Do Epic Shit Book by Ankur Warikoo

Do Epic Shit

4:00 AM, May 13, 2024

Self Help

S. Mishra


" ডু এপিক শিট " এর সহজ কথায় এর মানে আলাদা কিছু করা , ব্যাতিক্রমী কিছু ভাবা । ভিন্নভাবে চিন্তা করে, আপনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবেন না বরং সমস্ত পেশাগত, আর্থিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে সফল হবেন। আপনি এতটাই অর্জন করবেন যে বিশ্ব আপনাকে মনে রাখবে এবং সবাই এটাই তো চায় যে তার অর্থ, সুস্বাস্থ্য, সমস্ত সুখ এবং ঐশ্বর্য্য হোক । লেখক অঙ্কুর ওয়ারিকো " ডু এপিক শিট " বইতে আমাদের এটাই শেখাতে চেয়েছেন যে আমরা কিভাবে দুনিয়া থেকে আলাদা হতে পারব । বিশ্বাস করুন যত উঁচুতে আপনি পৌঁছাবেন , ভীড় ততই কমবে । তাহলে চলুন বইটির সারাংশ আমরা অধ্যায় অনুযায়ী জেনে নিই ।

অধ্যায় ১ : আপনার আবেগ বৃদ্ধি করুন ।

লেখক বলেছেন যে কখনও কখনও এমন ও হয় যে প্যাশন হয়না , একে তৈরি করে নিতে হয় । অনেকাংশেই এটি সঠিক । যেমন অনেক ব্যক্তি সাঁতার জানেন না তাই সে বিষয়ে আগ্রহ দেখান না । কিন্তু একবার যদি শিখে ফেলেন , হতে পারে তার মধ্যে সাঁতার নিয়ে আগ্রহ জন্মালো । এর ফলে সেই ব্যক্তিটি সাঁতার এ এতটাই আয়ত্ত করে ফেললেন যে বিশ্ব রেকর্ড করে ফেললেন । তাই যা কিছু জ্ঞান আপনি অর্জন করেন বা শেখেন সেটি যদি একঘেয়েমি ও হয় তবুও সেটি তে আগ্রহ দেখান । সেটি সম্বন্ধে আরও শিখুন । ধীরে ধীরে সেই বিষয়ে আপনি সেরা হয়ে যাবেন , তখন কেও আপনার সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারবে না । অন্যের দেখে কিছু করতে যাবেন না । এতে করে বিষয়টি কপি করা ছাড়া আর কিছুই হবে না । আপনার দেখে থাকবেন ৯০% লোকের মধ্যে কোনো আগ্রহ থাকে না নতুন কিছু শেখার বা আলাদা কিছু করার । হয়ত তার মধ্যে আপনি আমিও আছি । কিন্তু তার মধ্যেও যদি কোনো একটি বিষয় যেমন , লেখা লেখি করতে যদি কারো ভালো লাগে তাহলে সেটিতেই নিজের আগ্রহ প্রকাশ করা উচিত , আরও বৃদ্ধি করা উচিত । ওই বিষয়টি তে সেরা হয়ে উঠতে হবে তবেই অনেক কিছু অর্জন করা যাবে।

অধ্যায় ২ : নেতার মত চিন্তা করুন ।

একজন নেতার মতো ভাবতে শিখুন । সারাজীবন মানুষ অন্যদেরই নেতা মনে করে মেনে নিয়ে এগিয়ে চলেন । কিন্তু এই চিন্তাভাবনা আপনাকে বদলাতে হবে এবং নেতার মানসিকতা গ্রহণ করতে হবে নয়ত সাধারণ ভাবেই থেকে যাবেন । কিন্তু নেতা হতে গিয়ে আদেশকর্তা না হয়ে যান সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি । একজন আদর্শ নেতা সবার প্রথমে নিজে প্রতিটি বিষয় দেখেন , কোনো কাজের ক্ষেত্রে নিজে সবার প্রথম এগিয়ে আসেন , তবেই সাধারণ মানুষের সমর্থন তিনি পেয়ে থাকেন । তাঁর মধ্যে অন্যের কষ্ট বোঝার ক্ষমতা থাকে সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবার মানসিকতাও থাকে । নেতৃত্বের গুণ সব ক্ষেত্রেই কাজে আসে । যদি কোনোদিন আপনি নিজের ব্যবসা শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনার সহকর্মীদের আপনাকেই নেতৃত্ব দিতে হবে । তাই নিজের মধ্যে সহমর্মিতার গুণ গড়ে তুলুন , মানুষজন মন থেকে আপনাকে শ্রদ্ধা করবে । আর তাছাড়া ভাবনা তো বিনামূল্যে আসে , তাই ভাবতে থাকুন যে , হ্যাঁ , আপনি একজন লিডার ।


