবিকাঠি: যে কারণে কিছু লোক বিপজ্জনক ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত হতে পছন্দ করে, যেমন পর্বত আরোহণ, কার রেসিং ইত্যাদি, যদিও তারা এটি সম্পর্কে সচেতন নাও হতে পারে, এটি তাদের বর্তমান মানসিকতা বাধ্য করে। একটি রাষ্ট্র যা সময় মুক্ত, সমস্যা মুক্ত, চিন্তা মুক্ত, ব্যক্তিত্বের বোঝা মুক্ত। প্রাচীনকাল থেকে, সমস্ত ঐতিহ্যের আধ্যাত্মিক গুরুরা বর্তমানকে আধ্যাত্মিক মাত্রার চাবিকাঠি হিসাবে নির্দেশ করেছেন।

এখানে একটি পরীক্ষা আছে । জানালার বাইরের একটি গাছের দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন ,আপনি আগে কয়েকবার দেখেছিলেন, এই দিকে তাকাতে থাকুন, দেখবেন এবার অন্যরকম হবে। বাহ্যিক উপলব্ধি খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি, রঙগুলিকে উজ্জ্বল এবং আরও প্রাণবন্ত বলে মনে হবে। কিন্তু তাতে বর্তমান একটা বাড়তি মাত্রা ছিল। এই ব্যাখ্যা করা কঠিন । আপনি ক্ষণিকের জন্য মুক্ত ছিলেন। আপনি এখন স্থানান্তরিত এবং তাই মনের পর্দা ছাড়া গাছ অনুভূত হয়েছে। সত্তার সচেতনতা আপনার উপলব্ধির অংশ হয়ে উঠেছে। নিরবধি মাত্রার সাথে একটি ভিন্ন ধরনের জ্ঞানে আসে। যে আত্মাকে "হত্যা" করে না, যেটি প্রতিটি প্রাণী এবং প্রতিটি জিনিসের মধ্যে বাস করে।

মনস্তাত্ত্বিক সময় ত্যাগ করা: আপনার জীবনের ব্যবহারিক দিকগুলিতে সময় ব্যবহার করতে শিখুন। আমরা এটিকে "ঘড়ির সময়" বলতে পারি। কিন্তু অবিলম্বে বর্তমান মুহূর্ত সচেতনতা ফিরে পায়। এইভাবে, "মনস্তাত্ত্বিক সময়" তৈরি করা হবে না, যা অতীতের সাথে সনাক্তকরণ এবং ভবিষ্যতের উপর ক্রমাগত প্রভাব ফেলে। অতীতে ক্ষমা না করা অগত্যা মনস্তাত্ত্বিক সময়ের একটি ভারী বোঝা বোঝায়। আলোকিত ব্যক্তিদের মনোযোগের প্রধান কেন্দ্র বর্তমান সবসময়। কিন্তু তারা এখনো সময় সম্পর্কে সচেতন। অন্য কথায়, তারা ঘড়ির সময় ব্যবহার করতে থাকে কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক সময়ের জন্য মুক্ত। যখন মনস্তাত্ত্বিক সময়ের উন্মাদনার কথা আসে, আপনি যদি এর সমষ্টিগত ফলাফলগুলি দেখেন তবে আপনার কোনও সন্দেহ থাকবে না যে মনস্তাত্ত্বিক সময় একটি মানসিক রোগ। এগুলি ঘটে, উদাহরণস্বরূপ, কমিউনিজম, সমাজতন্ত্র বা যেকোনো জাতীয়তাবাদ বা কঠোর ধর্মীয় বিশ্বাস ব্যবস্থার মতো মতাদর্শের আকারে। ভবিষ্যৎ বর্তমানের চেয়ে ভালো হবে এই বিশ্বাস সবসময়ই ভ্রম নয়। বর্তমান ভয়ঙ্কর হতে পারে, এবং ভবিষ্যতে জিনিসগুলি আরও ভাল হতে পারে, এবং প্রায়শই তারা তা করে। সাধারণত, ভবিষ্যৎ অতীতের প্রতিরূপ। ভাসা ভাসা পরিবর্তন সম্ভব, কিন্তু বাস্তব রূপান্তর বিরল এবং নির্ভর করে আপনি বর্তমানের শক্তিতে প্রবেশ করে অতীতকে বিলীন করার জন্য যথেষ্ট উপস্থিত হতে পারবেন কিনা। যদি এই মুহুর্তে আপনার চেতনার গুণ হয় যা ভবিষ্যত নির্ধারণ করে তবে এটি কী আপনার চেতনার গুণমান নির্ধারণ করে? আপনার উপস্থিতির মাত্রা, এর তীব্রতা বোঝায়।

