The Compound Effect byDarren Hardy

The Compound Effect

4:00 AM, August 28, 2023

Self Help

M. Nandi


THE COMPOUND EFFECT


::অধ্যায়:-১::

:কর্মে যৌগিক প্রভাব:


কম্পাউন্ড এফেক্ট বা যৌগিক প্রভাব হল এমন একটি উপায় যার দ্বারা ছোট ছোট সঠিক কাজ করে বড়ো বড়ো ফলাফল পাওয়া যায়। এতে মজার ব্যাপার হলো এটাই যে এতে আপনি ফল তো অনেক বড়ো পাবেন কিন্তু আপনাকে তেমন কোনো বড়ো পদক্ষেপ নিতে হবেনা। অনেক মানুষ এই কর্মে যৌগিক প্রভাব দেখে অবাক হয়ে যান। দৃঢ়তা (কনসিস্টেন্সি) বজায় রেখে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিলে তা একদিন বড়ো আকার ধারণ করে।

এখানে ৩ জন বন্ধুর কথা বলা যেতে পারে যারা ছোট থেকে একসঙ্গেই বড়ো হয়ে উঠেছে। তারা একত্রে ৫০,০০০ডলার একমাসে উপার্জন করতো। এরপর তাদের ৩ জনেরই বিবাহ হয় এবং তাদের শারীরিক অবস্থা ঠিকঠাক থাকে। প্রথম বন্ধু ল্যারি যে প্রথমের মতোই থাকতো, সে খুশিও ছিলো কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু অভিযোগ করতো কারন তার অবস্থার কোনো প্রতিবর্তন হচ্ছিলোনা। দ্বিতীয় বন্ধু হলো স্কট, সে প্রতিদিন একটু একটু করে ছোট ছোট পদক্ষেপ নিতে লাগলো। সে প্রতিদিন ১০ পাতা করে বই পড়তে থাকলো ও কাজে যাওয়ার সময় অনুপ্রেরণাজনক অডিও বা শ্রুতি শুনতে থাকলো। সে তার প্রতিনিয়ত খাওয়ার থেকে ১২৫ ক্যালোরি কমিয়ে দিয়েছিলো। তৃতীয় বন্ধু হলো ব্রেড - যে কিছু ভুল পদক্ষেপ নিয়েছিলো। সে একটা বড়ো টিভি কিনেছিলো যাতে সে নিজের পছন্দমতো জিনিস দেখতে পারে। বিভিন্ন রকম খাওয়ারের ভিডিও দেখে নিজে বাড়িতে তা তৈরী করতো ও উপভোগ করতো। এবং সে তার সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকায় একটি করে অ্যালকোহল যুক্ত পানীয় যুক্ত করেছিল। আসলে সে তার জীবনকে উপভোগ করতে চেয়েছিলো। ৫ মাস পরেও তাদের তিন বন্ধুর মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। স্কট বই পড়া ও কাজে যাওয়ার পথে ভালো অডিও শুনতো। ২-৩ বছরের মধ্যেই তাদের মধ্যে বড়ো পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেলো। ব্রেড মোটা হয়ে গিয়েছিলো, স্কট পাতলা হয়ে গিয়েছিলো। ল্যারি ঠিকঠাক ছিলো। স্কট ১৭ কিলো ওজন কমিয়েছিলো।

এই যৌগিক কর্মকে বেছে নিলে আমাদের মধ্যে যে তৎক্ষণাৎ ফল পাওয়ার আশা রয়েছে তা শেষ হয়ে যাবে। আপনাকে লটারি জেতার আশাকে প্রত্যাহার করতে হবে কারণ আমরা এমন একজন ব্যাক্তির গল্প শুনি যে কিনা সফল হয়েছে। যে অসফল হয়েছে তার কথা লোকমুখে শোনা যায়না।


::অধ্যায়:-২::

:পছন্দ:

