the 5 love language by Gary Chapman

the 5 Love Language

4:00 AM, November 28, 2022

Self Help

M. Nandi


THE 5 LOVE LANGUAGE

GARY CHAPMAN


:: বিয়ের পর ভালোবাসার কি হয়??::

ড. চ্যাপমান একটি প্লেনের মধ্যে ছিলেন এবং তেনার একজন অপরিচিত ব্যাক্তির সঙ্গে দেখা হয়েছিল যার তিনটি অসফল বিবাহ ছিল। উনি ওনার প্রাক্তন স্ত্রীদের নিজের পরাজয় এর কথা ভেঙে বলেছিলেন ও তাঁদের সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিজের সবথেকে ভালোটাই দিয়েছিলেন কিন্ত প্রত্যেকবার ওনার ও ওনার স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা শেষ হয়ে গিয়েছিলো। দুর্ভাগ্যবশত ওনার অভিজ্ঞতা অনন্য / অদ্বিতীয় ছিলনা। অনেক বিবাহিত জীবনই অনেক বছর একসঙ্গে থাকার পরও ভেঙে যায় । প্রত্যেকটা মানুষেরই ভালোবাসার একটা নিজস্বতা থাকে যার দ্বারা সে ভালোবাসাকে গ্রহণ করে। চ্যাপমান এটাকে প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা বলেছেন। সঙ্গীর গ্রহণ করা ও প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা এক নয় যা কথাবার্তা ও ভালোবাসাকে গ্রহণ করা মুশকিল করে দেয়। যদি আপনি চান যে আপনার সঙ্গী জানুক যে আপনি তাকে কতটা ভালোবাসেন তাহলে আপনাকে শিখতে হবে যে কিভাবে প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় যাতে সে আপনার ভালোবাসা বুঝতে পারে।

::ভালোবাসার পাত্র ভর্তি রাখা ::

ভালোবাসা শব্দটিকে আমাদের শিক্ষা- সংস্কৃতিতে অনেকভাবে ব্যবহার করা হয়। চকলেট কেক এর ভালোবাসার বর্ণনা থেকে শুরু করে মা তার সন্তানদের নিয়ে কি অনুভব করে সেই পর্যন্ত। লেখকের লক্ষ্য হলো যে এই বইটাকে ভালোবাসার উপর ফোকাস করানোর জন্য যা আবেগপ্রবণ, স্থিতিশিলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল শিশুই ভালোবাসায় পূর্ণ পাত্র এর সাথে জন্মগ্রহণ করে। যদি একটি শিশুর ভালোবাসার পাত্র খালি থাকে অর্থাৎ যদি সেই শিশু ভালোবাসার অনুভূতি বুঝতে না পারে এবং সেই অনুভূতিটা যদি না তাকে অনুভব করানো হয় তাহলে সে অসদ আচরণ করবে ও ভুল পথে চালিত হবে। ভালোবাসার পাত্র বড়ো হওয়ার পরও উধাও হয়ে যায়না। যার সঙ্গীর ভালোবাসার পাত্র খালি হয়ে যায় সেও অদ্ভূত আচরণ করে নিজের আবেগ ও শুন্যতাকে পূর্ণ করার জন্য। নিজের সঙ্গীর সঙ্গে প্রেমের ভাষায় কথা বলা তার ভালোবাসার পাত্রকে পূর্ণ করে দেয় এবং সম্ভাবনাও আছে যে তাদের আচরণের পরিবর্তন ঘটবে। আবেগপ্রবণ স্থিতিশীল মানুষ বেশি সুখী হন সেইসব মানুষের তুলনায় যারা ভালোবাসা অনুভব করতে পারেননা।


:: ভালোবাসায় / প্রেমে পড়া ::

