The 5 AM Club Book by Robin Sharma

The 5 AM Club

4:00 AM, January 09, 2023

Self Help

S. Mishra


আপনি কি কখনো ধনী হওয়ার কথা ভেবেছেন? বা নিশ্চয়ই ভেবেছেন যে "আমি চাই" ধনী বা সফল হওয়ার একটি গোপন সূত্র যদি থাকতো । কিন্তু লেখক রবিন শর্মা বলেছেন যে সফল হওয়ার কোনো গোপন সূত্র নেই। প্রত্যেক মানুষ তার নিজস্ব উপায়ে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু কিছু ধনী বা সফল ব্যক্তিরা আছেন যারা ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে পড়েন । আর সেটাই তাদের সফলতার চাবি কাঠি।


এই গল্পের শুরুতে লেখক রবিন শর্মা ৩ টি চরিত্রের কথা বলেছেন । প্রথম, একজন ব্যবসায়ী ,যে সারাক্ষণ চিন্তা করে যে তার জীবনে আদেও কোনো লক্ষ্য আছে নাকি সে লক্ষ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে! দ্বিতীয় , একজন চিত্রশিল্পী , যে কিনা ওই ব্যবসায়ীর মতোই নিজের জীবনের লক্ষ্য নিয়ে চিন্তিত । সবশেষে যে চরিত্রের কথা লেখক বলেছেন তাকে আমরা এই গল্পের নায়ক ও বলতে পারি । এই তৃতীয় ব্যক্তি হলেন একজন আরবপতি , যার জীবনের লক্ষ্য হলো , লক্ষ্যহীন মানুষদের জীবনে আলোর পথ দেখানো । এই তিন চরিত্রের দেখা হয় , স্পেল বাউন্ডার নামক এক ব্যক্তির আলোচনা সভায়। সেখানে অনেক গণ্য মান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সকলেই যথেষ্ট ভালো জামাকাপড় পরে এসেছিলেন । শুধুমাত্র সেই আরবপতি এসেছিলেন একদম সাধারণ পোশাকে । কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন যে টাকা পয়সা থাকলেই তার দেখানোর কোনো প্রয়োজন নেই । মানুষকে সবসময় সাধারণ ভাবে থাকাটাই উচিত । এরপর বাকি দুই চরিত্রের সাথে এই ব্যক্তির কথোপকথন শুরু হয় । সে তাদের বলে যে আজ সে এত টাকা পয়সা উপার্জন করে , কিন্তু এক সময় সে এত ধনী ব্যক্তি ছিল না । তার এই সফলতার পিছনের চাবি কাঠি হলো "5 a.m club "।


জীবনে সফল হতে গেলে আমাদের কিছু অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন । রবিন শর্মা বলেছেন যে আমাদের ছোট ছোট প্রতিভা নিয়ে খেলার জন্য , জীবন খুবই ছোট। সফল হওয়ার জন্য সুযোগ এর সদ্ব্যবহার জানা প্রয়োজন আর সাথে দায়িত্ববান হওয়া। সেই ধনী ব্যক্তি এই দুজন কে পরদিন তার সাথে দেখা করতে বলে । পরের দিন তারা আসে এবং "5 am club" সম্পর্কে জানতে চায়। ওই ধনী ব্যক্তি তখন তাদের বলে যে , সবার আগে তাদের 5 am club এর সদস্য হতে হবে এবং এই club এর প্রথম নিয়ম হলো যে ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে জেগে ওঠা। যেটা বেশিরভাগ মানুষের কাছে অত্যন্ত কষ্টের একটি বিষয় । আমাদের মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে যার বাইরে আমরা কাজ করতে পারি না । তাই সারাদিনে আমরা কোনো ক্রমে ৮ ঘণ্টা কাজ করি , আর তাতেও আমাদের আসে পাশে যা কিছু ঘটে সে গুলি আমাদের মন অন্য দিকে চালনা করে , যার ফলে আমরা পুরো পুরি ৮ ঘন্টাও কাজ করতে পারি না । ভোর পাঁচটায় ওঠার অভ্যাস তৈরি করলে আমরা অনেক কাজ সেই সময় করে নিতে পারবো কারণ ওই সময় বেশির ভাগ মানুষ জন ঘুমিয়ে থাকে এবং আমাদের সম্পূর্ণ ধ্যান আমাদের কাজেই দিতে পারি । বিশ্বজুড়ে করা অনেক গবেষণা দেখায় যে সকালের সময়টি আত্ম বিকাশের জন্য সেরা। এর একটি কারণ হল এই সময়ে মানুষের মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এলাকা শান্ত থাকে। যার কারণে সমস্ত নেতিবাচক চিন্তা দূরে থাকে। এই সময়ে আপনি দিনের কাজের জন্য আপনার মন প্রস্তুত করতে পারেন। লেখক পরামর্শ দিয়েছেন যে "আপনার সবচেয়ে কঠিন কাজটি সকাল ৫ টায় শুরু করা উচিত"। কারণ এই সময় মস্তিষ্ক থেকে সেরোটোনিন নামে একটি হরমোন বের হয়। যার কারণে আমাদের মনোযোগ যেকোন একটি কাজে পুরোপুরি নিবদ্ধ হতে পারে। গবেষণা পরামর্শ দেয় যে এটি এমন সময় যখন একজন মানুষের মেজাজও তার সেরা হয়। আপনি যদি আপনার কাজের 5 শতাংশ শীর্ষে থাকতে চান তবে আপনাকে তা করতে হবে যা ৯৫% লোক করে না।


