4:00 AM, April 17, 2023
আমরা কম বেশি অনেকেই "ইকিগাই " বই টির কথা শুনেছি । কি এমন লুকিয়ে আছে এই বইয়ের ভেতর যে সবাই এটিকে পড়তে ইচ্ছা প্রকাশ করে ? জানতে নিশ্চয়ই ইচ্ছে হয় ? আসুন জেনে নিই ।
জাপানিস শব্দ "ইকিগাই " এর অর্থ হল " জীবনের উদ্দেশ্য " । ইকিগাই একটি জাপানি ধারণা যেটি ইঙ্গিত দেয় সুখী এবং দীর্ঘজীবী জীবনের । লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে , জাপানিরা খুব সহজেই হাসি খুশি দীর্ঘজিবন যাপন করে । ৮০-৯০ বয়স অবধি তারা সাচ্ছন্দে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকে । এর রহস্য হল একটাই , এরা নিজেদের জীবন থেকে ইকিগাই অর্থাৎ বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য চলে যেতে দেয় না । তাদের মতে প্রতিটা মানুষের নিজস্ব ইকিগাই থাকে । ইকিগাই তৈরি হয় চারটি বিষয় নিয়ে :- ১. আপনি কি ভালবাসেন । ২. আপনি কোন বিষয়ে পারদর্শী । ৩. দুনিয়া কি চায়? ৪. আপনি কি জন্য পারিশ্রমিক পেতে পারেন ?
এই বইটির প্রথম অধ্যায়ে আমরা দেখতে পাই ,বয়স বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও কীভাবে সু স্বাস্থ্য ধরে রাখা যায় ! অর্থাৎ সংখ্যায় বয়স বাড়লেও মনের দিক থেকে নিজেকে সতেজ এবং সুস্থ করে রাখা । এর উত্তর হল একটাই , নিজের জীবনের ইকিগাই অর্থাৎ বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য খুঁজে নেওয়া । কোনো মানুষের ক্ষেত্রে তারা খুব শীঘ্রই তাঁদের ইকিগাই খুঁজে পাই আবার অনেক ক্ষেত্রে এই ইকিগাই খুঁজতে সারাজীবন লেগে যায়। জাপানের মতো দেশে "অবসর" নামক শব্দটির কোনো অস্তিত্বই নেই কারণ তারা তাঁদের ইকিগাই থেকে অবসর নিতে ইচ্ছুক না । ইকিগাই খুঁজে পেতে এবং সেটি বজায় রাখতে তারা কিছু অভ্যাস গড়ে তোলে । যেমন তারা ভরপেট খায় না , এমন খাবার গ্রহণ করে যেগুলি প্রোটিন এবং ভিটামিন যুক্ত । ঘুম থেকে দ্রুত উঠে পড়ে । এই কাজ গুলি তারা বাধ্য হয়ে না বরং স্বইচ্ছাতে করে । তাদের জীবন যাপনে তারা আরও কিছু অভ্যাস মেনে চলে , যেমন মাংস এবং মদ্যপান তারা এড়িয়ে চলে । ঘাম ঝরানো কঠোর ব্যায়াম থেকে অনেক দূরে থাকে । শরীরকে সুস্থ রাখতে তারা যোগ ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা বেশি পছন্দ করে । খাওয়ার ক্ষেত্রে তারা একটি কথা মেনে চলে , যা হল , "হারা হাচি বু " । প্রতিবার খাওয়া শুরুর আগে তারা এটি বলে যার অর্থ হল ততক্ষণ অবধি খাও যতক্ষণ না তোমার ৮০℅ খাওয়া হচ্ছে। এই নিয়ম মেনে চলার পিছনে অন্যতম একটি কারণ হল শরীরকে সুস্থ্য রাখা । প্রয়োজনের বেশি খাবার খেলে আমাদের নানারকম অসুখ করতে পারে , যেমন , হৃদরোগ , ক্যানসার এবং অন্যান্য । আমাদের পেট কখন ৮০℅ ভরছে তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না , এর জন্য জাপানিরা এক অন্য রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে । তারা সাধারণত ছোট ছোট পাত্রে খাবার পরিবেশন করে থাকে । এতে করে মস্তিষ্কের কাছে এই বার্তা পৌঁছায় যে খাবার অনেক বেশি। একটি গবেষণায় লক্ষ্য করা গেছে , বাইরের দেশের মানুষ জাপান গেলে তাঁদের ওজন অনেক টাই কমে যায় । অন্য কারণ টি হল যে তারা শরীর কে সুস্থ্য রাখতে কঠোর ব্যায়াম করে না। উল্টে তারা যোগা করতে বেশি আগ্রহী । আর যদি ওজন কম করতে হয় তবে তারা ব্যায়াম না করে খাবার এর ওপর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে । তাদের মতে দীর্ঘ জীবন যাপন করতে গেলে চিন্তা মুক্ত থাকে হবে ।