আসুন অন্য একটি উদাহরণ দিয়ে এই ঘটনাটি বুঝতে চেষ্টা করি । কিছু প্রেরণাদায়ক বক্তা তাদের বক্তৃতা দ্বারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে। আপনি এই মুহূর্তে নরকের মতো ভেঙে পড়েছেন এবং ভবিষ্যত এতটা আশাব্যঞ্জক বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু তার দেওয়া বক্তৃতা শুনে উৎসাহে আপনি সিদ্ধান্ত নেন বড় লক্ষ্য অর্জনের। কিন্তু আপনি যখন সেই দিকে কিছু দিন কাজ করেন, তখন আপনি অনুভব করেন যে লক্ষ্যটি আপনার থেকে অনেক দূরে এবং আপনি আশা হারান এবং নিয়মিত সময়সূচীতে ফিরে যান। তাহলে, সমাধান কি? সমাধান বর্তমান এর পরবর্তী দশ মিনিট। আপনাকে একটি প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে না, আপনাকে শুধু একটি ইট লাগাতে হবে। ১০ মিনিট পর সেখানে আরেকটি ইট রাখুন। এটি সহজ । আপনি এখন অসুখী এবং সম্পূর্ণরূপে উপস্থিত উভয়ই হতে পারবেন না। অতীতের কিছু জিনিস আপনি যেভাবে যেতে দিতে চেয়েছিলেন সেভাবে যায় নি। আশাই আপনাকে এগিয়ে রাখে, কিন্তু আশাই আপনাকে ভবিষ্যতের দিকে মনোনিবেশ করায় এবং এই অবিরত ফোকাস আপনাকে বর্তমানে থাকতে অস্বীকার করায় এবং তাই আপনার অসুখের কারণ হয়। এটা সত্য যে আপনার বর্তমান জীবনের পরিস্থিতি অতীতে ঘটে যাওয়া জিনিসগুলির ফলাফল, তবে এটি এখনও আপনার বর্তমান পরিস্থিতি, এবং এতে আটকে থাকা আপনাকে অসুখী করবে। আপনার ইন্দ্রিয় সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করুন। আপনি যেখানে আছেন সেখানে থাকুন। চারপাশে তাকান । শুধু দেখুন, ব্যাখ্যা করবেন না। আলো, আকার, রং, টেক্সচার দেখুন। প্রতিটি জিনিসের নীরব উপস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হন। শব্দ শুনুন; তাদের বিচার করবেন না। শব্দের ভেতরের নীরবতা শুনুন। কোনো কিছু স্পর্শ করুন - যেকোনো কিছু এবং অনুভব করুন এবং তার অস্তিত্বকে স্বীকার করুন। আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দ পর্যবেক্ষণ করুন: ভিতরে এবং বাইরে প্রবাহিত বাতাস অনুভব করুন, আপনার শরীরের ভিতরে জীবন শক্তি অনুভব করুন।

সত্তার আনন্দ: আপনি যা করছেন তাতে যদি কোনো আনন্দ, স্বাচ্ছন্দ্য বা হালকা অনুভূতি না থাকে তবে এর মানে এই নয় যে আপনি যা করছেন তা পরিবর্তন করতে হবে। এটি কীভাবে পরিবর্তন করার জন্য যথেষ্ট হতে পারে। আপনি এটির মাধ্যমে যে ফলাফল অর্জন করতে চান তার চেয়ে আপনি কাজের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দিতে পারেন কিনা দেখুন। মুহূর্তটি যা কিছু উপস্থাপন করে তার প্রতি আপনার পূর্ণ মনোযোগ দিন। যে মুহুর্তে আপনার মনোযোগ বর্তমান মুহুর্তে ফোকাস করে, আপনি একটি উপস্থিতি, একটি স্থিরতা, একটি শান্তি অনুভব করেন। পরিপূর্ণতা এবং সন্তুষ্টির জন্য আপনি আর ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করবেন না। অতএব, আপনার ফলাফল সংযুক্ত করা হয় না । ব্যর্থতা বা সাফল্য কোনটাই আপনার ভেতরের অবস্থা পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না। আপনি আপনার জীবনের উপর আরও নিয়ন্ত্রণ অনুভব করবেন।

> অধ্যায় -৪

*বর্তমান এড়াতে মনের কৌশল*

এমনকি যদি আমরা পুরোপুরি মেনে নিই যে শেষ পর্যন্ত সময়টি একটি মায়া, তাতে আমার জীবনে কী পার্থক্য হবে? আমাকে এখনও এমন এক পৃথিবীতে বাস করতে হবে যা সম্পূর্ণরূপে সময়ের আধিপত্যপূর্ণ। এটি কেবল আরেকটি বিশ্বাস এবং এটি আপনার জীবনে খুব বেশি পার্থক্য আনবে না। এই সত্য উপলব্ধি করার জন্য, আপনাকে এটিকে বাঁচতে হবে। যখন আপনার শরীরের প্রতিটি কোষ এমনভাবে উপস্থিত থাকে যে এটি আপনার জীবনের সাথে প্রাণবন্ত অনুভব করে, এবং আপনি যখন সেই জীবনকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করতে পারেন, তখন বলা যেতে পারে যে আপনি সময় মুক্ত। কিন্তু আমাদের এখনও আগামীকাল বিল দিতে হবে, এবং আমরা এখনও বৃদ্ধ হতে যাচ্ছি এবং অন্য সবার মতোই মারা যাব। তাহলে কিভাবে আমরা কখনই বলতে পারি যে আমরা সময় মুক্ত? আগামীকালের বিলের সমস্যা নেই, ভৌতিক শরীর দ্রবীভূত হওয়ার সমস্যা নেই। এখন ক্ষতি হল সমস্যা বা বরং মূল বিভ্রম যা একটি নিছক পরিস্থিতি, ঘটনা বা আবেগকে একটি ব্যক্তিগত সমস্যা এবং কষ্টে পরিণত করে। সময়ের মুক্ত থাকা মানে আপনার পরিচয়ের জন্য অতীতের মানসিক চাহিদা থেকে মুক্ত হওয়া এবং আপনার পূরণের জন্য ভবিষ্যতের।

