The 7 Habits of Highly Effective People Book by Stephen Covey by Stephen R. Covey

The 7 Habits of Highly Effective People Book by Stephen Covey

4:00 AM, December 12, 2022

Self Help

M. Nandi


::সতর্ক হওয়া ::

সহজ কথায় বলা যায় যে কার্যকর হতে গেলে সতর্ক হতে হবে। একটি পশুর সেই ক্ষমতাটা থাকেনা যা একটা মানুষের থাকে, যা হলো নিজের চরিত্রকে পরীক্ষা করার ক্ষমতা আর নিজেদের দেখার ক্ষমতা। প্রতিক্রিয়াশীল মানুষদের এটা মনে হয় যে সব জিনিস তাদের হিসেব মতো হচ্ছে যেমন -এখানে এমন কিছু নেই যা আমি করতে পারবো বা আমি এরকমই। একটা এমন ক্ষমতা থাকা দরকার যে যেকোনো পরিস্থিতিতে কেমন প্রতিক্রিয়া করতে হয় তা জানা। আমাদেরকে এমন কাজ করা উচিত যাতে সেই কাজের দ্বারা আমরা কিছু করতে পারি। যার দ্বারা ধণাত্মক শক্তি বেরিয়ে আসে তা থেকে দূরে থাকতে হবে।

একটা গোটা দিনের জন্য নিজের ভাষা শুনুন এবং আপনার চারিপাশের লোকের ভাষা শুনুন।

অদূর ভবিষ্যতে আপনি সম্মুখীন হতে পারেন এমন একটি অভিজ্ঞতা চিহ্নিত করুন যেখানে অতীত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়াশীল আচরণ করবেন । আপনার প্রভাবের বৃত্তের প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করুন।

আপনি কীভাবে সক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন? বেশ কিছু মুহূর্ত নিন এবং আপনার মধ্যে প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা তৈরি করুন।

নিজেকে একটি সক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতিক্রিয়া করান ও অঙ্গীকার করুন।

আপনার কাজের থেকে বা ব্যাক্তিগত জীবন থেকে এমন একটি সমস্যা নির্বাচন করুন যা আপনাকে হতাশ করে। এটি একটি প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ বা কোনো নিয়ন্ত্রিত সমস্যা কিনা তা নির্ধারণ করুন। আপনার সার্কেলে আপনি যে প্রথম পদক্ষেপ নিতে পারেন তা চিহ্নিত করুন। এর সমাধানে প্রভাব ফেলুন এবং তারপর সেই পদক্ষেপ নিন।

সক্রিয়তার ৩০ দিনের পরীক্ষা চেষ্টা করুন। আপনার প্রভাবের বৃত্তের পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতন হোন।


:: মন থেকে শেষ থেকে শুরু করা ::

লেখক বলেন আমাদেরকে আমাদের কল্পনাশক্তিকে ব্যবহার করতে হবে যে আমরা কি হতে চাই। অনেক মানুষই নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে পারে খুবই সহজে ও জেতার জন্য অনেক কিছুই করেন। যেমন - পদন্নতি / উন্নয়ন ঘটানো, বেশি রোজকার। কিন্ত এই ব্যাস্ততার পেছনে কী উদ্দেশ্য আছে তার মূল্যায়ন করি না। আমরা নিজেদেরকেই জিজ্ঞেস করিনা যেসব জিনিসের ওপর আমরা সত্যি ফোকাস করছি তা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের বোঝায় যে আমাদের মন থেকে শেষ থেকে শুরু করা উচিত। একটা পরিষ্কার গন্তব্যস্থলের সাথে শুরু করা। মন থেকে শেষের ভাবনা রেখে শুরু করা ব্যাবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। একজন নেতার লক্ষণ এটাই যার দৃষ্টিশক্তি অনেক বিস্তৃত হয়। প্রথমত আমাদের নিজের গুরুত্বকে বুঝতে হবে। এদের দ্বারা হয়তো আমাদের নিজেদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। নিজেদের কেন্দ্রস্থল কেও চিনতে পারাটা জরুরি। আমাদের কেন্দ্র প্রাথমিক ভাবে প্রভাব ফেলে। প্রতিদিনের করা আমাদের সিদ্ধান্ত, কর্ম, প্রেরণার ওপর প্রভাব ফেলে। নিজের অন্তষ্টিক্রিয়ার / শোকজনক ব্যাপারে বিস্তারিত দেখুন। সেখানে কে আছে? সেখানে আপনার ব্যাপারে কী বলা হচ্ছে? কিভাবে জীবনে বাস করতেন? আপনার সম্পর্ক কেমন ছিলো? কী বলতে চান? নিজের জীবনের বিভিন্ন ভূমিকাকে পরিবর্তন করা তা পেশাদার হোক বা ব্যাক্তিগত। ৩-৫ টি লক্ষ্যের তালিকা প্রস্তুত করুন যা পেতে চান সেই জিনিস তার আছে কিনা নির্ধারণ করুন। যেমন - লোকসমাজে কথা বলার ভয় ইত্যাদি এবং এটাকে কল্পনা করুন কীভাবে তা কাটিয়ে উঠবেন।


::গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে করো ::

আমরা নিজেদেরকে অনেক নিয়মের মধ্যে দিয়ে ভালো রাখি। নিজেদের জীবনে কিছু করতে গেলে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলোকে আগে করতে হবে এবং নিয়মের দ্বারা বুঝতে হয় কোনটা গুরুত্বপূর্ণ ও কোনটাখুব জরুরি। এই অভ্যাসে আমাদের লক্ষ্য স্থির করার পর দিনের পর দিন তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নিয়ম মেনে চলার জন্য ও লক্ষ্য স্থির রাখার জন্য আমাদের নিজের মূল্য অনুযায়ী কাজ করা উচিত। গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি এই ২ টো জিনিস এক নয়। যেটা গুরুত্বপূর্ণ নয় আমরা তার প্রতি সময় নষ্ট করি, সমস্যার ব্যাপারে ভাবলে সেটা আরো বেড়ে যায় এবং তা পীড়া ও আগুনের আকারে বাইরে বেরিয়ে আসে। যা আমাদের জরুরি বলে মনে হয় না যদিও তার ওপর আমরা দৃষ্টিপাত করি কিন্তু সত্য এটাই হলো যে সেই জরুরতা অন্যের প্রত্যাশার ওপর ভিত্তি করে থাকে। অপরের ওপর নির্ভরশীল হওয়া ঠিক নয় এটা সকলেই জানি তবে সম্পর্ক তৈরী করা, দূরের পরিকল্পনা করা আর নিজেকে তৈরী করা। আমরা জানি যে আমাদের কী করতে হবে তবে এমন এমন জিনিস আমাদের আশেপাশে চলে আসে যাদের আমরা জরুরি বলে মনে করিনা। পরে পস্তানোর/ মাথায় হাত দেওয়ার থেকে এটাই ভালো যে বুঝে শুনে কাজ করা। আপনার কর্ম করার ২০% এর উপর আপনি ৮০% ফল পান, যেটাকে আপনি অবহেলা করছেন তাকে চিহ্নিত করুন। যা করতে চান লিখুন ও তা পর পর করে চলুন।


:: জেতার ব্যাপারে ভাবুন ::

একটা ভালো কার্যকর সম্পর্কের জন্য আমাদের এই জেতার ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করতে হবে যা দুই দিক থেকে উপকারী ও পরিতৃপ্ত হবে। লেখক এখানে ৬ টি দৃষ্টান্তের কথা বলেছেন।

উইন উইন - এই পরিস্থিতিতে দুজনেই জেতে এবং যেখানে চুক্তি ও সমাধান দুজনের জন্যই লাভজনক।

জেতা ও হারা- যদি একজন যেতে ও অপরজন হারে। এরা নিজেদের রাস্তা তৈরী করার জন্য শক্তি, অবস্থান ও ব্যাক্তিত্বকে ব্যবহার করে।

হারা ও জেতা- আমি হারলে তুমি জিতবে, এদেরকে খুব সহজেই খুশি করা যায়। তাদের বিখ্যাত হওয়াতে শক্তি মেলে।