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে বয়েস না বাড়ার রহস্য সম্বন্ধে । বয়েস বাড়ার সাথে সম্পর্ক থাকে মনের । মনের বয়েস বাড়লে তবেই বয়েস বাড়ে । যেমন শারীরিক কসরত না করলে শরীর ঝিমিয়ে পড়ে তেমনি মনের কসরত ও প্রয়োজন। যখন আমরা কোন কাজ শুরু করি সেটি প্রাথমিক ভাবে আমাদের কাছে কঠিন মনে হয় । পরের বার কিন্তু তত কষ্ট হয়না কারণ আমরা সেই কাজ টির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায় । এর থেকে আমরা এটাই শিখি যে কোন কাজ কিন্তু বদলে যায়না আর যাবেও না , বদলায় সেই কাজের করার প্রতি আমাদের মানসিকতা । এই কথা বিজ্ঞান ও মেনে নিয়েছে যে সময় এর আগে বয়স্ক দেখতে যাওয়ার পিছনে কারণ হল " চিন্তা "। অতিরিক্ত চিন্তার কারণে আমাদের শরীরে নতুন কোষ , পেশী তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায় । এর পিছনে মূল কারণ হল আজকের প্রতিযোগিতার যুগ । একটি প্রচলিত চিত্র আমরা আমাদের আসে পাশে দেখতে পাই , ফোনে কথা বলতে বলতে টিভি দেখা । এর ফলে তারা এতো টাই অন্য মনস্ক থাকে যে সেই সময় তারা যদি কিছু খেলো সেসব ও হয়তো ঠিক করে বলতে পারবে না । এর জন্য দায়ী এক মাত্র চিন্তা । এই বইএ সেইসব মানুষদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যারা ১০০ বছরের বেশি জীবন যাপন করছে । তাঁদের মতানুসারে ওই বয়েসেও তারা কাজ করতে আগ্রহী কারণ তারা পশ্চিমী সভ্যতা কে অনুকরণ করে না । তাঁরা এক জায়গায় বসে কাজ করাবার থেকে নানারকম সক্রিয় কার্যকলাপ করতে বেশি আগ্রহী । সব থেকে বেশি ধ্যান আমাদের ত্বকের ওপর দেওয়া উচিত । এটা সম্পূর্ণ আমাদের ওপর নির্ভর করছে , আমাদের নিজেদের বয়েস কীভাবে ধরে রাখবো নাকি সময়ের আগেই নিজেদের বয়স্ক তৈরি করবো ।
তৃতীয় অধ্যায়ে , দীর্ঘ জীবনের জন্য ইকিগাই কেন প্রয়োজন , তা আলোচনা করা হয়েছে । এই বই তে " মরিতা থেরাপি "র উল্লেখ করা হয়েছে যেটির বক্তব্য হল জীবনে সমস্যা আসবেই । কিন্ত বিষয় হল সেই সমস্যার সাথে মোকাবিলা করার মানসিকতা কীভাবে তৈরি হবে । প্রত্যেক মানুষের যেকোনো সমস্যার প্রতি আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোন থাকে । আমাদের মানুষদের একটি সর্বজনীন সমস্যা হল , আমরা সমস্যার সমাধান করি না , উল্টে তার থেকে পালায় । যত আমরা পালানোর চেষ্টা করি ততই জড়িয়ে পড়ি। এই বইয়ে উল্লেখ করা থেরপি অনুযায়ী তারা মানুষের সমস্যার সমাধান করে দেয় না বরং তাঁদের এমন ভাবে তৈরি করে যেন তারা যেকোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে । ধরুন কোন ব্যক্তির সাথে আপনার ঝগড়া করতে মন যাচ্ছে , তার সাথে ৩ দিন পর ঝগড়া করুন , দেখবেন আপনার আর ঝগড়া করবার মানসিকতায় থাকবে না । এই অধ্যায় এটাই শেখায় যে সময়ের সাথে সব কিছুর ঘনত্ব কমে আসে , সেটা সুখ হোক , বা দুঃখ , অথবা রাগ।