সাধারণ এবং গভীর চেতনা: অচেতনতার বিভিন্ন স্তর বলতে আমরা কী বুঝি? আপনি সম্ভবত জানেন, ঘুমের মধ্যে আপনি ক্রমাগত স্বপ্নহীন ঘুমের পর্যায় এবং স্বপ্নের অবস্থার মধ্যে চলে যান। একইভাবে, জাগ্রত অবস্থায় বেশিরভাগ লোকেরা কেবল সাধারণ অচেতনতা এবং গভীর অচেতনতার মধ্যে স্থানান্তরিত হয়। সাধারণ চেতনা কাকে বলে? এর অর্থ হল আপনার চিন্তার প্রক্রিয়া এবং আবেগ, আপনার প্রতিক্রিয়া, ইচ্ছার সাথে চিহ্নিত করা। এটা বেশিরভাগ মানুষের স্বাভাবিক অবস্থা। সেই অবস্থায়, আপনি অহংকারী মন দ্বারা চালিত হন, এবং আপনি সত্তা সম্পর্কে অবগত নন। এটি একটি তীব্র ব্যথা বা অসুখের অবস্থা নয়, বরং প্রায় ক্রমাগত নিম্ন স্তরের অস্বস্তি, একঘেয়েমি বা নার্ভাসনেস। আপনি এটি বুঝতে পারেন না কারণ এটি "স্বাভাবিক" জীবনযাপনের একটি অংশ। যখন গভীর অচেতনতার কথা আসে, তখন সাধারণ অচেতনতার অস্বস্তি গভীর অচেতনতার যন্ত্রণায় পরিণত হয়। আরও তীব্র এবং আরও স্পষ্ট যন্ত্রণা বা অসুখের অবস্থা হয়ে দাঁড়ায় । যখন জিনিসগুলি "ভুল হয়ে যায়", যখন অহংকে হুমকি দেওয়া হয় বা একটি সম্পর্কের মধ্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ, হুমকি বা ক্ষতি, দ্বন্দ্ব হয়। এটি সাধারণ অচেতনতার একটি তীব্র সংস্করণ। তাই, এখন কিভাবে সাধারণ অচেতনতাকে দ্রবীভূত করে সচেতন করা যায় সেটি ভাবতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বিচারের মাধ্যমে আপনার মধ্যে অস্বস্তি, অসন্তোষ এবং উত্তেজনা তৈরি হওয়ার অনেক উপায় লক্ষ্য করুন। একবার আপনি কীভাবে সাধারণ অচেতনতা দ্রবীভূত করতে জানেন, আপনার উপস্থিতি আরও ভাল হয়ে উঠবে এবং যখনই আপনি এর মহাকর্ষীয় টান অনুভব করবেন তখন গভীর অচেতনতার সাথে মোকাবিলা করা আরও সহজ হবে। আত্ম-পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এটিকে আপনার মানসিক-আবেগিক অবস্থার অভ্যাস করুন। আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন: "এই মুহূর্তে আমার ভিতরে কি চলছে?" আপনার ভিতরে কী ঘটছে তা নিয়ে অন্তত ততটা আগ্রহী হোন যতটা বাইরে কী ঘটে।

> অধ্যায়- ৫

*অসুখ থেকে মুক্তি*

হতে পারে আপনার সুবিধা নেওয়া হচ্ছে, হতে পারে আপনি যে কার্যকলাপে নিযুক্ত আছেন তা আপনার পক্ষে যাচ্ছে না, হতে পারে আপনার কাছের কেউ অসৎ, বিরক্তিকর, বা কিন্তু এই সব অপ্রাসঙ্গিক। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা এবং আবেগ ন্যায্য কিনা বা কোন পার্থক্য করে না। আসল কথা হল আপনি যা আছে তা প্রতিহত করছেন, আপনি বর্তমান মুহূর্তকে শত্রুতে পরিণত করছেন। আপনি অসুখী, ভিতরের এবং বাইরের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করছেন। আমরা কিভাবে নেতিবাচকতা বাদ দিতে পারি? উ: -ত্যাগ করে । আপনি আপনার হাতে ধরে থাকা গরম কয়লার টুকরোটি কীভাবে ফেলে দেবেন? আপনি কিভাবে কিছু ভারী এবং অকেজো লাগেজ যে আপনি বহন করছেন ফেলে দেবেন ? এখানে বোঝা যাচ্ছে আপনি আর ব্যথা সহ্য করতে চান না বা বোঝা বহন করতে চান না। দেখুন আপনি নিজের অভিযোগ ধরতে পারেন কিনা, বক্তৃতা বা চিন্তাভাবনায়, পরিস্থিতি সম্পর্কে, অন্য লোকেরা কী করে বা বলে, আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থা, আপনার জীবন পরিস্থিতি, এমনকি আবহাওয়া। অভিযোগ করা সর্বদা যা হয় তার অগ্রহণযোগ্যতা। যখন আপনি অভিযোগ করেন, আপনি নিজেকে শিকারে পরিণত করেন। আপনি যখন লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন আপনি আপনার ক্ষমতায় থাকেন। সুতরাং, ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিস্থিতি পরিবর্তন করুন।