যখন মানুষ প্রেমে পড়ার অনুভূতি অনুভব করে তখন সে ভাবে সামনের মানুষের জন্য এই ভালোবাসার পাগলামি এভাবেই থাকবে। এই পাগলামি সামনে থাকা মানুষের ভুলের ওপর পর্দাও দিতে পারে নাকি সেই মানুষটা আসলে কেমন তা দেখার বদলে। এই অনুভূতি দুজনের একসঙ্গে থাকা পর্যন্ত নিয়ে যায় এবং বিবাহে পরিণত হয়। এই অনুভূতি এমন সঙ্গীর দিকেও নিয়ে যেতে পারে যে তার পক্ষে সঠিক নয়। অনেক রকমের গবেষণায় দেখা গেছে যে এই ভালোবাসার জ্বর ২ বছরের মধ্যে কেটে যায়। ২বছর পরে নিজের সঙ্গীর সম্বন্ধে যেসব জিনিস হাস্যকর লাগতো তখন তা আর লাগেনা। এটা সম্পর্কের সেই সময় হয় যখন মানুষ এক বা দুটো জিনিস করে। হয়তো মেনে নেয় এমনই দুঃখী জীবন কাটাবে না হয় সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটায়। লেখক বলেন তৃতীয় এবং অনেকটাই ভালো বিকল্প হলো সত্যি ভালোবাসার দিকে যাওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি ও শৃঙ্খলা দরকার হয়। যখন আমরা জেনে বুঝে নিজেদের সঙ্গীদের এমনভাবে পছন্দ করি তখন আমরা অন্য মানুষের সঙ্গে সত্যি ভালোবাসার ফায়দা বা লাভ নেই। নিজের সঙ্গীর সঙ্গে ভালোবাসার ভাষায় কথা বলা তাদের ভালোবাসার পাত্রকে পরিপূর্ণ করে। তাদের জীবনকে প্রত্যেক ক্ষেত্রফলে উন্নতি করায়।

::ভালোবাসার ৫ টি ভাষা ::

: কথোপকথন :

মানুষ ধণাত্মক শব্দকে অপমানের তুলনায় ধণাত্মক শব্দতে অনেক বেশি সাড়া দেয়। নিজের সঙ্গীকে বিশেষ শব্দ দ্বারা তাকে ভালোবাসার অনুভব করাতে পারেন ও তার তারিফ করতে পারেন। ড. চ্যাপমান একজন মহিলার উদাহরণ দিয়ে বলেন যে তিনি তার স্বামীকে ধন্যবাদ জানান তার কাজ করার জন্য বা কাজে সাহায্য করার জন্য। তার মানে এই নয় যে তিনি তার কথায় সব কাজ করেন এতে তাঁদের একে অপরের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ পায়। মূল্যবান অনুভব করানো অপরের ভালোবাসার পাত্রকে পরিপূর্ণ করে দেবে। উৎসাহিত / অনুপ্রাণিত করাও ঠিক একই কাজ। যেমন ধরুন আপনার সঙ্গীর ভালো গানের প্রতি দক্ষতা থাকে তাহলে তাকে উৎসাহিত করুন এবং বোঝান এতে অন্যেরও ভালো হবে। সে যে কাজ পছন্দ করে তাকে তাই করতে উৎসাহিত করুন নাকি নিজেই যা পছন্দ করেন তা চাপিয়ে দেবেন। সঙ্গী রেগে গেলে তার দিকটা বোঝার চেষ্টা করুন নিজে না রেগে গিয়ে। জগতটাকে সঙ্গীর নজর দিয়ে দেখুন তাতে আপনার বুঝতে সুবিধে হবে যে কোনটা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নম্র ভাষা ব্যবহার করুন। তুমি তোমার সঙ্গীর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলো এতে তুমি বুঝতে পারবে সে কতটা তোমার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী কিনা। আলাদাভাবে কথা বলা সম্পর্কের উন্নতি ঘটায়।

: আলাদাভাবে সময় কাটানো :

একসঙ্গে সময় কাটানো সম্পর্কের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এর উপরেও বেশিরভাগ সময় একটা সম্পর্ক টিকে থাকে।

• আপনি যেখানে একসময়ে বড়ো হয়েছিলেন সেখানে একসঙ্গে যান ও প্রতিবেশীর সন্তানের শরীরের সুস্থতা নিয়ে ছোটোখাটো আলোচনা করুন ও নিজের ছোটবেলার স্মৃতিশক্তি তাজা করুন।

• কোনো পার্কে যান, একসঙ্গে হাটতে থাকুন এবং চারিপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

•পরিকল্পনা করুন যে কিছু মাস পরেই কোথাও ঘুরতে যাবেন ও ছুটির দিনে কোথাও একসঙ্গে ঘুরতে যান।

• প্রতিদিন অল্পসময়ের জন্য হলেও কাজের শেষে একবার নিজেদের জন্য সময় দিন ও নিজেদের মনের কথা শেয়ার করুন ।


: উপহার গ্রহন :