আমরা এ পৃথিবীতে জন্মেছি নির্ভয়ে, অজ্ঞাতভাবে। তবে এর পরের জীবনযাপন আমাদের পছন্দের ওপর নির্ভর করে। আপনি নিজেই ভেবে দেখুন আপনার জীবনে যা ঘটছে সেটা ভালো হোক বা খারাপ হোক, তা কিন্তু আপনার পছন্দমতোই হচ্ছে অর্থাৎ প্রথমে আপনি আপনার পছন্দকে তৈরী করেন তারপর আপনার পছন্দ আপনাকে তৈরী করবে। আমাদের জীবনে অনেক ছোট ছোট পদক্ষেপ আসে এবং আমাদের অনেক ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু আমরা যদি সেই ছোট ছোট ব্যাপার গুলোকে এড়িয়ে যাই তাহলে তাই আমাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। এই ছোট ছোট সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপই আমাদের জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। যতক্ষণ না আপনি ভাবনা চিন্তা করে পছন্দ করবেন ততক্ষন আপনি আপনার ভাবনার পরিবর্তন করতে পারবেন না। এখনই সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আপনি বলতে পারেননা যে আপনি ভাগ্যবান / ভাগ্যবতী নন। কিন্ত এটা আপনার বাহানা মাত্র। যদি আমাদের হাত, পা ঠিক থাকে ও আমরা বাসস্থান ও খাওয়ার পাই তাহলে আপনার ভাগ্য অনেক ভালো। কথায় বলে প্রস্তুতি, মনোভাব, সুযোগ ও পদক্ষেপ আপনাদের ভাগ্য দেয়।

প্রস্তুতি-> ক্রমাগতভাবে / দৃঢ়ভাবে নিজের উন্নতি করা, নিজের জ্ঞান, দক্ষতা, সম্পর্ক সবকিছুর উন্নতি করা। আরনল্ড পালমার বলেছিলেন " কী অবাক ব্যাপার, আমি যত অভ্যাস করছি ততো ভাগ্যবান হচ্ছি"।

মনোভাব-> এখানে অনেকের ভাগ্য তাদের থেকে দূরে চলে যায়। ভাগ্য আমাদের আশেপাশেই থাকে। তবে ব্যাপারটা হলো পরিস্থিতি ও অবস্থাকে ইতিবাচক ভাবা নিয়ে। আপনি সেই জিনিসটা খুঁজে পাবেন না যার প্রতি আপনার বিশ্বাস নেই বা যা আপনি খুঁজতে চেষ্টা করেননা।

সুযোগ->এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা একটি বিষয়। এটাকে আলাদা করে বোঝার কিছুই নেই। এটা ঈশ্বর প্রাপ্ত।

পদক্ষেপ-> সুযোগ ভগবান দেয় কিন্তু পদক্ষেপ তো আমাদেরকে নিতে হয়। এখানেই আম্বানির সঙ্গে রাহুলের পার্থক্য। রাহুলকে আমরা কেউ তেমন জানিনা আর এটা স্বাভাবিক কারন রাহুল কখনও কোনো পদক্ষেপ নেননি। এখানে একটা মুহূর্তের কথা হলো যা ডেরেন হার্ডিকে তার পছন্দের ওপর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করেছিল। জীবনে সাফল্য সবাই চায়। আপনি কী চান? অনেক অর্থ, পাতলা বা মোটা হতে নাকি স্বপরিবারে সুখে থাকতে। আপনি ভাবুন আপনি এখন ঠিক কোন জায়গায় বা কোন ক্ষেত্রফলে আছেন আর কোথায় থাকতে চান। এবার প্রথম পদক্ষেপ হলো সচেতন হওয়া। আপনি যা করতে চান তা কোনো দ্বিধা ছাড়াই করুন। সচেতন হতে গেলে আপনাকে আপনার প্রত্যেকটা পদক্ষেপের প্রতিই সচেতন হতে হবে। যেই জায়গাতেই আপনি সফল হতে চাননা কেন। সবসময় একটা পেন ও নোট সাথে রাখুন ও প্রতিদিন নিজের পছন্দ লিখুন।


::অধ্যায়:-৩::

:অভ্যাস:

একজন খুব ভালো বুদ্ধিমান শিক্ষক তার একজন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ ছোট ছোট গাছের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। এরপর সদ্যজাত বেরোনো গাছকে তুলতে বললো। ছাত্রটি সহজে তুলে নিলো এরপর ছেলেটির মাপের/ আয়তনের একটি গাছকে তুলতে বললো। ছেলেটি অনেক কষ্ট করে ইট-পাথরের সাহায্যে গাছটিকে তুলল। এরপর একটি বড়ো গাছকে তুলতে বলল,কিন্তু সেই ছাত্রটি জানে যে আগের গাছটি তুলতে তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তাই সে এই গাছটিকে তোলার চেষ্টাটাও করলো না।

আমাদের অভ্যাসও ঠিক এরকমই হয় যেই অভ্যাসগুলো অনেকদিন ধরে হয়ে থাকে তাকে সরানো বা ভুলে যাওয়া কখনই সম্ভব হয় না আর কিছু জিনিস তো এতো পুরোনো ও গভীর হয় যাকে আমরা বের করার চেষ্টাটুকুও করিনা। অ্যারিস্টটল বলেছিলেন "আমরা সেটাই, যা আমরা বারবার করি "। ঠিক এরকমই যদি আপনার কোনো খারাপ অভ্যাস থাকে তাহলে তাকে সরানোর বা পরিবর্তন করার ৫ টি উপায় হল-

১) আপনার ট্রিগার সনাক্ত করুন - আপনার খারাপ অভ্যাসের তালিকা তৈরী করুন ও প্রত্যেকের ট্রিগার লিখুন। লিখুন আপনার কী বাজে কাজ করতে ইচ্ছে করে ও তা কখন করতে ইচ্ছে করে। নোটবুকে সবকিছু লিখুন। আর এর ফলে আপনার সচেতনতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

২)পরিষ্কার বাড়ি- যদি আপনি অ্যালকোহল পান করতে চান তাহলে তার একবিন্দুও বাড়িতে থাকতে দেবেন না। যদি আপনি স্বাস্থ্যযুক্ত খাওয়ার খেতে চান তাহলে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ারগুলি পরিত্যাগ করুন এবং তা কেনা ও বাড়িতে আনা বন্ধ করতে হবে।

৩)অদলবদল- এখানে লেখক তার স্ত্রীর বোনের অর্থাৎ শ্যালিকার উদাহরণ দিয়েছিলেন। সে টিভি দেখতে দেখতে পুরো চিপ্সের প্যাকেট শেষ করে দিত। তার এ বিষয়ে কোনো খেয়াল থাকত না। এই যে তার এই অভ্যাস, তা পরিবর্তন করার জন্য সে গাজর খেত ও সে একই অনুভূতি পেত। আর এভাবে তার শরীরে স্বাস্থ্যকর খাওয়ারও প্রবেশ করত।

৪)সহজে - আপনার অনেক অভ্যাস আছে যা বিনা অভ্যাসে সুপ্ত অবস্থায় থেকে গেছে, সেই অভ্যাসগুলিকে ছোট ছোট পদক্ষেপের দ্বারা বের করুন। যেহেতু সেই অভ্যাসগুলি তৈরী করতে আপনি অনেক সময় নিয়েছেন, তাই সময় নিয়েই সেগুলিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসুন।

৫) লাফ দিন - এখানে লেখক নিজের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন। যখন তিনি ছোট ছিলেন তখন তার পরিবার লেক রোলিন্স এ যেত, যার জল একটি পাহাড়ের গলা জলের সঙ্গে মিশতো ও যার জন্য জল খুব ঠান্ডা হত। যা লেখকের একদম পছন্দের ছিলোনা। কিন্তু তবুও যেতে হত এবং এক এক সময়তো লেখকের পিতা তাকে সেই ঠান্ডা জলে ফেলে দিতেন এবং কিছুক্ষন পর সেই জলটা তাকে স্বাভাবিক বলে মনে হতো। ঠিক এরকমই আমাদের অভ্যাসের সঙ্গে হয় যখন আমরা তাকে ছাড়তে চাই। শুরুতে আমাদের অনেক অসুবিধা হয় কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের শরীর এটাকে ঠিক মানিয়ে নেয়।