হারা এবং হারা - এখানে দুজনেই হেরে যায়। যখন দুজন হেরে যাওয়া ব্যাক্তি একে অপরের সাথে মিলিত হয় তখন দুটো একগুঁয়ে, জেদি লোকের মিলন ঘটে ও এতে চারিদিকে শুধু হারা আর হারা।

জেতা- এইসব মানুষের মানসিকতা এরকম হয়না যে সে কাউকে হারাবে। তাদের কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ যে তারা কী চাইতো আর কী পেলো।

জেতা ছাড়া কিছু নয় - এরকম লোকেদের কাছে যদি দুদিক থেকেই লাভজনক প্রতিক্রিয়া না থাকে তাহলে এরকম চুক্তির কোনো মানে হয়না।

সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো যা দুপক্ষ থেকেই জেতার মানসিকতা রাখে সেটা হলো নিজের প্রাচুর্য্যের মানসিকতাকে বজায় রাখা, আর এটা বিশ্বাস রাখা এই জগতে অনেক প্রাচুর্য আছে। যাদের অভাব এর মনোভাব থাকে তারা অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যায় ও অন্যের সফলতাকে মেনে নিতে পারেনা। যতটা আমরা এই উইন উইন পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে কাজ করবো ততটাই সুবিধাজনক হবে আমাদের ক্ষেত্রে। ১০ টা এমন জিনিস লিখুন যা নেওয়ার থেকে একে অপরকে দিচ্ছেন।


:: প্রথমে অন্যকে বুঝুন তারপর নিজেকে বোঝান ::

কাউকে উপদেশ, পরামর্শ ও সমাধান দেওয়ার পূর্বে অপর মানুষের সাথে কার্যকরীভাবে / সাফল্যের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এটাই আমরা করি যে সমস্যা বোঝার আগেই আমরা সমাধান দিয়ে ফেলি। আমাদের বোঝানোর আগে নিজে বোঝা উচিৎ ও তার জন্য শুনতে শিখতে হবে। বেশিরভাগ লোক প্রত্তুত্তর দেওয়ার জন্য শুনে অর্থাৎ কথা বলতে থাকবে বা বলবে তার প্রস্তুতি নিতে থাকে। লেখক বলেন যে ১০%যোগাযোগ আমাদের শব্দ প্রতিনিধিত্ব করে ৩০% আমাদের আওয়াজ বা স্বর প্রতিনিধিত্ব করে ও ৬০% আমাদের শারীরিক ভাষা

এটা উইন উইন এর মতোই কঠিন। তারপর দুটো মানুষের কথোপকথন কে লক্ষ্য করে কান বন্ধ করে সোনার চেষ্টা করুন, কে বেশী মনোযোগী লক্ষ্য করুন এবং কী লক্ষ্য করলেন টা লিখুন।


:: সমন্বয় করা ::

অপরের গুরুত্বকে বোঝার জন্য সর্বদা সজাগ থাকতে হয় যা আমাদের সর্বদা ধণাত্মক ভাবনা, শক্তি ইত্যাদি প্রেরণ করে। এই অভ্যাস পুরোনো আচরনকে ভুলে গিয়ে নতুন ধারণার উপর কাজ করে। আপনাকে উইন উইন এর ব্যাপারে ভাবতে হবে ও অপরকে বুঝতে হবে, এটা করলে নিজেকে অপরের জায়গায় রেখে ভাবতে শেখেন। তাদের সমস্যা ও দরকারকে বুঝতে পারেন এবং তাদের সাহায্য করতে পারেন, আর এই প্রকক্রিয়াতেই সম্পর্ক গঠিত হয়। সমন্বয় করার আসল সারমর্ম হলো পার্থক্যর মূল্য, তা মানসিক হোক, আবেগপ্রবণ হোক বা শারীরিক হোক। একটি তালিকা প্রস্তুত করুন যাদের দ্বারা আপনি বিরক্ত অনুভব করেন। তাদের মধ্যে একজনকে বাছুন এবং তার দিক দিয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করুন। ভাবুন তারা কেমন অনুভব করছে তখন ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। পরবর্তী সময়ের যখন আপনার মতের সঙ্গে তার মত মিলছেনা তখন ভাবুন যে কেন তা মিলছেনা। আপনি যত ভালো বুঝতে পারবেন ততো তাড়াতাড়ি ওনাদের মনোভাব বদলে যাবে।