এই পৃথিবীতে অনেক সংস্কৃতিতেই উপহার দেওয়ার রীতি আছে। লেখক এর মতে উপহার হল চাক্ষুস / দৃষ্টিলব্ধ ভালোবাসার প্রতীক। এটা সেইসব মানুষদের জন্য যাদের প্রাথমিক ভালোবাসা হলো উপহার গ্রহণ করা। একটা আংটি অতটাও গুরুত্বপূর্ণ হয় না তবে এর প্রতীক এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে। নিজের সঙ্গীকে প্রত্যেকদিন ভালোবাসা ও সারাজীবনের জন্য প্রতিশ্রুতি। উপহারের দামটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো সেটা কেন দেওয়া হচ্ছে ? যদি আপনি না যানেন যে কিভাবে আপনার সঙ্গীকে উপহার দেবেন তাহলে শিখে নিন। যদি খরচা করার থেকে জমানো পছন্দ করেন তাহলে আপনার মনোভাব বদলান এবং এটা ভাবতে হবে যে আপনার টাকা আপনার সঙ্গীর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন আপনার সঙ্গীর আপনাকে দরকার ঠিক সেই সময় তার পাশে থাকা সবথেকে দামি উপহার যা অন্য সব উপহারকে হার মানায়।


: সেবার কাজ :

• একটা তালিকা প্রস্তুত করুন যেটা বিগত কিছু সপ্তাহ ধরে তোমার পতি/ পত্নী তোমাকে অনুরোধ করছে। একটা সপ্তাহে একটা করে এবং কাজটি ভালোবাসার অভিব্যাক্তির সাথে করুন ।

• একটা হার্ট আকৃতির কার্ড বানাও ও তাতে লেখো " আজকে আমি তোমাকে আমার ভালোবাসা দেখাবো এই কাজের দ্বারা "............... এবং বাক্যটি পূর্ণ করো মেঝে পরিষ্কার করে / প্লেট পরিষ্কার করে / কুকুরকে হাটতে নিয়ে গিয়ে / মাছ রাখার পাত্রটা পরিষ্কার করে প্রভৃতি। ১মাসের জন্য ৩দিন করে করো।

• যখন সঙ্গী কাজ থেকে বাড়ি ফিরবেন আপনার সন্তানদের দরজার সামনে নিয়ে গিয়ে দাঁড়ান ও চিৎকার করে বলুন আমরা তোমাকে ভালোবাসি। এভাবে আশ্চর্য করে দিন।

• ছোটো ছোটো জিনিসকে গুরুত্ব দিন ও তাকে বিশেষ করে তুলুন যেমন - গাড়ি পরিষ্কার করা, রান্না করুন, শোয়ার ঘরকে রং করুন ও বিভিন্ন ধরণের নকশা করুন ও তাতে নিজের সঙ্গীর নাম লিখুন এবং নিজের নামের সই করুন।

নিজের সঙ্গীর কাজ করে দেওয়া মানে তার গোলামী করা নয় বা আপনি তার আয়ত্তে এসে যাননি। এটার মানে এভাবে নিন যে আপনারা একে অপরকে ভালোবেসে একে অপরের কাজের সাহায্য করছেন। এতে সম্পর্ক মধুর হয়ে উঠবে।


: শারীরিক স্পর্শ :

আপনি আপনার সঙ্গীকে স্পর্শ করেও ভালোবাসা দেখাত পারেন যাতে সে ভালোবাসা ও আরামপ্রদ অনুভব করে। অনেক সময় আপনার স্পর্শ আপনার সঙ্গী পছন্দ নাও করতে পারেন তখন তাকে না স্পর্শ করে অন্যভাবেও ভালোবাসা দেখাতে পারেন। নতুন নতুন ভাবনা ভাবুন যাতে সে ভালোবাসা অনুভব করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় -

• আপনি গাড়ি থেকেও নেমে শপিং মলের দিকে যাচ্ছেন সেই মুহূর্তে সঙ্গীর হাত ধরে চলা।

• একসাথে খেতে বসার সময় হাতের উপর হাত রেখে স্পর্শ করা।

• যখন সঙ্গী বসে থাকে সেই সময় ব্যাক ম্যাসাজ করে দেওয়া যতক্ষণ না সে বারবার থামতে বলে ও অনুরোধ না করে।

• যখন সঙ্গী কাজ থেকে বাড়ি ফিরবে সেই সময় দরজা খুলে তাকে আলিঙ্গন করা।


:: তোমার প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষার আবিষ্কার ::