::অধ্যায়:-৪::

:গতিবেগ :

নবম ও দশম শ্রেণীর পদার্থবিদ্যা তে একটি বিষয় ছিলো- নিউটনের গতির প্রথম সূত্র। এতে বলা হয়েছে যে বিশ্রামে থাকা বস্তুগুলি বিশ্রামে থাকে, যদি না বাইরের শক্তি দ্বারা কাজ করা হয়। আর গতিশীল বস্তুগুলি গতিতে থাকে, যদি না কিছু তাদের গতিকে থামায়। একে এরকম ভাবেও বলা যায় যে, যে ব্যাক্তি সর্বদা টিভি বা দুরদর্শনের সামনে বসে থাকে, সে ব্যাক্তি সর্বদা বসেই থাকে। অপরদিকে যে ব্যাক্তি কর্মরত হয় সে সর্বদাই কাজ করে চলে। গতিবেগ তৈরী করা সহজ ব্যাপার নয়, তবে তা যদি একবার তৈরী হয়ে যায় তাহলে তার থেকে সরানো সহজ হবেনা। যদি ছোটবেলায় মেরি-গো -রাউন্ড খেলে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে সেখানে সবাই একসঙ্গে চিৎকার করে বলতো আরও জোরে ঘোরাও। ধীরে ধীরে তার গতি বাড়তে থাকে এবং অবশেষে তারা সফল হয়ে যায়। কোনো পরিবর্তনকে মেনে নেওয়া ঠিক এরকমই হয়। আপনি প্রথমে ছোট ছোট ধাপ ও ছোট ছোট পদক্ষেপ নেন। উন্নতি ধীরে ধীরে হয়। কিন্তু যখন এই অভ্যাস করতে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যান তখন বড়ো মুহূর্ত আসে, তখন আপনার সফলতা ও ফলাফল খুব দ্রুত আসে। এরকম ব্যাপারটা ঠিক রকেটের মধ্যে হয়। শুরুতে এর যতটা গতি থাকে পরে ততটা আর থাকেনা। কারন প্রথমে তাকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে বেরোতে হবে। আর যখন সে এটা করে নেয় তখনই সে তার কক্ষপথে পৌঁছতে পারে। আপনার পুরোনো অভ্যাস ও অবস্থা ঠিক ওই রকেটটার মতোই হয়। প্রত্যেকটা জিনিসই একটা রেস বা দৌড় এর মতো থাকে, আপনাকে সেই মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে ভাঙতে হবে এবং আপনি যখন এটা করে নেবেন তখন আপনাকে আটকানোর সাধ্য আর কারোর থাকবেনা।


::অধ্যায়:-৫::

:প্রভাব :

যেই লোকেদের সঙ্গে আপনি বেশিরভাগ সময় থাকেন, তাদের রেফারেন্স বা উল্লেখ দল বলা হয়। একটা গবেষণার মতে যেটা মনোস্তত্ববিদ ড. ডেভিড করেছিলেন, যাতে বলা হয় আপনার রেফারেন্স দল আপনার জীবনের সাফল্য বা ব্যার্থতার ৯৫%হিসেবে নির্ধারণ করে। সুতরাং আমরাও কোন মানুষদের সাথে মিশছি সেইদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। নেতিবাচক মানুষদের সঙ্গে থেকে আমরা কখনই ইতিবাচক চিন্তা করতে পারিনা। যদি আপনার মনে হয় যে আপনার বন্ধুরা এমন কোনো কাজ করছে যা আপনার পছন্দ নয় তাহলে তাদের সঙ্গে অল্প সময় কাটান আর নতুন মানুষ খুঁজুন যাদের সাথে সময় অতিবাহিত করতে পারবেন। আপনি আপনার সংঘকে ৩ ভাগে ভাগ করতে পারেন।