আপনার জীবনের যাত্রার অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্য: আপনি যখন যাত্রা করছেন, তখন আপনি কোথায় যাচ্ছেন বা অন্তত কোন সাধারণ দিক দিয়ে আপনি যাচ্ছেন তা জানা অবশ্যই সহায়ক, কিন্তু ভুলে যাবেন না: একমাত্র জিনিস যা শেষ পর্যন্ত বাস্তব। আপনার যাত্রা সম্পর্কে আপনি এই মুহূর্তে যে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তা হল সঠিক। আপনার জীবনের যাত্রার একটি বাহ্যিক উদ্দেশ্য এবং একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্য রয়েছে। বাহ্যিক উদ্দেশ্য হল আপনার লক্ষ্য বা গন্তব্যে পৌঁছানো, আপনি যা করতে স্থির করেছেন তা অর্জন করা, এটি বা সেটি অর্জন করা। কিন্তু যদি আপনার গন্তব্য, বা আপনি ভবিষ্যতে যে পদক্ষেপগুলি নিতে চলেছেন, আপনার মনোযোগ এত বেশি গ্রহণ করেন যে সেগুলি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে তাহলে আপনি ভ্রমণের অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্য সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলবেন ।

> অধ্যায়-৬

*অভ্যন্তরীণ দেহ হল আপনার গভীরতম আত্ম*

শরীরের গভীরে শিকড় থাকার গুরুত্ব সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে। এটা কি এটা দ্বারা বোঝানো হয়েছে ব্যাখ্যা করা যাবে? শব্দের বাইরে দেখুন, যদি একজন ব্যক্তির 'পাপ' শব্দটি পছন্দ না হয় এবং এই জাতীয় অন্যান্য শব্দ। এটি বোঝায় যে ব্যক্তির বিচার হচ্ছে এবং দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, অনেকে, পাপ, এবং এই জাতীয় শব্দগুলিকে ভুল উপায়ে ব্যাখ্যা করেছেন। আপনি যদি এই ধরনের ব্যাখ্যার বাইরে দেখতে অক্ষম হন এবং তাই শব্দটি যে বাস্তবতাকে নির্দেশ করে তা চিনতে না পারেন, তাহলে এটি ব্যবহার করবেন না। মধু শব্দটি মধু নয়। আপনি যতক্ষণ খুশি মধু সম্পর্কে অধ্যয়ন এবং কথা বলতে পারেন। কিন্তু, যতক্ষণ না আপনি এটির স্বাদ না পান, আপনি সত্যিই এটি জানতে পারবেন না। চেখে দেখার পর এটি বুজবেন। শব্দটি আপনার কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আপনি আর এটি সংযুক্ত করতে চাইবেন না । একইভাবে আপনি সারাজীবন ঈশ্বরের কথা বলতে পারেন বা ভাবতে পারেন, কিন্তু তার মানে এই না যে আপনি এই শব্দটি খুব গভীরভাবে জানেন ।

অভ্যন্তরীণ শরীরের সাথে সংযোগ: শরীরের দিকে আপনার মনোযোগ নির্দেশ করুন। ভেতর থেকে অনুভব করুন। এটা কি জীবিত? আপনার হাতে, বাহুতে, পায়ে কি প্রাণ আছে? আপনি কি সেই সূক্ষ্ম শক্তি ক্ষেত্রটি অনুভব করতে পারেন যা সমগ্র শরীরে প্রবাহিত হয় এবং প্রতিটি অঙ্গ এবং প্রতিটি কোষকে প্রাণবন্ত জীবন দেয়? আপনি কি শরীরের সমস্ত অংশে শক্তির একক ক্ষেত্র হিসাবে অনুভব করতে পারেন? কয়েক মুহুর্তের জন্য আপনার অভ্যন্তরীণ শরীরের অনুভূতির উপর ফোকাস রাখুন। এটা নিয়ে ভাবতে শুরু করবেন না। এটা অনুভব করুন । আপনি এটিকে যত বেশি মনোযোগ দেবেন, এই অনুভূতি তত স্পষ্ট এবং শক্তিশালী হবে। এটি মনে হবে যেন প্রতিটি কোষ আরও জীবন্ত হয়ে উঠছে, এবং যদি আপনার একটি শক্তিশালী চাক্ষুষ বোধ থাকে, তাহলে আপনি আপনার শরীরের উজ্জ্বল হয়ে উঠার একটি চিত্র পেতে পারেন। যদিও এই ধরনের একটি ইমেজ আপনাকে সাময়িকভাবে সাহায্য করতে পারে। যেকোনো ছবির চেয়ে অনুভূতির প্রতি বেশি মনোযোগ দিন।