"5 am club " এর মেম্বার হওয়া মোটেও সোজা কাজ না । কিন্তু যারা একবার এই ক্লাবের মেম্বার হয়েছে এবং এই ক্লাবের সমস্ত নিয়ম মেনে চলেছে , সফলতা তাদের জীবনেই এসেছে । মহান আমেরিকান ঔপন্যাসিক জন রে গ্রিশাম জুনিয়র আরও বলেছিলেন যে "সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি আপনার জীবনে এমন পরিবর্তন আনতে পারেন, যা আপনি ভাবতেও পারেননি" । এই পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে। প্রথম যারা তাদের জীবন স্বাভাবিক ভাবে যাপন করে এবং একদিন তাদের শরীর ত্যাগ করে। একই সময়ে, অন্যান্য ধরণের মানুষও অমর নয়। কিন্তু মৃত্যুর আগে তারা ইতিহাসের পাতায় তাদের নাম লিখে যায়। তাদের একটা অভ্যাস আছে যে তারা ক্রমাগত রেকর্ড করতে থাকে এবং ঘরে ঘরে তাদের নাম বিখ্যাত করে। লেখক বলেছেন যে একজন ইতিহাস নির্মাতা মানে এমন একজন ব্যক্তি যিনি ভাল সাফল্য অর্জন করেছেন। সে সবসময় মনযোগ দিয়ে কাজ করে ।


প্রথমত , একজন মানুষ সফল মানে এই না যে তার অনেক বুদ্ধি । তার সফলতার চাবি হলো যে সে হাল ছেড়ে দেয়না । ক্রমাগত চেষ্টা করে যায় । যেই জায়গাতে সে হেরে যায় , পরের বার আর সেই ভুল করে না । সফলতা এক দিনে আসে না , তার জন্য রাত - দিন পরিশ্রম করতে হয় । দ্বিতীয়ত , একসাথে অনেক কাজ করতে গেলে কোনো কাজ সঠিক ভাবে হয়না । তাই এক সময় একটা কাজ ই মন দিয়ে করা উচিত । যেসব জিনিস আমাদের মনঃসংযোগ নষ্ট করে সেগুলি থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন । কাজের সময় ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ করে কাজ করা উচিত । মন দিয়ে কাজ না করলে সেই কাজের ফল ও আশানুরূপ হয়না । তাই ভোর বেলা পাঁচটায় উঠে , এই ফাঁকা সময়ে নিজের সারাদিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজের কিছু অংশ করে নেওয়া প্রয়োজন । তৃতীয়ত , ছোট বড় সমস্ত কাজের গুরুত্ব বোঝা উচিত । "যখন করবো , বড় কিছু করবো " এই ধারণা টাই ভুল । কারণ সেই " যখন " কোনোদিন আসে না । তাই ৫ -৭মাসে বড় কিছু করবার চেয়ে ,রোজ ছোট ছোট কাজে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন । তাতে করে কাজের প্রতি মনোযোগ ও থাকে । চতুর্থত , মহান ব্যক্তি সে নয় , যে সব কাজ একটু একটু জানে । মহান সে , যে একটা কাজ ই জানে এবং সেটা সবার থেকে সেরা জানে । এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞানী অ্যান্ডারস এরিকসন বলেছেন যে "আপনি যদি কোনো একটি কাজ আয়ত্ত করতে চান তবে প্রতিদিনের ২.৪৫ ঘন্টা সেই নির্দিষ্ট কাজে দিতে হবে। তারপর কয়েক বছর পরে আপনি সেই কাজটি আয়ত্ত করতে পারবেন। তাই আপনিও যদি চান। ভবিষ্যতে ভাল কিছু করুন তারপর সকালের প্রথম ২ ঘন্টা আপনার মাইন্ড সেটে কাজ করুন (মনের কথা ভেবে)"।