:: করাতে শান দেওয়া অর্থাৎ নিজেকে শ্রেষ্ঠতর করে তোলা ::

কার্যকর হওয়ার জন্য আমাদের নিজেদেরকে শারীরিক, আধ্যাত্মিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে পরিবর্তন করতে হয় যখন আমরা আমাদের পরিবর্তনকে ক্রমাগত অনুমতি দেই তখন সব অভ্যাসকে ভালোভাবে সামঞ্জস্যভাবে রাখতে পারি। এই অভ্যাস সবথেকে বড়ো সম্পদকে বৃদ্ধি করে যা হলো নিজের বিকাশ ঘটানো। আমাদের প্রকৃতির ৪ টি মাত্রা থাকে।

শারীরিক মাত্রা - শরীরের উন্নতির জন্য ক্রমাগত শরীরে ব্যামের দরকার হয় যার দ্বারা আমাদের কাজ করার দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দ উপভোগ ও দরকার। নিজেকে বদলানোর জন্য শারীরিকভাবে বদল ঘটানোর দরকার। ভালো খাওয়ার খাওয়া, আরাম করা,নিজের ক্ষমতা ও ধৈর্য্য ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করা।

আধ্যাত্মিক মাত্রা - নিজের আধ্যাত্মিক শক্তিকে বদলানো মানে হলো নিজেকে নেতার পদে রেখে কাজ করা। নিজের আধ্যাত্মিক শক্তিকে পরিবর্তন করার জন্য প্রতিদিন ধ্যান করা, প্রকৃতির সাথে কথা বলা। নিজেকে ভালো সংগীত শোনানো ও ভালো সাহিত্য পড়ার প্রতি নিয়োজিত করা।

মানসিক মাত্রা - নিজের মানসিক স্বাস্থ্যকে পুনরারম্ভ করার জন্য মনকে বিস্তৃত করুন এটাই একমাত্র উপায় লক্ষ্যে পৌঁছানোর। ভালো বই পড়া, নিজের চিন্তাভাবনার সঙ্গে মিলিত একটি সাময়িক পত্রিকা রাখা।

সামাজিক মাত্রা - সামাজিক ও আবেগপ্রবণ মাত্রাকে পরিবর্তন করলে সম্পর্কের বিকাশ ঘটে।

আবেগের দিক থেকে পুনরারম্ভ করতে গেলে অপর লোকেদের গভীরভাবে বুঝতে হবে।

নিজের বেশিরভাগ সময় ভালো কাজে নিযুক্ত থাকতে হবে।

নিজের মনোভাবকে পরিবর্তন করতে হবে যার দ্বারা অপরকে সাহায্য করতে পারবে।

এই ৪ টি মাত্রার দ্বারা যেমন আমরা পরিবর্তনের কথা ভাবছি তেমনই অপরকে অনুপ্রাণিত করতে হবে যাতে সে নিজেকে বিশ্বাস করে ভালো রাস্তায় যেতে পারে। পুনরাবৃত্তি আর পরিবর্তন এমন জিনিস যা ক্রমাগত আমাদের উন্নতি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। নিজেকে পরিবর্তন করার ক্রিয়াকলাপ গুলিকে তালিকার মধ্যে রেখে এক একটি লক্ষ্যকে বাছুন। ১ টি মাত্রার সঙ্গে ১টা কার্য বাছুন যা আপনার সাপ্তাহিক লক্ষ্যকে পূর্ণ করতে সাহায্য করে এবং শেষ সপ্তাহে নিজের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করুন যা আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সাহায্য করছে।



Buy The 7 Habits of Highly Effective People Book by Stephen Covey from


Share The 7 Habits of Highly Effective People Book by Stephen Covey


Featured Summaries