শরীরে এবং মন: শরীরে কথা যখন আসে, তখন রোগ, বার্ধক্য এবং মৃত্যু, অন্তরঙ্গভাবে বাস্তব - আপনি কিন্তু নন। আপনার অভ্যন্তরীণ দেহের সাথে এটিকে সর্বদা অনুভব করার জন্য স্থায়ীভাবে সংযুক্ত থাকাটাই মূল বিষয়। এটি আপনার জীবনকে দ্রুত গভীর ও রূপান্তরিত করবে। এই উচ্চ শক্তির স্তরে, নেতিবাচকতা আপনাকে আর প্রভাবিত করতে পারে না এবং আপনি নতুন পরিস্থিতিতে আকর্ষণ করার প্রবণতা রাখেন যা এই উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি প্রতিফলিত করে। যতটা সম্ভব শরীরে মনযোগ রাখলে, আপনি এখন নোঙর হয়ে যাবেন। আপনি বাহ্যিক জগতে নিজেকে হারাবেন না, এবং আপনি আপনার মনে নিজেকে হারাবেন না। চিন্তাভাবনা এবং আবেগ, ভয় এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি এখনও কিছু পরিমাণে থাকতে পারে, কিন্তু তারা আপনাকে দখল করবে না। এর কিছু উপকারিতাও রয়েছে, যা বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত যেমন, বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা ইত্যাদি।

শ্বাস কে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে দিন: আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন, যখন আপনার মন খুব সক্রিয় থাকে, তখন এটি এমন গতি অর্জন করে যে আপনি এটি থেকে আমার মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া এবং অভ্যন্তরীণ শরীর অনুভব করা অসম্ভব বলে মনে করেন। এটি বিশেষ করে ঘটে যখন আপনি একটি উদ্বেগজনক অবস্থায় পড়েন। কিভাবে এটা সমাধান করবেন ? যখনই আপনি এটি আপনার সাথে ঘটতে দেখেন তখন সাধারণত প্রথমে আপনার শ্বাসের উপর ফোকাস করা সহজ হয়। সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস যা নিজের অধিকারে একটি শক্তিশালী ধ্যান, ধীরে ধীরে আপনাকে শরীরের সংস্পর্শে আনবে। এটি আপনার শরীরের বাইরে চলে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার মনোযোগ সহ শ্বাস অনুসরণ করুন। শরীরে প্রবেশ করুন এবং অনুভব করুন আপনার পেট প্রসারিত হচ্ছে। এবং প্রতিটি শ্বাস এবং নিঃশ্বাসের সাথে সামান্য সংকোচন। এটা সহজ পদ্ধতি।

> অধ্যায়-৭

*অপ্রকাশিত পোর্টাল*

এই অধ্যায়ে টোলার , বিভিন্ন উপায় বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা এখন আমরা সর্বদা আমাদের সাথে বহন করি। এখানে কিছু লোকের সম্বন্ধে বলা হয়েছে যারা তাদের নিজস্ব একটি পোর্টাল আবিষ্কার করেছে। একজন ব্যক্তি হলেন একজন মহিলা যার সন্তান বড় হয়েছে এবং যিনি প্রচন্ড ক্ষতি এবং হৃদয়ে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। তবে একদিন তাকে ২ বছরের একটি ছেলেকে বন্ধুর জন্য দেখা শুনা করতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেছিলেন যে এই ছোট ছেলেটির সাথে থাকা, বাচ্চাদের বইগুলি বের করা যা প্যাক করা ছিল। তার বাচ্চাদের পুরানো খেলনা খুঁজে পাওয়া, তাকে এক ধরনের সরলতা এবং বিশুদ্ধতা খুলে দিয়েছে যা সে বছরের পর বছর অনুভব করেনি। অন্য ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি যিনি বেহালা তৈরির শিল্প গ্রহণ করেছেন। তিনি সম্প্রতি তার প্রথম যন্ত্রটি সম্পন্ন করেছেন এবং এই কাজের মধ্যে তাকে যে মনোযোগ এবং আনন্দের বর্ণনা দিয়েছেন তার বর্ণনা শুনে তার সাথে এই পোর্টালের স্বাদ অনুভব করা যায় । এখানে টোল আমাদের কিছু পোর্টালের পরামর্শ দেন যা আমরা সম্ভবত ব্যবহার করতে পারি।

১. শরীরের ক্ষেত্রে টোল, গভীরভাবে প্রবেশ করার সুপারিশ করেন যে আমরা একবারে ১৪ থেকে ১৫ মিনিটের অভ্যন্তরীণ শক্তিতে উপস্থিত থাকার অনুশীলন করি।

২. চি-এর উৎস - তিনি বলেছেন যে আমরা বাহ্যিক জগত থেকে মনোযোগ সরিয়ে অভ্যন্তরীণ শক্তি অনুভব করার জন্য শৃঙ্খলা বিকাশ করার সাথে সাথে আমরা চি-এর প্রবাহ খুলি।

৩. স্বপ্নহীন ঘুম - টোল দাবি করেন যে আমরা ঘুমের সময় অপ্রকাশিত প্রবেশ করি, কিন্তু যতক্ষণ না আমরা সচেতনভাবে প্রবেশ করি ততক্ষণ পর্যন্ত এটি মুক্তি পায় না।

৪. নীরবতা - টোল নীরবতাকে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ পোর্টাল হিসাবে চিহ্নিত করেন। যেহেতু আমাদের সমস্ত উদ্ভাসিত অভিজ্ঞতা শব্দ এবং নীরবতার অন্তঃপ্রকাশের মাধ্যমে তৈরি হয়৷ তিনি সুপারিশ করেন যে আমরা শব্দগুলির মধ্যে নীরবতার দিকে বিশেষ মনোযোগ দিই।