৫ টা ভালোবাসার ভাষার মধ্যে বেশিরভাগ লোকের প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষায় থাকে। কখনও কখনও একটা মানুষের ২ তো ভাষাও থাকে তবে এটা খুবই অল্পসংখ্যক। যে জিনিস একজন মানুষকে শারীরিক ভাবে পূর্ণতা দেয় জরুরি নয় যে সেই জিনিস তার আবেগকেও পূর্ণতা দেয়। আপনি সহজেই প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা খুঁজে পেতে পারেন। ভাবুন যে কোন জিনিসটা আপনাকে সবথেকে বেশি মূল্যবান মনে করায় আর আপনার সঙ্গীও সেটা উপভোগ করে। বিপরীতক্রমে আপনি এটাও ভাবুন যে কোন শব্দ আপনাদের সম্পর্কের মধ্যে বিচ্ছেদ ডেকে আনবে যেভাবে আপনি আপনার সঙ্গীকে ভালোবাসার মর্ম বোঝান বা ভালোবাসা দেখান সেরকমই প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা সেভাবেই দেখায়। যদি আপনার ভালোবাসার পাত্র পূর্ণ থাকে অথবা অনেক সময় খালি থাকে তাহলে প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষাকে বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেবে। ড. চ্যাপমান এর মতে আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে একটা খেলা খেলুন যেটাকে উনি বলেন ট্যাংক চেক অর্থাৎ ভালোবাসার পাত্রর পরীক্ষন করা।প্রত্যেক সঙ্গী একে অপরকে বলে যে তাদের ভালোবাসার পাত্রর উচ্চতা কতটা ও কীভাবে এই লেবেলকে বাড়ানো যায়।


:: ভালোবাসা হলো পছন্দ::

এটা প্রভাব ফেলে না যে অতীতে আপনার সঙ্গীকে নিয়ে কি ভুল করেছেন। আমাদের সবার কাছে পছন্দ থাকে যে আমরা ভবিষ্যতে কীভাবে কাজ করবো। নিজের সঙ্গীর সঙ্গে তার ভালোবাসার ভাষায় কথা বলুন। যদিও ২ বছর পর দম্পতির ভালোবাসা সমান থাকে না তবে সঙ্গীর সঙ্গে তার ভাষায় কথা বলার দ্বারা ভালোবাসা বজায় থাকে। আবেগের দ্বারা নিজের বিবাহিত জীবনের বাইরে গিয়ে দেখাটা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। বিবাহিত জীবন একজনের সঙ্গে কাটায় ও ভালোবাসা খোঁজে অপরজনের কাছে। সত্যিকারের ও দীর্ঘস্থায়ী আবেগপূর্ণ ভালোবাসা একটা পছন্দ,আর আপনি যদি আপনার সঙ্গীর ভালোবাসার ভাষায় কথা বলেন তাহলে আপনার বিবাহিত জীবন সুখে পরিপূর্ণ জীবনে পরিণত হতে পারে। আপনার সঙ্গীর এই ভাষা যদি আপনি নাও বুঝতে পারেন তাও আপনি শিখে নিতে পারেন কারণ তাকে যে আপনি ভালোবাসেন তা উপলব্ধি করাতে চাইছেন।


::ভালোবাসা পার্থক্য তৈরী করে ::

ভালবাসার অনুভূতি আপনার বাকি আবেগপূর্ণ চাহিদা গুলোর ওপর প্রভাব ফেলে। যেমন - নিরাপত্তার চাহিদা, তাৎপর্য ও স্ব- মূল্য কখনও কখনও বিবাহিত জীবনে মানুষ তার সঙ্গীর প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষাকে না খোঁজার ভুল করেন আর নিজের ভালোবাসার ভাষার খোঁজ করেন আর যখন তার সঙ্গী তাকে উপেক্ষা করেন তখন হতাশায় ভোগেন। নিজেই সঙ্গীর ভালোবাসার ভাষা শেখার জন্য সময় বের করা আপনার জীবনে অনেক বড়ো বদল আনতে পারে।


:: অপার্থিবকে ভালোবাসা ::