অধ্যায় ৩ : কৌতুহলি হন ।

আপনি যদি জীবনে বড় কিছু করতে চান তাহলে আপনাকে কৌতূহলী অর্থাৎ জিজ্ঞাসু হতে হবে । ছোটবেলায় সবাই কৌতূহলী হয় কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে ওই বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যায় । আমরা কাজে ব্যস্ত থাকি এবং অন্যের আদেশ অনুযায়ী কম কাজ করতে থাকি, এই জীবন খুব বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। কিন্তু বড় হওয়ার পরেও যদি আপনি কৌতূহলী থেকে যান তবে আপনি তার কাছ থেকে ধারণা পেতে থাকবেন। আপনি কিছু নতুন আইডিয়া নিয়ে আপনার নিজের স্টার্ট আপ কোম্পানিও শুরু করতে পারেন। এবং একজন উদ্যোক্তা তার জীবন পরিবর্তন করতে পারে। এর অর্থ হ'ল আপনি কখনই আপনার সাধনা বন্ধ করবেন না, কেবল প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।


অধ্যায় ৪ : বিলম্বিত করবেন না।

কখনও কখনও আমরা শিখি যে আমরা কম করতে চাই কিন্তু ব্যবহার বাড়তে থাকে। অনেক ফিল্মের স্ক্রিপ্ট রাইটারদের মতো কিছু চান কিন্তু তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন না, শুধু অজুহাত দিতে থাকেন। অনেকে চাকরির অজুহাত দিতে থাকে, কিন্তু কেউ শিখলে চাকরি করেও অনেক কিছু করা যায়। আমরাও এই তালিকায় আছি।


অধ্যায় ৫ : ইঁদুর দৌড় এড়িয়ে চলুন।

আজকাল আমরা সবাই ইঁদুর দৌড়ের মধ্যে আছি। সবাই একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। যদি একজন ব্যক্তি একটি সম্মেলন বা সেমিনারে যোগ দেন, তবে অন্য ব্যক্তির মনে অশান্তি হয়। সে ভাবে, আমি পিছিয়ে থাকব কী করে? তিনি আরও সামনে থেকে এই ধরনের সেমিনারে যোগ দিচ্ছেন বলে মনে হচ্ছে। সে এটা নিয়েও ভাবে না যে তার সত্যিই দরকার আছে কি না, তাই না, এটা তাকে সুখ দেয়, সে কি জোর করে করে না? তাই অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা বন্ধ করুন। আপনি যেমন আছেন ঠিক তেমনই ভালো আছেন। কে কি করছে এর মানে কি? এটার মানে কি আপনার জানা উচিত নয়। তোমার পুরো জীবন তোমার সামনে। আপনি শুধু আপনার আবেগ খুঁজে পান এবং এটি অনুসরণ করুন এবং আপনার জীবনকে আরও ভাল করুন।


অধ্যায় ৬ : সম্পর্কের নিয়ম - সম্মান, সহমর্মিতা, সহানুভূতি।

যেকোনো সম্পর্ক ঠিক রাখতে চাইলে মনে রাখবেন এই ৩টি নিয়ম।

> প্রথম:- সবাইকে সম্মান করুন , সে ছোট হোক কি বড়ো ।

> দ্বিতীয়:- সবার প্রতি সহমর্মিতা রাখুন । এর অর্থ হলো অন্যের কষ্টকে বোঝা । অনেক মানুষই স্বার্থপর হয়ে যায় , তারা শুধু নিজেরটাই বোঝে । যদি আপনি অন্যের ভালো চিন্তা করেন তাহলে সেই মানুষ গুলো মন থেকে আপনাকে সম্মান করবে । আর এটাই আপনার জীবনে উন্নতির পথে সহায়ক হয়ে উঠবে । কেননা কোথাও না কোথাও থেকে আপনি সাহায্য ঠিকই পেয়ে যাবেন।

> তৃতীয় : যদি কেও কোনোরকম সমস্যায় থাকে তাহলে তাদের সমস্যার কথা শুনে সহানুভূতি দেওয়া উচিত । অনেক সময় মানুষ তাদের সমস্যার কথা বললে আমরা সেটি মজা করে উড়িয়ে দেই , এতে করে সামনের ব্যক্তিটি বেশি কষ্ট পায় । তারপর আর সে আপনার আর সম্মান করে না । তাই সবাইকে সৎ উপদেশ দিন আর পারলে তাদের সাহায্য করুন ।