লেখক বলেছেন: আপনি কি কখনো সেমিনারে অংশ নিয়েছেন? আপনি যদি তা করেন তবে আপনি জানেন যে বেশিরভাগ জায়গায় বলা হয় যে "আমাদের আপনার মানসিকতার উপর কাজ করা উচিত"। কিন্তু শুধুমাত্র মানসিকতা উন্নত করেই কি সফলতা পাওয়া যায়? উত্তর "না" কারণ কেউ যদি মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে সে কি সফল হতে পারে? কেউ যদি ভিতর থেকে সুখ খুঁজে না পায় তবে তার বেঁচে থাকার কোন উদ্দেশ্য থাকবে না। তাহলে সফল হয়ে লাভ কি? আমাদের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ সাম্রাজ্য রয়েছে। যার চারটি অংশ আছে, এই চারটির দিকে আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। মানসিকতা ছাড়াও, সফল হতে আমাদের স্বাস্থ্য, হৃদয় এবং আত্মার উপর ফোকাস করতে হবে। মানসিকতা উন্নত করবার বিষয়ে আমরা আগেই জেনে গেছি । এবার আসি মনের উন্নতির ব্যাপারে । মন আমাদের সব চেয়ে সূক্ষ্ম অনুভূতির জায়গা । Sigmund Freud বলেছেন যে " অনুভূতি কখনো মারা যায়না " । তাই নিজেদের অনুভূতি চাপা না রেখে বলে দেওয়া ভালো । মন ভালো থাকলে শরীর ও ভালো । মনের সাথে সাথে সাস্থের উন্নতি ও প্রয়োজন । স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কাজেও মন বসবে না । কাজের সাথে সাথে স্বাস্থের প্রতি o উন্নতির ধ্যান দেওয়া প্রয়োজন । আত্মা , অর্থাৎ আপনি নিজে আপনার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । সবার আগে বুঝতে হবে আপনি কে , আপনার জীবনে লক্ষ্য কি? যে কাজ করছি সে কাজ করতে আদতেও আত্মা সাথে আছে কিনা । মনের খুশি আছে কিনা । খুশি মনে কোনো কাজ না করলে , সেই কাজে সফলতাও আসে না । তাই ভোর পাঁচটায় উঠে নিজের সাথে কথা বলা প্রয়োজন । আমাদের আত্মা কি চাই সেটা জানা প্রয়োজন ।


আমাদের জানা উচিত যে সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে ওঠা কোন কাজে আসবে না যদি আমরা সেই সময়টিকে সঠিকভাবে ব্যবহার না করি। সেই সময় টিও বাকি ২৪ ঘণ্টার মতোই নষ্ট হয়ে যাবে । ভোর পাঁচটায় উঠে টিভি দেখতে বসে গেলে হবে না । এমন কিছু করতে হবে যাতে আমাদের শরীর ও মন দুই তৎপর হয়ে উঠে । ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টা সময়কে ২০/২০/২০ এভাবে ভাগ করে নিতে হবে । প্রথম ২০ মিনিট স্বাস্থের জন্য , পরের ২০ মিনিট আত্মার জন্য এবং শেষের ২০ মিনিট মস্তিষ্কের । প্রথম ২০ মিনিট ঘাম ঝরানো পরিশ্রম করতে হবে । জীবনে সফল হতে গেলে কষ্ট করা আবশ্যিক । যেই মুহুর্তে ঘাম ঝরতে শুরু করবে সেই সময় কর্টিসল নামক হরমোন নির্গত হয় । এর ফলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকে । শরীরের মধ্যে আমাদের কাজ করবার নতুন উদ্যম খুঁজে পাই । ব্যায়াম করবার ফলস্বরূপ BDNF নামক প্রোটিন তৈরি হয় । পরের ২০ মিনিট দিতে হবে আমাদের আত্মার জন্য । এই সময় নিজের সাথে কথা বলা যেতে পারে । বা ধ্যান করা যেতে পারে। মন কে শান্ত রেখে ভাবতে হবে যে সারাদিনে আমাদের কি কি করা উচিত ! সেগুলি একটা জায়গায় অবশ্যই লিখে রাখতে হবে এবং মনে রাখতে হবে যে ওই কাজ গুলি যেনো অবশ্যই সম্পূর্ণ করা হয় । কারো যদি দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা থাকে তাহলে তাকেও তার দিন শুরু করা উচিত মেডিটেশন দিয়ে। মেডিটেশন বা ধ্যান করবার অভ্যাস তৈরি হলে ধীরে ধীরে নিজেরাও অনুভব করতে পারবো যে আমাদের থেকে ভয় কমতে শুরু করেছে । ভয় এর হরমোন নির্গমন কমে আসে। এতে করে আমরা নিজেদের কাজের প্রতি অনেক বিশ্বাসী হয়ে উঠতে পারবো । তাই সকাল বেলা মেডিটেশন দিয়ে শুরু হলে সারাদিন অনেক ভালো ভাবে কাটে। এরপর আসা যাক শেষের ২০ মিনিটে । এই সময় কি করা উচিৎ ? এটিকে মনের সময় বলা হয় যা বৃদ্ধির সময়। এই সময় আমাদের উচিত বই পড়া। বই পড়ার মত ভালো আর কিছু হয় না । Self help বই এই সময় অনেক উপকারী । সফল মানুষদের নিয়ে লেখা বই পড়লে আমরা তাদের সম্বন্ধে জানতে পারবো । তাদের জীবন যাত্রা আমাদের উৎসাহিত করবে নিজেদের জীবনে উন্নতি করতে । তাই শেষের এই ২০ মিনিট self help বই পড়া উচিৎ । তার ফলে বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে ।


ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে পড়ার মানে এই নয় যে রাত্রে আমরা ঘুমবো না ! সুস্থ্য এবং সফল জীবন যাত্রার জন্য যেমন ভোর বেলা উঠা উচিৎ , ঠিক তেমন ই রাত্রে যথেষ্ট ঘুমও দরকার । রাত্রে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য আমাদের কিছু অভ্যাস তৈরি করা প্রয়োজন । বিষয় টি বোঝানোর জন্য সেই আরবপতি বাকি দুই জনকে কবরস্থানে নিয়ে যান । সেখানে বলেন যে , ঘুম কেনো জরুরি সেটা বোঝার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা আর হতে পারে না । কারণ যথেষ্ট পরিমাণ ঘুম স্বাস্থের জন্য এবং দীর্ঘায়ুর জন্য প্রয়োজন । আর মনোযোগ দিয়ে কাজ ও করা যায় । যেটা আমাদের কে আমাদের সফলতা এনে দেয়। অনেকে মনে করে যে , যারা রাত জেগে কাজ করে তারা অনেক পরিশ্রমী । কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল । আমাদের মধ্যে অনেকের রাত্রে ঘুম না আসার সমস্যা হয় । এই সমস্যার মূল কারণ হলো টিভি , ল্যাপটপ , মোবাইল এসব থেকে বেরিয়ে আসা রেডিয়েশন । এই রেডিয়েশন আমাদের মস্তিষ্কের প্রচুর ক্ষতি করে । এর ফলে আমাদের মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন নামক হরমোন এর নির্গমন বন্ধ হয়ে যায় । যার ফলস্বরূপ আমরা অনিদ্রার স্বীকার হয় । তাই ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা আগে আমাদের টিভি , ল্যাপটপ বা মোবাইল থেকে দূরে সরে যেতে হবে । অর্থাৎ ঘুমোতে যাওয়ার অনকে আগেই এগুলি বন্ধ করে ফেলতে হবে । কাজ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ , কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হলো জীবন । কাজের ফাঁকে একটু নিজের জন্য মনোরঞ্জন ও দরকার । এতে করে পরবর্তী কাজ করতে আমরা নতুন ভাবে উৎসাহিত হয় । এর ফলে আমরা আর ও বেশি বেশি করে কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করি ।


এই গল্পের শেষে আমরা বুঝতে পারি যে , সারাক্ষণ নিজের কাজ নিয়ে ভাবতে থাকলে সেটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন হবে না । এর জন্য আমাদের 5 a.m ক্লাবের সদস্য হতে হবে । ফলে আমরা নিজেদের নতুন ভাবে তৈরি করতে পারবো। আমাদের শরীর , মন সব সুস্থ্য ভাবে কাজ করবে । সারাদিন উদ্যম নিয়ে নিজেদের কাজ করতে সক্ষম হবো । নিজেদের কাজের লক্ষ্য স্থির হবে । দুনিয়ার সফল মানুষেরা এই নিয়ম মেনে চলেন বলেই আজ তারা ওই চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন যেখানে যাওয়ার স্বপ্ন হাজার হাজার মানুষ দেখে । তাই ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করো আর নিজেদের জীবনকে আমূল পাল্টে যেতে দেখার জন্য তৈরি থেকো ।


Buy The 5 AM Club from


Share The 5 AM Club


Featured Summaries