এই বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে ফাঁকা সময়ে নিজের বিকাশের ওপর কীভাবে কাজ করা যায় । প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব পছন্দের কাজ থাকে , হতে পারে সেটি ছবি আঁকা , কিংবা বাগান চর্চা , বা অন্য কিছু। এইসব পছন্দের কাজ গুলি করবার সময় আমরা নিজেদের জগতে হারিয়ে যায় । ইকিগাই এর উদ্দেশ্য হল এসব পছন্দের কাজ গুলি খুঁজে বের করা । আমরা সফলতার পিছনে দৌড়তে গিয়ে এক সময়ে একাধিক কাজ করে থাকি । কিন্তু এটা ভুললে চলবে না যে আমরা মানুষ , কোনপ্রকার যন্ত্র নয় যে একটি সিস্টেম থেকে আর একটি সিস্টেমে নিমেষে যেতে পারব । শুধু মাত্র জাপান না অন্যান্য দেশেও এমন মানুষ পাওয়া যায় যারা এক সময়ে একটা মাত্র কাজ করতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে ।
এই বইটির পঞ্চম অধ্যায়ে দীর্ঘজীবী মানুষদের থেকে উপদেশ নেওয়ার কথা আমরা জানতে পারি । অর্থাৎ যারা ১০০ বছরের বেশি জীবন যাপন করেছেন । তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মিসাও ওকাবা । মৃত্যু কালে তাঁর বয়েস ছিল ১১৭ বছর। ওই মহিলা একাই থাকতেন । নিজের কাজ নিজে করতেন । খাবার বানানো হোক আর ঘরের কাজ হোক সব টাই নিজে করতেন । তার দীর্ঘজীবনের রহস্যের কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন যে , তিনি নিজের কাজ নিজেই করতেন , সুসি খাবার খেতেন এবং যথেষ্ট পরিমাণ ঘুমতেন । একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে জাপানিরা মাংস নয় বরং মাছ খায় । জাপানিদের এই খাদ্যাভাস তাঁদের দীর্ঘজীবী হতে সাহায্য করে । এই কারণে জাপানকে দীর্ঘজীবীর দেশ ও বলা হয় । তাঁদের কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলে থাকেন , এটি তাঁদের ইকিগাই যেটি দীর্ঘজীবী হতে এগিয়ে নিয়ে যায় । যেই বয়েসে মানুষ অবসর জীবন কাটানোর কথা ভাবে সেই বয়েসে জাপানিরা নিজেদের ইকিগাই গড়ে তোলে ।
এই বইয়ের পরবর্তী অধ্যায়ে দেখতে পায় যে এই দেশের বেশির ভাগ নাগরিকরা , বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা নিজেদের বাড়ির বাগানে উৎপাদিত শাক সব্জি খায়। এমনকী সেখানের হোটেল গুলিতেও জৈব ভাবে উৎপাদিত শাক সব্জি রান্না করে পরিবেশন করা হয়ে থাকে । এখানে বয়স্ক মানুষদের দল তৈরি হয় যেখানে সব চেয়ে কনিস্ঠ সদস্যের বয়েস ৮২-৮৩ বছর হয়ে থাকে । এরা সব সময় নিজেদের কোন না কোন কাজ এ ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করে । ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও এদের চেহারায় কোনোদিন চিন্তার ছাপ লক্ষ্য করা যায় না । সব সময় শান্ত থাকে । এদের কিছু নিয়ম আছে যা এরা মেনে চলে , প্রথমত, শান্তি বজায় রাখা , অহেতুক ঝামেলায় না জড়ানো , সমবয়সীদের সাথে মেলামেশা করা , বন্ধুত্ব করা , কথা বলা । দ্বিতীয়ত, নিজের কাজ নিজে করতে শেখা । কাপড় কাচা , রান্না করা ইত্যাদি । বয়েস হওয়া সত্ত্বেও যদি নিজেদের কাজ নিজেরা করে নিতে সক্ষম থাকি তবে দীর্ঘজীবন এর আশা থাকে । যেদিন কর্ম করা বন্ধ করে দেবেন সেদিন আমাদের শরীর ও আর আমাদের সাথ দেবে না । সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রচুর শাক সব্জি খাওয়া , যা আমাদের সুস্থ্য আর সতেজ রাখতে সাহায্য করে । তৃতীয়ত , বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করা , নাচ - গান করা , সুন্দর করে সময় কাটানো । চতুর্থত , ধীরে সুস্থে জীবন যাপন করা , তাড়াহুড়ো তে কোন কাজ ই সুষ্ঠ ভাবে সমপন্ন হয় না । জলদি ঘুম থেকে উঠে পড়া এবং জলদি ঘুমোতে যাওয়া ভালো অভ্যাস এর আওতায় পড়ে ।