> অধ্যায়-৮

*আলোকিত সম্পর্ক*

আমরা নিজেদেরকে যে কষ্ট দিয়ে থাকি তার একটা বড় অংশ সম্পর্ক জড়িত। আমাদের সংস্কৃতি ক্রমাগত আমাদের এই বার্তা দিয়ে বোমাবাজি করে যে আমরা মহান সম্পর্কের অধিকারী (বিশেষত রোমান্টিক সম্পর্কগুলি) এবং আমরা তাদের ছাড়া কখনই সুখী হতে পারি না। এটা কোন আশ্চর্যের বিষয় নয়, তাহলে বিবেচনা করুন কিভাবে আমরা সম্পর্কগুলোকে বর্তমান থেকে আমাদের দূরে টেনে নিতে দিই। এবং অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চাপের দিকে যেতে দিই ।

আপনি যেখানেই থাকুন না কেন বর্তমানেই প্রবেশ করুন, লোকেরা সম্পর্ককে ভবিষ্যতের অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে মনে করে যা তাদের "সংরক্ষণ" করবে, বিশেষ করে রোমান্টিক সম্পর্ক। এটা নিশ্চয়ই আমাদের ক্ষেত্রেও হয়েছে। আসলে আমরা অনেকেই মনে করি কেউ আমাদের জীবনে আসবে এবং আমাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে। "সত্যিকারের পরিত্রাণ" হল অপ্রতুলতা এবং ভয়ের অনুভূতি থেকে মুক্তির একটি রাষ্ট্র। এমন কিছু নেই যা আমরা অর্জন করতে পারি বা অনুভব করতে পারি যা আমাদের এই স্বাধীনতার কাছাকাছি নিয়ে যাবে যা আমরা ইতিমধ্যেই আছি।

প্রেম/ঘৃণার সম্পর্ক: রোমান্টিক প্রেম আসলে অনেকটা আসক্তির মতো। এবং আপনারা অনেকেই এর সাথে সম্পর্কিত হতে পারেন। (আসক্তি আধ্যাত্মিক শক্তিকে হারিয়ে ফেলে।) প্রতিটি আসক্তিই আপনার নিজের কষ্টের মুখোমুখি হতে এবং চলাফেরা করতে অজ্ঞান প্রত্যাখ্যান থেকে উদ্ভূত হয়। প্রতিটি নেশা ব্যথা দিয়ে শুরু হয় এবং ব্যথা দিয়ে শেষ হয়। আপনি অ্যালকোহল, খাবার, মাদক বা একজন ব্যক্তির প্রতি আসক্ত যে পদার্থই আসুক না কেন, আপনি আপনার ব্যথা ঢাকতে কিছু বা কাউকে ব্যবহার করছেন। তাই, প্রাথমিক উচ্ছ্বাস কেটে যাওয়ার পরে, অন্তরঙ্গ সম্পর্কের মধ্যে এত অসুখ, এত বেদনা। এবং এখানে একটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ যে তারা ব্যথা এবং অসুখের কারণ হয় না। তারা ইতিমধ্যে আপনার মধ্যে যে বেদনা এবং অসুখী আছে তা বের করে আনে। প্রতিটি আসক্তি তা করে। আর প্রতিটা আসক্তিতেই এমনটা হয়, আপনি এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছে যান যে, সেখানে গিয়ে আর কাজ হয় না, আর তখন আপনি আগের থেকে বেশি তীব্রভাবে ব্যথা অনুভব করেন। তাই, এখানে আসলে কী হয়, সম্পর্কগুলোকে সক্রিয় করে ব্যথা-শরীরে যখন আমরা থাকি। "নিরাময়" করার জন্য আমাদের অবশ্যই মনের সাথে পরিচিত হতে হবে এবং এখনই সংযোগ করতে হবে। প্রকৃতপক্ষে, যে মুহূর্তে রায় যা আছে তা গ্রহণের মধ্য দিয়ে থেমে যায়, আপনি মন থেকে মুক্ত। আপনি প্রেমের জন্য, আনন্দের জন্য, শান্তির জন্য জায়গা করে দিয়েছেন। প্রথমে আপনি নিজেকে বিচার করা বন্ধ করুন; তাহলে আপনি আপনার সঙ্গীকে বিচার করা বন্ধ করবেন। সম্পর্কের পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বড় অনুঘটক হল আপনার সঙ্গীকে সে যেমন আছে তার সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্যতা, কোনোভাবেই বিচার বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছাড়াই। আপনি ইতিমধ্যে মুক্ত থাকাকালীন যদি আপনার সঙ্গীকে এখনও মন এবং ব্যথা-শরীর দ্বারা চিহ্নিত করা হয় তবে এটি আপনার জন্য নয়, আপনার সঙ্গীর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করবে। একজন আলোকিত ব্যক্তির সাথে বাস করা সহজ নয়, বরং এটি এত সহজ যে অহং এটিকে অত্যন্ত হুমকিস্বরূপ মনে করে। মনে রাখবেন যে অহংকে সমস্যা, দ্বন্দ্ব এবং "শত্রুদের" প্রয়োজন বিচ্ছিন্নতার বোধকে শক্তিশালী করার জন্য যার উপর তার পরিচয় নির্ভর করে। একটি সাধারণ নিয়ম হিসাবে, পুরুষদের জন্য প্রধান বাধা হল চিন্তাশীল মন, এবং মহিলাদের জন্য প্রধান বাধা হল ব্যথা - শরীর, যদিও নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এর বিপরীতটি সত্য নাও হতে পারে।