অধ্যায় ৭ : সফলতা এবং ব্যর্থতা।

সফলতা আমাদের জীবনে মহান করে তুলতে ব্যর্থতার মতো বড় ভূমিকা পালন করে না। মানুষ মনে করে সাফল্যই সবকিছু। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়, ব্যর্থতা আমাদের সব শিখিয়ে দেয়। আমরা কী ভুল করেছি তা আমরা শিখি এবং সেগুলি পুনরাবৃত্তি এড়াই। একই সময়ে আমরা ব্যর্থতা থেকে ব্যথা অনুভব করি, এটি আমাদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে। আমরা শিখি কিভাবে ব্যথা থেকে পুনরুদ্ধার করতে হয় এবং আমরা শিখি কিভাবে ফিরে যেতে হয়। এবং ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যা আমাদের শক্তি নষ্ট করবে না। তাই ব্যর্থতায় কখনোই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। যে কখনই ব্যর্থ হয়নি তার মানে সে কিছুই চেষ্টা করেনি।

অধ্যায় ৮ : কাজের অভ্যাস।

লেখক বলেছেন যে আপনার জীবনকে উন্নত করতে আপনার লক্ষ্য থাকা উচিত নয়, অভ্যাস তৈরি করা উচিত। আপনার নিয়মিত বছরের পর ধরে অভ্যাস করা উচিত। যেমন, একজন ব্যক্তি যদি লেখক হতে চান তবে তাকে নিয়মিত লিখে যেতে হবে , সেটি ভালো হোক কি খারাপ । বছরের পর বছর, যদি তার হাজারো সৃষ্টির মধ্যে ১০০ টিও ভালো হয়, তা তাকে একজন মহান লেখক হিসেবে গড়ে তুলবে। আপনার আগ্রহ আছে এমন প্রতিটি কাজের জন্য এটি করুন।


অধ্যায় ৯ : সচেতনতা।

বন্ধুরা, আপনি সচেতনতার অর্থ বুঝতে পেরেছেন। আমরা মনে করি আমরা নিজেদের জানি কিন্তু তা নয়। অন্যের দৃষ্টিকোণ থেকেও নিজেকে দেখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার সন্তানদের উপর রাগ করতে পারেন, আপনি মনে করতে পারেন যে আপনার রাগ প্রকাশ করা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং আপনি প্রায়শই আপনার চারপাশে বাবা-মাকে এটি করতে দেখেছেন। কিন্তু আপনাকে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে, এতেই শিশু রাগান্বিত হয়, মিথ্যা বলতে শেখে , আপনাকে সম্মান করে না এবং আপনার সাথে কথা বলতেও সাহস পায় না। সচেতনতা অর্জনের পর আপনার আচরণ পরিবর্তন করা উচিত। তিরস্কারের পরিবর্তে, আপনি অনুপ্রেরণা দিয়ে বাচ্চাদের সঠিক পথে রাখতে পারেন। তাদেরকে ভালো বই দিলে তারা নিজেরাই ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। এইভাবে, আপনার নিজের যাত্রাটি দেখুন এবং দেখুন যে আপনার নিজের সম্পর্কে আপনার কাছে যা সত্য বলে মনে হয় তা ভুল নয় তো ! জনসাধারণের মাঝে বলার ভয় কি সত্যিই যৌক্তিক? নাকি সেটি আপনার নিজস্ব মস্তিষ্কপ্রসূত ? তাই এভাবেই আমাদের ভেতরের প্রতিটি নেতিবাচক বিষয়ে সচেতনতা আনতে হবে। তাই আপনার ব্যক্তিত্ব অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে।


অধ্যায় ১০ : শিল্পোদ্যোগ।

শিল্পোদ্যোগ খুব কঠিন । কিন্তু এই চারটি জিনিস দিয়ে সহজ হতে পারে। এটিকে সময় দিন, প্রতিদিন কাজ করুন, ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না এবং পরিবর্তনকে গ্রহণ করুন।


> আশা করি আপনি এই সারাংশ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। আপনার উচিত এই পরামর্শগুলো নিয়ে কাজ করা এবং আপনার জীবনকে আরও ভালো করা।


Buy Do Epic Shit from


Share Do Epic Shit


Featured Summaries