এই সমস্ত বিষয় জাপানের অকিনামা অঞ্চলের মানুষ দের জন্য বলা হয়ে থাকে , দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এর সময় এই অঞ্চল টি সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল । সেই সময় এই অঞ্চলটি ভীষণ বাজে ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, প্রচুর লোক মারা গিয়েছিলেন । অথচ আজ এই অঞ্চলে সব চেয়ে দীর্ঘজীবী মানুষদের বসবাস । এখানের মানুষদের বিভিন্ন সু অভ্যাসের মধ্যে অন্যতম হল , সাইকেল চালানো । এরা নিজেদের স্বাস্থ্য বিষয়ে এতটাই সচেতন যে , সরকার এর পক্ষ থেকে দেওয়া নির্দেশিকা " সারাদিনে ১০ গ্রামের বেশি লবণ খাবার এর মাধ্যমে গ্রহণ করা যাবে না " অক্ষরে অক্ষরে পালন করে চলে । এখানের মানুষ প্রচুর শাক সব্জি খেয়ে থাকে , প্রায় ২০৬ প্রকার এবং তার মধ্যে সারাদিনে ১৮ রকম সব্জি খেয়েই থাকে । বেশিরভাগ ক্যালোরি শাক সব্জি এর মাধ্যমেই গ্রহণ করে থাকে । মিষ্টি বা ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে এরা অনেক দূরে থাকে । সমগ্র জাপানের মধ্যে এই ওকিনামার মানুষেরা সব চেয়ে কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেয়ে থাকে । ছোট ছোট পাত্রে খাবার পরিবেশন করবার কারণে এরা মাত্রাতিরিক্ত খাবার গ্রহণের থেকে নিজেদের বিরত রাখে । ততটুকুই খাওয়া উচিত যত টা শরীরের প্রয়োজন , তার বেশি খেলে শরীর সেই খাবার হজম করতে পারে না যার ফলে স্থুলকায় শরীর তৈরি হয় । যা অনেক রোগের বাসা রূপে নিজেকে তুলে ধরে । কথায় আছে সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন উপোস করা উচিত । যার ফলে মেটাবলিজম ঠিক থাকে । এখানের মানুষেরা গ্রিন টি এবং হোয়াইট টি পান করতে পছন্দ করে । জাপানে একধরণের ফল উৎপাদিত হয় , যার নাম , সিকুয়াসা । অনেকটা লেবুর মতো দেখতে লাগে এই ফল টির গুনমানের জন্য যথেষ্ট গৃহীত এখানের বসবাসকারীদের কাছে ।
পরবর্তী অধ্যায়ে বলা হয়েছে, সক্রিয় কর্মের প্রয়োজনীয়তা । সু স্বাস্থ্য ধরে রাখতে সক্রিয় কাজ কর্ম করা উচিত । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর , জাপানে রেডিও গুলিতে একটি যোগ ব্যায়াম এর অনুষ্ঠান হত । এই ব্যায়াম গুলি বিভিন্ন বিদ্যালয়ে , কারখানায়, অফিসে কাজ শুরুর আগে করানো হতো । এখনো বিভিন্ন অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৩০% লোক এই নিয়ম এখনো মেনে চলেন ।
শেষ অধ্যায়ে আমরা দেখতে পায় , জাপানিদের মতে জীবন যাপনের সহজ পন্থা হল ইকিগাই মেনে চলা । জীবনে যতই প্রতিকূল পরিস্থিতি আসুক না কেন এরা কোন দিন নিজেদের ইকিগাই ত্যাগ করে না । বিভিন্ন পরিবেশের জন্য এদের সহজ নিয়ম হল যে বিষয় বুঝতে পারছি তা করবো , সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবো । আর না পারলে সেটা নিয়ে অকারণ মস্তিষ্কে চাপ না দেওয়া । যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় যে বিষয়টি এরা মেনে চলে তা হল " এর থেকে খারাপ আর কিই বা হতে পারে ?" এটি আমাদের সকলের মেনে চলা উচিত । যেই বিষয়ে আমরা পারদর্শী না সেটি মেনে নেওয়াই শ্রেয় । তাই সব দুশ্চিন্তা দূরে রেখে নিজেদের জীবনের ইকিগাই খুঁজে নেওয়াই উত্তম ।
4:00 AM, September 01, 2022