নিজের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করুন: যখন আমরা বর্তমানে থাকার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হই, তখন আমরা আমাদের পূরণ করার জন্য বিপরীত লিঙ্গের প্রয়োজনের উপরে উঠার ক্ষমতা বিকাশ করি। বিষয় হচ্ছে আমাদের যা প্রয়োজন তা রয়েছে। আপনি যদি একা থাকাকালীন নিজের সাথে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে না পারেন তবে আপনি আপনার অস্বস্তি ঢাকতে একটি সম্পর্ক খুঁজবেন। আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে অস্বস্তিটি সম্পর্কের মধ্যে অন্য কোনও আকারে আবার দেখা দেবে। এবং আপনি সম্ভবত আপনার সঙ্গীকে এর জন্য দায়ী করবেন ।

> অধ্যায়-৯

*সুখ-অসুখের বাইরে শান্তি আছে*

ভাল এবং খারাপের বাইরে উচ্চতর ভাল: জিনিসগুলি যেমন আছে সেভাবে গ্রহণ করা শান্তির অভিজ্ঞতার প্রথম পদক্ষেপ। ভাল এবং খারাপের দ্বৈতবাদের বাইরে যান এবং ধরে নিন যে প্রতিটি পরিস্থিতি, এমনকি বেদনাদায়কও আমাদের শান্তির দিকে নিয়ে যেতে পারে। হতে পারে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করার পরে সম্পূর্ণ আর্থিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং রক বটমকে আঘাত করেছেন তবে আমাকে বিশ্বাস করুন এতেও একটি আলোকিততা রয়েছে। দুর্ভোগ জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়, কষ্ট জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়। এমনকি বুদ্ধও জ্ঞানলাভ করেছিলেন যখন তিনি জগতের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট দেখেছিলেন এবং সেই কষ্ট তাঁর ভিতরেও অনুভব করেছিলেন। আর সেই কষ্টই তাকে জ্ঞানার্জনের দিকে নিয়ে যায়। আমরা হয়তো সেই মানুষ নই যে অন্যের কষ্ট দেখে কষ্ট অনুভব করতে পারি। কিন্তু আমরা অবশ্যই নিজেদের কষ্টের দ্বারা আলোকিত হয়েছি। জীবনের বেশিরভাগ "খারাপ" জিনিসগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য অহংকার দ্বারা তৈরি হয়। আমরা যখন অন্য অহংকার সাথে যুদ্ধ করি তখন আমরা নাটক তৈরি করতে পারি। আপনি যখন যা আছে তার সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্যতায় বাস করেন, তখনই আপনার জীবনের সমস্ত নাটকের সমাপ্তি হয়। কেউ আপনার সাথে তর্কও করতে পারে না, সে যতই চেষ্টা করুক। যদিও শারীরিক ব্যথা একটি বাস্তবতা হতে পারে, সমস্ত দুঃখকষ্ট জিনিসগুলিকে যেমন আছে তেমন গ্রহণ করার জন্য অহমের প্রতিরোধের দ্বারা তৈরি হয়। এটা অহং যে এই ধরনের জিনিস ভাল বা খারাপ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে।আধ্যাত্মিক উপলব্ধির জন্য ডাউন চক্র একেবারে অপরিহার্য। আপনি অবশ্যই কোনো না কোনো স্তরে গভীরভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বা আধ্যাত্মিক মাত্রায় আকৃষ্ট হওয়ার জন্য কোনো গভীর ক্ষতি বা ব্যথা অনুভব করেছেন। অহং বাস্তবতা চেষ্টা এবং ম্যানিপুলেট নেতিবাচক ব্যবহার করে।মানুষই পৃথিবীতে একমাত্র প্রাণের রূপ যে নেতিবাচকতা জানে। এবং যখন আমরা নেতিবাচকতার উদ্ভব অনুভব করি তখন আমরা আমাদের পরিবেশকে দূষিত করতে এটি ব্যবহার করি। আমরা উপস্থিত থাকতে বেছে নিতে পারি এবং "জেগে ওঠা" এবং মনের খেলাগুলি ছেড়ে দিতে পারি। আপনি যখন যা আছে তা গ্রহণ করতে শুরু করেন, তখন প্রতিটি মুহূর্ত সেরা সম্ভাব্য মুহূর্ত হয়ে ওঠে। পৃথিবীতে গভীর দুঃখ আছে। উদাহরণস্বরূপ, প্রচুর সংখ্যক লোক রয়েছে যারা ক্ষুধার্ত। এই ব্যবহারিক সমস্যাগুলিকে মোকাবেলা করার জন্য মূল্যবান কিন্তু জোর দিয়ে বলেন যে আমরা কখনই অগ্রসর হব না যদি না আমরা স্বীকার করি যে মূল সমস্যাটি হল সাধারণ অসচেতনতার অবস্থা।