১)বিচ্ছিন্নতা

২)সীমিত সমিতি

৩)সম্প্রসারিত সমিতি।


১) বিচ্ছিন্নতা- আপনি প্রথম থেকেই যানেন যে আপনার জীবনে এমন কিছু মানুষ আছে, যাদের থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে। এটা সহজ নয় তবে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারন নেতিবাচক কোনোকিছুই আপনার জন্য ভালো নয়। প্রথমে আপনি সিদ্ধান্ত নিন যে কেমন লোকেদের সঙ্গে আপনি থাকতে চান, আপনার কেমন জীবন পছন্দ, তারপর সেইসব মানুষদের সঙ্গে যুক্ত হন যাদের দুরদর্শীতা রয়েছে।

২) সীমিত সমিতি- এমন অনেক মানুষ আছে যাদের সাথে আপনি ৩ ঘন্টা কাটাতে পারেন,৩ দিন নয় আবার অনেকের সঙ্গে ৩ মিনিট সময় কাটাতে পারবেন তবে ৩ ঘন্টা নয়। এখানে লেখক তার নিজের উদাহরণ দিয়েছিলেন, তার একজন প্রতিবেশী ছিলো যার সঙ্গে শুধুমাত্র ৩ মিনিটই কথা বলা যেত, সে সেই ৩ মিনিটই ভালো কথা বলতো। আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনি আপনার জীবনে এমন কোনো মানুষকে ৩ মিনিটের জায়গায় ৩ ঘন্টা দিয়ে ফেলছেন নাতো।

৩) সম্প্রসারিত সমিতি -নেতিবাচক লোকেদের জীবন থেকে সরানোর কথা বলা হয়েছে কিন্তু আমাদের তো কারোর না কারোর কাছে যেতেই হবে। আপনি এমন মানুষদের সাথে মিশুন যাদের মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা রয়েছে। সেখানে আপনি নিজের উন্নতি ঘটাতে পারবেন। আপনি ক্লাবে যোগদান করুন যে ক্লাবে তেমনই লোকজনের যাতায়াত রয়েছে কিন্তু আপনি যদি তা না করতে পারেন তাহলেও একটা ভালো কথা হল যে আপনি জীবনে যাই করুন না কেন, আপনি সেই মেন্টর এর কাছে শিখতে পারেন বা কোনো কোর্স, বই যাতে কোনো অভিজ্ঞ পরামর্শদাতা তার চিন্তাভাবনাকে লিখে রেখে গেছেন।


::অধ্যায়:-৬::

: ত্বরণ :

যখন লেখক ক্যালিফর্নিয়াতে ছিলেন, তখন তিনি সাইকেল নিয়ে যেতেন ও ২ মাইল পর্যন্ত বিনা বাধায় চালাতেন। এর জন্য ওনার অনেক কষ্টও হত আর চালাতে চালাতে তিনি এমন জায়গায় পৌঁছে যেতেন যাকে 'হিট ওয়াল' বলা হত। এখন আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগবে কেনো দাঁড়িয়ে যাওয়া দরকার। আর তখনই আসল প্রশ্ন সামনে আসে যে আপনি কষ্ট সহ্য করবেন ও আগে এগিয়ে যাবেন,নাকি ভেঙে পরবেন ও হেরে যাবেন। যখন ডেরেন রিয়েল এস্টেট/আবাসন এ ছিলেন তখন দিনে কয়েকবার দেওয়ালে আঘাত করেন। যখন তার প্রথম সম্পত্তি বিক্রি হয়নি তখন সে অনেক চিন্তিত হয়ে পড়েছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে সে ভাবলো তার মধ্যে এটা করার ক্ষমতা আছে। এটা জরুরি নয় যে সব কাজ সঠিকভাবে ও সঠিকসময়ে সম্পন্ন হবে। তবে কাজ করার উদ্যোগ নেওয়াটাই যথেষ্ট। যদি আপনাকে কেউ কোনো কাজ করতে বলে তাহলে তার আশানুরূপ কাজ করবেন অর্থাৎ যতটা সে আপনার কাছে আশা করছে, আপনি তার থেকেও বেশি দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর এটা আপনি আপনার জীবনের ক্ষেত্রেও করবেন।


🙏ধন্যবাদ🙏



Buy The Compound Effect from


Share The Compound Effect


Featured Summaries