যখন আপনি অনুভব করেন যে আপনার বিবাহিত জীবন যে পর্যায়ে ভেঙে গেছে এবং সঙ্গীর সঙ্গে থাকতে পারছেন না তখন এটা মানতে পারা কষ্টকর হয় যে কিছু তো বদল ঘটবেই। ২০০০ সাল আগে যীশু বলেছিলেন নিজের শত্রুকেও ভালোবাসুন। যদি আপনার সঙ্গীকে আপনি আপনার শত্রুর মধ্যে ভাবেন তাহলে লেখকের কাছে একটা পরিকল্পনা আছে যা আপনার বিবাহিত জীবনকে শখের বানাতে পারে। আপনাকে কিছু মুশকিল জিনিস করতে হবে এবং সঙ্গীর কাছ থেকে কিছু না চেয়ে নিজেদের দাম্পত্য জীবন বাঁচানোর জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করুন এবং সঙ্গীকে বোঝান যে আপনি একজন ভালো স্ত্রী বা স্বামী হতে চান। ১ মাস পরে সঙ্গীকে জিজ্ঞেস করুন যে আপনি কতটা ভালো করছেন এবং আরো ভালো কীভাবে করতে পারেন। আর যখন ধণাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে শুরু হয়েছে তখন বুঝবেন যে তার ভালোবাসার ভাষা আপনি বুঝেছেন। প্রথম প্রতিক্রিয়ার পর ২ সপ্তাহ দাঁড়িয়ে যান ও এর পর একটা যে কোনো জিনিসের ব্যাপারে বলুন যেমন ধরুন কোথাও গিয়ে আপনি আপনার মুহূর্তগুলো কাটাতে চান সেখানে আপনি বলছেন আপনি তার সঙ্গে আলাদা সময় কাটাতে চান। নিজের দিক দিয়ে সঙ্গীকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন। যদি আপনার অনুরোধ নাও শোনে তাও হাল ছাড়বেননা , যদি আপনার সঙ্গীর ভালোবাসার পাত্র পূর্ণ হয়ে যায় তখন আপনার অনুরোধের ও মর্যাদা করবেন এবং আপনার ভালোবাসার পাত্রকে পূর্ণ করবে। বিবাহিত জীবনকে চালানোর জন্য আপনি আপনার কাজ করে চলেছেন।

এই বইটাতে চ্যাপমানের লক্ষ্য হলো একে অপরকে ভালোবাসার উপায় খুঁজে বের করা ও সাহায্য করা এবং ৫ টা ভালোবাসার ভাষাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো।


:: শিশু এবং ভালোবাসার ভাষা ::

ভালোবাসার ভাষার ধারণা কি শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা যায়?? উনি ওনার ম্যারেজ সেমিনারে যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের প্রায়ই এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেছিলেন।

যখন শিশুরা ছোটো থাকে তখন তাদের প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা তুমি জানোনা। কিন্তু তুমি যদি লক্ষ্য করো তাদের আচরণ তাহলে তুমি তাদের প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা শিখে যাবে।

যখন শিশু ছোটো থাকে তখন পিতা-মাতা সাধারণত কথনের ভাষা দিয়ে থাকেন। একটা শিশু যার প্রাথমিক ভালোবাসার ভাষা হলো কথনের ভাষা - ছোটো শিশুর জন্য এর মানে হলো মেঝেতে বসে একটা বলকে তার দিকে দেওয়া ও নেওয়া। একটা শিশুকে অখণ্ড মনোযোগ দেওয়া। ধীরে ধীরে সে যখন বড়ো হয় তখন তার চাহিদারও পরিবর্তন ঘটে।

উপহারের দ্বারাও তাদের বোঝা যায় যে তারা এতে আগ্রহী কিনা বা ধন্যবাদ জানাচ্ছে কিনা। অনেক শিশু খেলার জিনিসের তুলনায় উপহারের বাক্স বেশি পছন্দ করে।

শিশু যখন ছোট থাকে তখন পিতা-মাতা সেবার কাজ করে তবে শিশুদের পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে তারা কীভাবে তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করছে।

শিশুদের ক্ষেত্রে শারীরিক স্পর্শ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আলিঙ্গন করা, চুম্বন করা, কোলে নেওয়া আর এইসব স্পর্শের দ্বারাই তারা তাদের প্রাথমিক ভালোবাসা বোঝায় এবং লক্ষ্য করুন যে অন্যদের প্রতি তার ভালোবাসা কেমন ও আচরণ কেমন।


:: একটি ব্যাক্তিগত শব্দ ::

২ নম্বর অধ্যায়ে বলা হয়েছিল ৫ টি ভালোবাসার ভাষা বুঝতে এবং শিখতে কীভাবে বলতে হয় ও নিজের সঙ্গীর আমূল ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করতে।

প্রত্যেকটি বিচ্ছেদ এর পেছনে এই খালি ভালোবাসার পাত্র দায়ি। তিনি বলেছেন যদি সম্ভব হতো তাহলে দেশের সকল দম্পতিদের নিজে হাতে এই বই দিতেন এবং বলতেন যে " আমি এই বইটা আপনাদের জন্য লিখেছি, আশা করি এটা আপনাদের জীবনকে বদলে দেবে এবং অন্যদেরও এতে আমি খুবই খুশি হবো "

উনি চেয়েছেন সকল দম্পতি একসঙ্গে স্বপ্ন দেখুক। গড়ার স্বপ্ন, ভাঙার নয়।


Buy the 5 Love Language from


Share the 5 Love Language


Featured Summaries