> অধ্যায়-১০

*আত্মসমর্পণের অর্থ*

বর্তমানকে গ্রহণ: আত্মসমর্পণ হল জীবনের প্রবাহের বিরোধিতা না করে আত্মসমর্পণ করার সহজ কিন্তু গভীর প্রজ্ঞা। আপনি যদি আপনার জীবনের পরিস্থিতি অসন্তোষজনক বা এমনকি অসহনীয় মনে করেন, তবে প্রথমে আত্মসমর্পণ করলেই আপনি সেই অচেতন প্রতিরোধের প্যাটার্নটি ভেঙে ফেলতে পারেন যা সেই পরিস্থিতিকে স্থায়ী করে।

মনের শক্তি থেকে আধ্যাত্মিক শক্তি: প্রতিরোধকে ত্যাগ করা শুরু হয় প্রতিরোধকে স্বীকার করার মাধ্যমে। উপস্থিত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন এবং লক্ষ্য করুন কিভাবে মন এটিকে লেবেল এবং বিচার করতে চায়। আমরা যখন প্রতিরোধকে স্বীকার করি তখন আমরা প্রতিক্রিয়াশীল হওয়ার পরিবর্তে আমাদের ক্রিয়াগুলি বেছে নেওয়ার জন্য স্বাধীন হয়ে উঠি।

ব্যক্তিগত সম্পর্কে আত্মসমর্পণ: এটি সত্য যে কেবলমাত্র একজন অচেতন ব্যক্তিই অন্যকে ব্যবহার বা কারসাজি করার চেষ্টা করবে, তবে এটি সমানভাবে সত্য যে কেবলমাত্র এবং অচেতন ব্যক্তিকে ব্যবহার করা এবং পরিচালনা করা যেতে পারে। আপনি যদি অন্যের অচেতন আচরণের প্রতিরোধ বা লড়াই করেন তবে আপনি নিজেই অজ্ঞান হয়ে যান। কিন্তু আত্মসমর্পণের অর্থ এই নয় যে আপনি নিজেকে অচেতন লোকদের দ্বারা ব্যবহার করার অনুমতি দেন। একদমই ন।দৃঢ়ভাবে "না" বলা পুরোপুরি সম্ভব। এবং একজন ব্যক্তির কাছে পরিষ্কার বা একটি পরিস্থিতি থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং একই সময়ে সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ অ-প্রতিরোধের অবস্থায় থাকা।

অসুস্থতাকে জ্ঞানে রূপান্তর করা: অসুস্থতা সমস্যা নয়। আপনি সমস্যা।আপনি যখন অসুস্থ বা অক্ষম হন, তখন মনে করবেন না যে আপনি কোনওভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, অপরাধবোধ করবেন না। আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করার জন্য জীবনকে দোষারোপ করবেন না। তবে নিজেকেও দোষারোপ করবেন না। যদি আপনার একটি বড় অসুখ থাকে, তাহলে এটি জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যবহার করুন। আপনার জীবনে যে কোন "খারাপ" ঘটে তা জ্ঞানার্জনের জন্য ব্যবহার করুন। অসুস্থতা থেকে সময় প্রত্যাহার করুন। এটাকে ভবিষ্যতের কোনো অতীত হিসেবে দেখবেন না। এটি আপনাকে তীব্র বর্তমান মুহুর্তে বাধ্য করতে দিন। সচেতনতা জিনিসগুলি বিচার না করেই পর্যবেক্ষণ করে দেখুন কী ঘটে।

দুঃখকে শান্তিতে রূপান্তরিত করা: আত্মসমর্পণের অনুশীলন শুরু হয় প্রতিটি মুহুর্তে মননশীল আত্মসমর্পণের মাধ্যমে, যা আছে এবং কী নয় উভয়কেই স্বীকার করা। যদি আমরা আত্মসমর্পণের সেই মুহূর্তটি মিস করি তবে আমরা প্রতিরোধের মাধ্যমে দুর্ভোগ সৃষ্টি করি। এটি দ্বিতীয় সুযোগ হয়ে ওঠে। আমরা প্রতিরোধ বা বিচার ছাড়াই দুঃখকষ্টের কাছে উপস্থিত হতে বেছে নিতে পারি।

বেছে নেওয়ার ক্ষমতা: পছন্দ শুরু হয় যে মুহূর্তে আপনি মন এবং তার শর্তযুক্ত নিদর্শনগুলি থেকে বিচ্ছিন্ন করেন, যে মুহূর্তে আপনি উপস্থিত হন। যতক্ষণ না আপনি সেই বিন্দুতে পৌঁছান, আপনি আধ্যাত্মিকভাবে কথা বলছেন। এর মানে হল যে আপনি আপনার মনের অবস্থা অনুযায়ী কিছু উপায়ে চিন্তা করতে, অনুভব করতে এবং কাজ করতে বাধ্য। কেউ ডিসফাংশন, দ্বন্দ্ব, ব্যথা বা উন্মাদনা বেছে নেয় না। এগুলি ঘটেছে কারণ অতীতকে দ্রবীভূত করার জন্য আপনার মধ্যে যথেষ্ট উপস্থিতি নেই, অন্ধকার দূর করার জন্য যথেষ্ট আলো নেই। আপনি এখানে পুরোপুরি নেই। আপনি এখনও পুরোপুরি জেগে ওঠেননি । ইতিমধ্যে, শর্তযুক্ত মন আপনার জীবন চালাচ্ছে।

আশা করি, এই সমস্ত অভ্যাসগুলি অনুসরণ করে, আপনি আপনার জীবনে দুর্দান্ত উচ্চতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।